শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে কঁাঠালের বাম্পার ফলন

মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
  ০১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

টাঙ্গাইলে গত বছরের ন্যায় এবারও চলতি মৌসুমে জাতীয় ফল কঁাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজানের শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কঁাঠাল বিক্রি হতে দেখা গেছে। বতর্মানে প্রায় বাজারেই কঁাঠালের ব্যবসা জমজমাট। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলায় ৫৭৪ হেক্টর জমিতে কঁাঠাল চাষ করা হয়েছে। এ বছর কঁাঠালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। জেলার প্রতিটি উপজেলার গাছগুলোতে প্রচুর কঁাঠাল ধরেছে। কঁাঠালের ভালো ফলন পেতে চাষিরা দিনরাত গাছ ও ফলের পরিচযার্ করছেন। কিছু কিছু গাছে কঁাঠাল আগাম পাকতে শুরু করেছে। এ ছাড়া কঁাচা সবজি হিসেবেও বাজারে কঁাঠাল বিক্রি হচ্ছে। কঁাঠাল উৎপাদনে খরচ কম থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। টাঙ্গাইলের উৎপাদিত কঁাঠাল জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, ১২টি উপজেলার সবর্ত্রই প্রচুর কঁাঠাল গাছ রয়েছে। নিধাির্রত বাগান ছাড়াও সড়ক-মহাসড়ক, গ্রামীণ জনপদ, হাট-বাজার এবং বাড়ির আঙিনায়ও কঁাঠালগাছ বেড়ে উঠেছে। টাঙ্গাইল জেলার উত্তর ও পূবের্ পাহাড়ি অঞ্চলের লালমাটি কঁাঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এসব অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে কঁাঠালের বাগান করা না হলেও বাড়ির আঙিনাসহ রাস্তার পাশ দিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই কঁাঠাল গাছ রোপণ করে থাকেন। কৃষকরা জানান, কঁাঠালের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর কোনো অংশই ফেলে দিতে হয় না। কঁাঠালের রস থেকে প্রচুর ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কঁাঠালের বীজ এবং কঁাচা কঁাঠালের মোচা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। কঁাঠালের খোলস ও পাতা গবাদিপশুর অত্যন্ত প্রিয় খাবার। এ ছাড়া ঘরসজ্জায় কঁাঠাল কাঠের আসবাবপত্র আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলায় এ বছর কঁাঠালের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাছ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির আঙিনায় কঁাঠাল চাষ করা হচ্ছে। কঁাঠাল চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামশর্ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সারা বছর যাতে কঁাঠাল চাষ করা যায়, এ জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে