শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুঞ্জলতা ফুল

নতুনধারা
  ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কুঞ্জলতা লতাজাতীয় ফুল গাছ। এর অন্য নাম তরুলতা, কামলতা, তারালতা, গেটফুল, গেইটলতা, সূযর্কান্তি ইত্যাদি। ইংরেজিতে একে ঈুঢ়ৎবংং ারহব, ঈুঢ়ৎবংংারহব সড়ৎহরহম মষড়ৎু, ঈধৎফরহধষ পৎববঢ়বৎ, ঈধৎফরহধষ পষরসনবৎ, ঐঁসসরহমনরৎফ ারহব ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। পরিবার- ঈড়হাড়ষাঁষধপবধব, উদ্ভিদতাত্তি¡ক নাম- ওঢ়ড়সড়বধ য়ঁধসড়পষরঃ বা ছঁধসড়পষরঃ ঢ়রহহধঃধ পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলে কুঞ্জলতা পাওয়া যায়। কুঞ্জলতার ফুলগুলো সকালে ফোটে বলে একে অনেকেই সূযর্কান্তি বলে ডাকেন। পঁাচকোনা বিশিষ্ট তারকাকৃতি ফুলের গঠনের জন্য একে তারালতাও বলা হয়। বাসাবাড়ির গেটে উৎপাদন হয় বলে গেটলতা বা গেট ফুল এর জনপ্রিয় নামকরণ।

কুঞ্জলতা বষর্জীবী লতা। লম্বায় গড়ে ১ থেকে ৩ মিটার হয়ে থাকে। এর পাতা ২ থেকে ৯ সেন্টিমিটার, গভীরভাবে খÐিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯ থেকে ১৯টি খÐ থাকে। এর ফুলের গঠন ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২ সেন্টিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট। মাইক আকৃতির ফুল পাপড়িতে ৫টি সূচালো অগ্রভাগ থাকেÑ যা দেখতে তারকার মতো। ফুটন্ত ফুল দেখতে খুবই মনোরম। ফুল গন্ধহীন। এর লাল গোলাপি, সাদা রংয়ের ফুলের প্রজাতি রয়েছে। তবে লাল রংয়ের ফুল বেশি ফুটতে দেখা যায়। ফুল ফোটার মৌসুম গ্রীষ্মকাল এবং এর ব্যাপ্তি হেমন্তকাল পযর্ন্ত। ফুল শেষে গাছে ছোট আকৃতির ফল ধরে। ফলের ভেতর থাকে বীজ। পরিপক্ক বীজের রং কালো। বীজ থেকে বংশ বিস্তার করা হয়। সুনিষ্কাশিত রৌদ্রউজ্জ্বল উঁচু ভ‚মি ও দোঅঁাশ থেকে বেলে দোঅঁাশ মাটি এ ফুল উৎপাদনের জন্য বেশি উপযুক্ত। বাড়ির গেট, সীমানার বেড়া বা অন্যান্য বাউনি সৃষ্ট স্থানে এ ফুল উৎপাদন সম্ভব। বাউনি ছাড়া এ ফুল গাছ টিকে থাকতে পারে না। আমাদের দেশের প্রায় সবর্ত্রই বাসাবাড়ি বাগান, ছাদ বাগান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগানে এ ফুল গাছ চোখে পড়ে।

ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<27383 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1