শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের ১২১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে কৃষিপণ্য

কৃষিপণ্য আহরণে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের স্বল্পতা, কোল্ডস্টোরেজের অপ্রতুলতা ও যোগাযোগব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর মোট উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ১২ শতাংশ এবং শাক-সবজি ও ফলমূলের ২০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। তাই এ দিকগুলো বিবেচনায় এনে এই খাতের সব সমস্যা দূর করতে হবে...
কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
  ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বাংলাদেশের কৃষিপণ্য বিশ্বের ১২১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আর গত ছয় অথর্বছরে এ খাত থেকে মোট আয় হয়েছে ৩৫৫ কোটি ৬৫ ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি অথর্বছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বাড়ছে। চলতি (২০১৭-১৮) অথর্বছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি। সবের্শষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই ও আগস্ট মাসে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অথর্বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি। আগের বছরে কৃষিপণ্য রাপ্তানি হয়েছিল ১০ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদনে কীভাবে এ খাত থেকে রপ্তানি আরও বাড়ানো যায় এজন্য সরকারকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে চা, সবজি, তামাক, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। আর এসব পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় সবজি জাতীয় কৃষিপণ্য। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জামাির্ন, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, মরিশাস, ভারত, সুইডেন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, কুয়েত, ভুটান, সিয়েরা লিওন, সেনেগালসহ ১২১টি দেশে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বতর্মানে বিশ্বের ১২১টি দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে।

কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই লক্ষ্যে বিদ্যমান রপ্তানিনীতিতে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যকে সবোর্চ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কতৃর্ক সবক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ চাষব্যবস্থা ও উত্তম কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে মাঠ থেকে বাজারনীতি অনুসরণের প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য উন্নয়নে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাযর্ক্রম গ্রহণ করা হবে এবং বালাইমুক্ত কৃষিপণ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংকে শক্তিশালী করা হবে।

ইপিবি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অথর্বছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয় ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। ২০১৩-১৪ অথর্বছরে এ আয় বেড়ে হয় ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অথর্বছরে আবার রপ্তানি আয় কমে যায়। তখন এ খাত থেকে আয় হয় ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অথর্বছরে আয় হয় ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অথর্বছরে আয় হয় ৫৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আর সবের্শষ ২০১৭-১৮ অথর্বছরে এ আয় বেড়ে হয় ৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এই অথর্বছরের পুরো সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ ছিল ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

ডিসিসিআই পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, কৃষিপণ্য আহরণে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের স্বল্পতা, কোল্ডস্টোরেজের অপ্রতুলতা ও যোগাযোগব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর মোট উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ১২ শতাংশ এবং শাক-সবজি ও ফলমূলের ২০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। তাই এ দিকগুলো বিবেচনায় এনে এই খাতের সব সমস্যা দূর করতে হবে।

এতে এত কৃষিপণ্য নষ্ট না হয়ে রপ্তানি করা গেলে আয় আরও বাড়বে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বাইরে দিন দিন বাড়ছে কৃষিপণ্যের চাহিদা। আর এ চাহিদা পূরণে ভ‚মিকা রাখছে বাংলাদেশ। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর তা রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য আমদানি করছে। তাই এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোতেই ১৫০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানির সুযোগ আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<29575 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1