বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৭০ একরজুড়ে ২৬ প্রজাতির আমের বাগান

নতুনধারা
  ২৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
সীতাকুন্ডের ভাটিয়ালী এলাকায় স্যানমার এগ্রোর আমের বাগান - যাযাদি

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড

সীতাকুন্ডের জঙ্গল ভাটিয়ারি এলাকায় রুক্ষ পাহাড়ের বুকে আমের বাগান গড়ে তুলে সফলতা লাভ করেছেন স্যানমার এগ্রো নামক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ২০০ একর পাহাড়জুড়ে গড়ে তোলা এ ফলের বাগানের ৭০ একর পাহাড়ে বারি জাতের ২৬ প্রজাতির বিষমুক্ত আমচাষ করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে চলতি বছরে এখান থেকে ২৫ টন আম উৎপাদন করেছেন। যার বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় ২৫ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বাগানজুড়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির পাকা আমের সুমধুর ঘ্রাণে মুখর হয়ে উঠেছে সীতাকুন্ড উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল।

সানমার এগ্রোর শ্রমিক চচিং মং মার্মা ও চিং ছাপাই মার্মার সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, অনেক দিন ধরে তারা আমবাগানে কাজ করছেন। তারা বলেন, বাগান পরিচর্যা ও আম মৌসুমে বাগান থেকে আম সংগ্রহ করি আমরা। জায়গাটি পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে বাগানে জঙ্গল ও আগাছা অতি তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয় আমাদের।

এ বস্নকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঝন্টু কুমার নাথ বলেন, জঙ্গল ভাটিয়ারি পাহাড়ি এলাকায় স্যানমার এগ্রোর নিজস্ব আমবাগানে অনেক দেশি-বিদেশি আমগাছ রয়েছে। বিষমুক্ত আমচাষ করছেন তারা। পাহাড়ের মাটি উর্বর বলে আমগাছে কোনো সার দিতে হয় না। শুধু নিয়মিত পরিচর্যা করলেই চলে। পাহাড়ি মাটিতে তেমন সারও দিতে হয় না। প্রাকৃতিকভাবে জৈব সারে পরিণত হয় মাটি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আম উৎপাদনে কারিগরি সহায়তা ও বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, ভাটিয়ারি এলাকাসহ এখানকার অন্যান্য পাহাড়েও আমচাষ হয়েছে।

বাগানের ইনচার্জ কৃষ্ণ লাল নাথ বলেন, এখানে আম্রপালি, গোপাল ভোগ, থাই বানানা, বৈশাখী, মলিস্নকা, হাঁড়িভাঙ্গা, শ্রাবনিসহ কমপক্ষে ২৬ প্রজাতির আম উৎপাদন হচ্ছে। এখানে বার্ষিক ২৫ টন আম উৎপাদন হয়ে থাকে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, বাগানে অন্যান্য আমের চাষ হলেও আম্রপালি জাতের আমের চাহিদা অনেক বেশি। এটি খেতে খুব সুস্বাদু। এ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। আমাদের বাগানের আম বিষমুক্ত হওয়ায় সীতাকুন্ডসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার ও সৌখিন ক্রেতারা আগানে ছুটে আসেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফকাত রিয়াদ বলেন, পাহাড়ি এলাকার মাটি খুবই উর্বর। তাই জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে আমের চাষাবাদ করা গেলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। উপজেলা জুড়ে অন্যান্য পতিত জমিগুলো চাষের আওতায় আনা হয়েছে এবং বাকিগুলোও চাষের আওতায় আনার ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত বছরে ২৫০ হেক্টর জায়গায় অন্তত ২২৫০ জন কৃষক আমচাষ করেছিল। বর্তমানে কৃষকের সংখ্যা পূর্বের মতো একই থাকলেও পতিত জায়গাগুলো চাষের আওতায় আসার কারণে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০ হেক্টরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<60091 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1