মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পুষ্টির চাহিদা মেটাবে জিঙ্ক চাল

আবুল বাশার মিরাজ
  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

জিঙ্ক ঘাটতিজনিত অপুষ্টি দূরীকরণে এই জাতের ধান চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমেই সম্ভব। জিঙ্কসমৃদ্ধ চাল খেলে মানুষ খাটো হয় না। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে। ক্ষুধামন্দা দূর করে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে বায়োফর্টিফাইড জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের 'অভিযোজন এবং বাজারজাতকরণ' শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে হারভেস্টপস্নাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো. খায়রুল বাশার এসব কথা বলেন। হারভেস্ট পস্নাস ওই কর্মশালাটির আয়োজন করে। উদ্বোধনী বক্তব্যে বাকৃবির রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত হয়েছে পাঁচটি বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক ধানের জাত যথা-ব্রি ধান ৬২, ব্রি ধান৬৪, ব্রি ধান৭২, ব্রি ধান৭৪ এবং ব্রি ধান৮৪। মানব শরীরে জিংকের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, জিংকের অভাবে বিশেষত শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া জিংকের অভাবে ক্ষুধামন্দা, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। বন্ধ্যত্ব কমাতে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের চালের ভাত মানুষের মাইক্রোনিউটিয়েন্টের চাহিদা পূরণ করে। বিশেষ করে শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত সহায়ক। দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ৪০ ভাগের বেশি বেটে হয়ে থাকে আর একই বয়সের প্রায় ৫০ ভাগ শিশু জিঙ্ক ঘাটতির শিকার। এসব সমস্যার সমাধান করতে জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<78884 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1