শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সৌখিন ছায়াবৃক্ষ বকুল

নতুনধারা
  ১৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

বকুল মাঝারি থেকে বড় আকারের সুদৃশ্য ও আকর্ষণীয় ফুল গাছ। সৌখিন ও ছায়াবৃক্ষ হিসেবে বকুল গাছের জুড়ি নেই। বৃক্ষ জাতীয় এ ফুল গাছ লম্বায় মাঝারি, কান্ড সরল, গাছের উপরি শাখা-প্রশাখা গোলাকার আকৃতির হয়। পাতা উজ্জ্বল কালচে সবুজ, ফুল ঘিয়ে রঙের, মিষ্টি সুগন্ধে ভরা। মে মাসের শুরুতে গাছে অল্প পরিমাণে ফুল ফোটা শুরু হয়ে জুন মাসে সারা গাছের শাখা-প্রশাখায় অসংখ্য পরিমাণে ফুল ফোটতে দেখা যায়। ফুলের সুভাস বাতাসে অনুভব করা যায়। বকুল ফুলের মালা ছোট বড় সবার কাছে অতি প্রিয়, তা ছাড়া ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুগন্ধ নষ্ট হয় না। ফুল শেষে গাছে ফল হয়, ফলের রয়েছে ভেষজ গুণাগুণ। তা ছাড়া ফল বিভিন্ন পাখির প্রিয় খাদ্য। আমাদের দেশের রাজধানী শহর ঢাকাসহ সারাদেশের সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন, পার্ক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থানে ছোট-বড় বকুল ফুলের গাছ চোখে পড়ে। বীজ থেকে বংশ বিস্তার হয়। সাধারণত চারা গাছ রোপণের ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে গাছে ফুল ধরে।

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের তৎকালীন হিন্দু জমিদার সত্যেন্দ্র মোহন মজুমদারের বাড়ির পূর্বপার্শ্বে কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা মহাসড়ক, সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে বহুবর্ষী এক বকুল গাছ। গাছটির ব্যাপারে তথ্য জানতে এ গ্রামের কৃষ্ণচন্দ্র দে বাবুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বকুল ফুল গাছটি তিনি ছোটবেলা থেকে অদ্যবধি এমনই দেখে আসছেন, যা আজও টিকে আছে। তিনি আরো জানান, বকুল ফুলের গাছটির আনুমানিক বয়স ১৫০ বৎসরের উপরের হবে। গাছটি বর্তমানে পুকুরের উপরে কিছুটা হেলে আছে। গ্রীষ্মে এ গাছে প্রতি বছর নিয়মিত ফুল ধরে, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ফুল কুঁড়িয়ে মালা তৈরি করে, গাছের ছায়ায় পথিক বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। তা ছাড়া দূরদূরান্ত হতে অনেক দর্শনার্থী গাছটি দেখতে আসেন।

লেখা ও ছবি : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<92579 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1