শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শালিকের শান্তির নীড়

ইমানুল সোহান
  ২৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলের শিক্ষাথীের্দর

প্রকৃতি ও জীবন পরিপূরক। মানুষ প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে ভালোবাসে। আর প্রকৃতির বড় সৌন্দযর্্য হচ্ছে পাখি। পাখির কলকাকলি প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে রাখে। ঠিক তেমনি শালিক পাখি প্রাণবন্ত করে রাখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে। ১৭৫ একরের ক্যাম্পাস যেন শালিক পাখির অভয়ারণ্য। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই দেখা মিলে এই পাখির।

এই পাখির কিচির মিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষাথীের্দর। ক্যাম্পাসের অনবদ্য অংশ হয়ে দঁাড়িয়েছে পাখিটি। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে পাখিটির বিচরণ বেশি। শিক্ষাথীের্দর সাথে পাখিটির সখ্যতা হয়ে গেছে। এই পাখিকে ক্যাম্পাসের সবাই ভালোবাসে। তার বহিঃপ্রকাশ হলের ক্যাফেতে বসলে দেখা যায়। শিক্ষাথীের্দর পাশে শালিক বসে আহার গ্রহণ করে। কেউ তাদের ভয় দেখায় না।

এই পাখিটি পূবর্ আকাশে সূযর্ ওঠার আগেই আহারের খেঁাজে শিক্ষাথীের্দর রুমে প্রবেশ করে। আবাসিক হলগুলোতে যারা রান্না করে। এই পাখিটি সেই রুমগুলোতে জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। তবুও কোনো শিক্ষাথীর্ এই পাখিকে আটকে রাখে না। ভরে না আবদ্ধ খঁাচায়।

এ জন্যই এই ক্যাম্পাস শালিক পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এখন পাখিটির ঘরে নতুন অতিথির আগমন হয়েছে। যার মধ্যে মমতাময়ী মায়ের ভালোবাসার দৃশ্য অনুধাবন করা যায়। শালিক পাখিটি যখন তার নবাগত সদস্য পাখিকে মুখে করে আহার নিয়ে খাওয়ায়। তখন তা দেখলে মন ভরে যায়।

বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে শালিক পাখির কিচিরমিচির শব্দে ক্যাম্পাসের প্রকৃতির রুপে ভিন্নতা মিলে। তখন আবাসিক হলের ছাদের উপরে ঝঁাক ভরা পাখির দেখা মিলে। এই দৃশ্য উপভোগ করতে শিক্ষাথীর্রা ছাদের উপরে উঠে। পাখির সংস্পশের্ এসে সেলফি তোলার চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে অথর্নীতি বিভাগের তৃতীয় বষের্র শিক্ষাথীর্ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম যেদিন ক্যাম্পাসে আগমন ঘটে আমার, সেদিনেই আমি এই পাখিগুলোর প্রেমে পড়ে যাই। কারণ এই পাখিগুলো নিভীর্ক। তারা মানুষকে দেখে ভয় পায় না। বিশেষ করে খুব সকালে ও পড়ন্ত বিকেলে এই পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দ আমাকে অভিভূত করে।’

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র ছাত্রী আশরাফিয়া তাসনিম বলেন, ‘শহুরে বেড়ে ওঠা আমার। কখনো এমনিভাবে পাখির কাছাকাছি আসতে পারিনি। যেমনিভাবে ক্যাম্পাসে এসে শালিক পাখির কাছাকাছি আসতে পেরেছে। অনেক ভালোবেসে ফেলেছি এই পাখিগুলোকে।

এই অভিব্যক্তি ১৬ হাজার শিক্ষাথীর্র। দিনের পালাবদলে প্রকৃতি হতে পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। সৌন্দযর্্য হারাচ্ছে শস্য-শ্যামলা আমাদের জন্মভূমি। এই ক্যাম্পাসের মতো সারাদেশে থাকুক পাখির অবাধ বিচরণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<9671 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1