তল্লার প্রজাপতি
হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
প্রজাপতির নাম তল্লার প্রজাপতি। পিয়েরিডি গোত্রের অন্তভুর্ক্ত এ প্রজাপতিটির ইংরেজি নাম কমন ওয়ান্ডারার (ঈড়সসড়হ ডধহফবৎবৎ) আর বৈজ্ঞানিক নাম চধৎবৎড়হরধ াধষবৎরধ (ঈৎধসবৎ). এদের ডানার বিস্তার প্রায় ৬৫-৮০ মিলিমিটার। কালো শিরার ওপর উজ্জ্বল আকাশী রঙের ডানা দেখে পুরুষ প্রজাপতিটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। শিরার ওপর দিয়ে টানা গাঢ় কালো রেখা। ডানার প্রান্তে মোটামুটি চওড়া কালো রেখা, শীষের্র কাছে তুলনামূলকভাবে বেশি চওড়া। নিচের পিঠ সে তুলনায় খুব ফ্যাকাশে, শিরা বরাবর কালো দাগগুলোও নিষ্প্রভ। স্ত্রী প্রজাপতিটির ডানা মলিন আকাশী রঙের।
এবারে এসো তল্লার প্রজাপতির স্বভাব সম্পকের্ কিছু তথ্য জেনে নিই। গরমের শুরুতে কিংবা বষার্র ঠিক পরের দিনগুলোয় খুব সহজেই এদের দেখা মেলে। সাধারণত পুরুষ প্রজাপতিটিকেই বেশি চোখে পড়ে। উড়ন্ত স্ত্রী প্রজাপতি দেখতে বøু-টাইগারের মতো। তবে বøু-টাইগার প্রজাপতি তুলনামূলকভাবে বড়। তল্লার প্রজাপতিদের মাঝেমধ্যে মাটির কাছাকাছি কোনো গাছের কাÐ বা ডালে ছায়া পড়া নিরাপদ কোণে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। ভরদুপুরে কখনো ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে উড়ে উড়ে আর একটা গাছের পাতা ছুঁয়ে উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। পুরুষ প্রজাপতিটি খুব দ্রæত গতিতে উড়ে বেড়ায়। উজ্জ্বল আকাশী রঙের ঝলকের দিকে মনের অজান্তেই কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হয় যতক্ষণ না প্রজাপতিটি কোনো ঝোপের পেছনে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার অনেক দেশেই এ প্রজাপতিটি দেখতে পাওয়া যায়।
মাচু পিচু
হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
মাচু পিচু! নামটাই কেমন অদ্ভুত, তাই না? আসলে আজকে আমরা যেসব জিনিসের নাম জানব তাদের সবগুলোর নামই বেশ অদ্ভুত। এমনকি ইনকাদের প্রাচীন এই ভাষাটিরও নাম বেশ অদ্ভুতÑ ‘কুয়েচুয়া’ ভাষা। কুয়েচুয়া ভাষায় মাচু পিচু শব্দের অথর্ হচ্ছে ‘পুরনো চুড়ো’। পাহাড়ের চ‚ড়ায় তৈরি করা হয়েছিল বলেই হয়তো তারা শহরটির এমন নাম দিয়েছিল। শুনলে অবাক হতে হয়, মাচু পিচু শহরটি নাকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মিটার (৭,৮৭৫ ফিট) উঁচুতে অবস্থিত। অথার্ৎ কিনা, আমাদের দেশের সবোর্চ্চ চ‚ড়া তাজিনডংয়ের (১২৩১ মিটার) চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতায়! এত উঁচুতে কীভাবে তারা একটা আস্ত শহর তৈরি করে ফেলল, সেটাই কিন্তু একটা বিরাট ভাবনার বিষয়। তাও আবার সেই কত্ত বছর আগে। মাচু পিচু নিমির্ত হয় প্রায় ৫৫০ বছর আগে, ১৪৫০ সালের দিকে।
এশিয়ার বড় বানর
হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
প্রোবোসিস বানর এশিয়ার অন্যতম বড় বানর। পুরুষ বানররা দৈঘের্্য ৬৬ থেকে ৭৬.২ সেন্টিমিটার পযর্ন্ত হয়। এদের ওজন হয় ১৬ থেকে ২২.৫ কেজি পযর্ন্ত। তবে কিছু কিছু অতিকায় বানরের ওজন এমনকি ৩০ কেজি পযর্ন্ত হয়। মেয়ে বানররা দৈঘের্্য ৫৩.৩ থেকে ৬২ সেন্টিমিটার পযর্ন্ত হয়। এদের ওজন হয় ৭ থেকে ১২ কেজি পযর্ন্ত। সবোর্চ্চ ১৫ কেজি পযর্ন্ত হতে দেখা যায় এদের। পুরুষ বানরের নাক লম্বায় ১০.২ সেন্টিমিটারেরও বেশি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মুখের নিচে হাস্যকরভাবে ঝুলে থাকে তা। এদের পিঠের লোম উজ্জ্বল কমলা, লালচে বাদামি, হলদে বাদামি কিংবা ইটের মতো লাল হতে পারে। মুখের রং হয় কমলা-গোলাপি।