বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

মেক্সিকোর

গুহা মাছ

য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক

মেক্সিকোর দক্ষিণে জকু উপজাতির মানুষ এক অদ্ভুত রীতি পালন করে। ফসল ওঠার আগে তারা দলবেঁধে স্থানীয় একটি সালফিউরিক খনিজে নির্মিত গুহাতে যায়। সেখানে ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। তারপর বিচার করে ঈশ্বর তাদের আকুতি শুনেছে কিনা। এজন্য বেছে নেয় সালফিউরিক গুহার ভেতরের একটি হ্রদকে। এখানে বসবাস করে আটলান্টিক মোলি নামে এক প্রজাতির মাছ। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত বারবাসকো গাছ থেকে এক ধরনের পেস্ট তৈরি করে নেয় তারা। মৃদু বিষাক্ত এই নির্যাস পানিতে মিশিয়ে দেয়া হয়। এই বিষ মাছের জন্য প্রাণঘাতী। হাজারে হাজারে মাছ মরে ভেসে ওঠে। যত বেশি মাছ ভেসে উঠবে, তাদের বিশ্বাস, ঈশ্বর তত বেশি সদয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরে ঈশ্বর তাদের প্রতি খুব বেশি সদয় হতে পারেননি! কেননা আটলান্টিক মোলি এই নিষ্ঠুর কাজের বিরুদ্ধে নিজেদের দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে নিয়েছে। এখন বারবাসকো গাছের নির্যাসে তাদের ক্ষতি হয় না। অবশ্য ওদের এ মুহূর্তে আর এই অতিরিক্ত ক্ষমতার প্রয়োজন নেই, কারণ আদিবাসীদের এই রীতি এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দুষ্টু টিয়া

পাখির কান্ড

য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক

বার কয়েক অগ্নিকান্ডের সতর্কসংকেত শুনে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা দ্রম্নত ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও ছুটলেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে। কিন্তু যে বাড়িতে সতর্কসংকেত বেজেছে, সেখানে পৌঁছানোর পর যেন সবার চোখ কপালে উঠে গেল। কোথায় আগুন! এ যে এক দুষ্টু টিয়া পাখি অগ্নিকান্ডের সতর্কসংকেতের শব্দ নকল করছে!

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের নর্দাম্পটনশায়ারের ডাভেনট্রির একটি বাড়িতে গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে। নর্দাম্পটনশায়ারের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানায়, তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ওই বাড়ির লোকজন তাদের জানান, সেখানে কোনো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেনি। এরপরও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাড়ির ভেতর কোথাও আগুন ধরেছে কিনা জানতে অনুসন্ধান চালান। ওই অনুসন্ধানের একপর্যায়ে দেখা যায়, বাড়িতে খাঁচায় বন্দি একটি টিয়া পাখি অগ্নিকান্ডের সতর্কসংকেতের শব্দ নকল করছে।

নর্দাম্পটনশায়ার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের ওয়াচ কমান্ডার নরম্যান জেমস বলেন, দুষ্টু টিয়া পাখির কান্ড দেখে হেসেই খুন হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারা ভাবতেই পারেননি, একটি টিয়া পাখি এভাবে বোকা বানাতে পারে।

বিষ প্রতিরোধী ইঁদুর

য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক

ইঁদুর মানুষের বহুদিনের পুরনো সঙ্গী। সম্ভবত যখন মানুষ কৃষিকাজ শুরু করেছে, তখন থেকেই ইঁদুররা মানুষের পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। তবে মানুষ তার এই সঙ্গীকে খুশিমনে গ্রহণ করেনি। মানুষের শ্রমসাধ্য ফসলের ক্ষেত তারা যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে বারোটা বাজিয়ে আসছে, তাতে এহেন সঙ্গীকে কে বা চাইবে? তার উপরে আছে প্রাণঘাতী পেস্নগসহ আরও কয়েক ডজন রোগ। হ্যামিলিন শহরের গল্প মনে আছে তো? ইঁদুরের উৎপাতে কি বেকায়দাতেই না পড়েছিল শহরবাসী। তাই ইঁদুরকে খুশিমনে নিতে না চাইলে তাতে দোষ দেয়ারও কিছু নেই।

ইঁদুরকে দমন করার জন্য মানব সম্প্রদায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলের শরণাপন্ন হয়েছে। আমাদের অতি আদরের বিড়াল পোষাও বলতে গেলে ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচার জন্যই। তার উপরে আছে হরেক রকমের ফাঁদ। ইঁদুর দমনে শেষ সংযোজন রাসায়নিক বিষ। তবে ইঁদুররা যে হাসিমুখে এসব মেনে নিয়েছে তা নয়, তারাও যথাসাধ্য চেষ্টাচরিত্র করে চলেছে নিজেদের জানমাল টিকিয়ে রাখার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে সুপার মাউস!

মানুষের ব্যবহার করা ইঁদুর প্রতিরোধী বিষকে দিব্যি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলেছে এরা। স্প্যানিশ এবং জার্মান ইঁদুরের দুটি জাতের সংকরায়নের ফলে উদ্ভূত এই সুপার মাউস আসলেই সুপার পাওয়ারের অধিকারী। ইঁদুরজাতীয় প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করা হতো ওয়ারফেরিন নামে একধরনের পদার্থ। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং ইঁদুরজাতীয় প্রাণীদের দেহে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ করে; অন্তত এই সেদিন পর্যন্ত করত। কিন্তু নতুন এই সুপার মাউসরা সেসবকে দিব্যি কাঁচকলা দেখিয়ে তাদের তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<70692 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1