মাহবুব : নিশ্চয় ভালো আছো?
অয়ন : জি, বেশ ভালো আছি।
মাহবুব : পড়াশোনা করছো কোথায় এখন?
অয়ন : বরিশাল জিলা স্কুলে পড়ছি। এবার ১০ম শ্রেণিতে আছি।
মাহবুব : তোমার পড়াশোনার কোন দিকটা বাংলাবিদে তোমাকে এগিয়ে রেখেছে বলে মনে হয়?
অয়ন: ছোটবেলা থেকেই পছন্দের বিষয় বাংলা। অন্যান্য বিষয় পড়তে একঘেয়েমি লাগলেও বাংলা পড়তে কখনো একঘেয়েমি কাজ করত না; কারণ বাংলা পড়তাম ভালোলাগা থেকে, ভালোবাসা থেকে। 'ইস্পাহানি মির্জাপুর-বাংলাবিদ'-এ এটাই আমাকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে বলে আমার মনে হয়।
মাহবুব : বাংলাবিদে অংশ নেওয়ার পেছনে কারও না কারও অনুপ্রেরণা পেয়েছো নিশ্চয়ই! সে বিষয়ে একটু জানতে চাই?
অয়ন : বাংলার শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয় মণিকা রায়ের অনুপ্রেরণায়ই 'ইস্পাহানি মির্জাপুর-বাংলাবিদ'-এর জন্য নিজেকে একটু একটু করে প্রস্তুত করে তোলা। আর আমার সব কাজে মা-বাবা ও ঠাম্মার আশীর্বাদ-ভালোবাসা ছায়া হয়ে কাজ করে। মূলত পরিবারের ভালোবাসা আর মণিকা রায় ম্যাডামের উৎসাহই 'ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ'- এ সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেছে।
মাহবুব: বাংলাবিদে এসে নতুন কী কী শিখতে পেরেছো?
অয়ন: 'ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ'-এর যাত্রাকালের প্রতিটি মুহূর্তেই নতুন নতুন বিষয় শিখেছি। শুধু উচ্চারণ, সাহিত্য বা ব্যাকরণই নয়; জীবনবোধ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। একান্নবর্তী পরিবার থেকে এতগুলো দিন বাইরে থাকবো কোনোদিনও ভাবতে পারিনি। প্রচন্ড মন খারাপ করত, তবুও সেই মন খারাপ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি যখন এত কষ্টই করলাম তখন ভালো কিছু করতেই হবে।
মাহবুব : বাংলাবিদে এসে নিশ্চয়ই কিছু বন্ধু পেয়েছো! তাদের সম্পর্কে একটু জানতে চাই...
অয়ন : অবশ্যই এ মঞ্চে এসে অনেক ভালো ভালো বন্ধু পেয়েছি। আমরা যারা সেরা ৬-এ ছিলাম, তারা সবাই প্রচন্ড ভালো বন্ধু হয়ে গেছি। সব মিলিয়ে বলতে গেলে অন্তিকা, সৌমিক, প্রাপ্তি, দিহান, সন্দীপন, ইমদাদ এদের কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
মাহবুব : বাংলাবিদের এই পুরো জার্নি তোমার দৃষ্টিতে যদি মূল্যায়ন করতে বলি!
অয়ন : 'ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ'-এ যারা আসে, তারা সবাই বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে আসে। আর আমার মতে, বাংলাবিদের ক্যাম্প হচ্ছে সারা বাংলাদেশের এক মিলনমেলা। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সমবয়সী যারা আসে, তারা একে অপরের সম্পর্কে সেই অঞ্চল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। আর বাংলাবিদ প্রতিযোগিতার ফলাফল যাই হোক না কেন, আমরা যে বাংলাবিদ পরিবারের সদস্য হয়েছি- সেই পরিবার কোনো ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হয় না। আমরা এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত; তাই বাংলাবিদ পরিবার কখনো ভাঙবে না। আর বাংলাবিদের যাত্রাকালের ওই দিনগুলো হৃদয়ের মণিকোঠায় আজীবন ভাস্বর হয়ে থাকবে।
মাহবুব : শেষ একটা প্রশ্ন, অবসরে কী করা হয়?
অয়ন : অবসর সময় কাটে লেখালেখি করে; বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ে। পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডা দেওয়া অবসরের সবচেয়ে পছন্দের কাজ।