বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কিশমিশয়ে কমর্ক্ষমতা বাড়ে

কিশমিশ রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও কিশমিশ ভীষণ উপকারী...
য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ৩০ জুন ২০১৮, ০০:০০

কেউ দেন পায়েসে, কেউ ধেঁায়া ওঠা পোলাওয়ে। অনেকে আবার বিরিয়ানি স্পেশ্যাল করতেও উপরে ছড়িয়ে দেন। যেখানেই পড়–ক না কেন, স্বাদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। অনেকে আবার খাবার প্লেটে আলাদা করে পাশে রেখে দেন। যাতে খাওয়ার শেষে কিশমিশের টকমিষ্টি স্বাদটা মুখে থেকে যায়। তবে কেবল স্বাদেই অতুলনীয় নয় ছোট এই ড্রাই ফ্রুট, তার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে মহিলাদের তো রোজই নিয়ম করে কিশমিশ অথবা কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়া উচিত। কারণ-সমীক্ষা বলছে প্রত্যেক মহিলার দিনে নিদির্ষ্ট পরিমাণ কিশমিশ খাওয়া উচিত। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পাবে কিন্তু কোনো ফ্যাট থাকবে না।

কিশমিশে পযার্প্ত পরিমাণে কাবোর্হাইড্রেট থাকে। আর এর মিষ্টত্ব শরীরকে শক্তি জোগায়। এতে কমর্ক্ষমতা বাড়ে।

বেশির ভাগ মহিলার শরীরে আয়রনের কমতি থাকে। তারা রক্তাল্পতায় ভোগেন। এমন সমস্যায় কিশমিশ ভীষণ উপকারে লাগে। এতে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকে।

ছোট্ট এই ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও থাকে। যা পেশি সংকোচনের হার কমিয়ে দেয়। আবার স্নায়ুতে রক্তপ্রবাহের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।

হৃৎপিÐের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের তো রোজ কিশমিশ খাওয়া উচিত। কারণ তা হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিশমিশ রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও কিশমিশ ভীষণ উপকারী। শুধু কিশমিশ কেন কিশমিশ ভেজানো জল খেলেও এই একই উপকার পাওয়া যায়। কেমন করে বানাবেন এই কিশমিশ ভেজানো জল?

প্রথমে একটি পাত্রে দুই কাপ জল নেবেন। তাতে দেড়শো গ্রাম কিশমিশ দিয়ে সারারাত রেখে দেবেন। জলে দেয়ার আগে কিন্তু কিশমিশগুলো একবার অবশ্যই ধুয়ে নেবেন। পরদিন সকালে কিশমিশ ছেঁকে নিয়ে জলটি হালকা গরম করে নেবেন।

ব্যস, ওই জলটি খেয়ে নেবেন। তবে কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়ার পরের আধ ঘণ্টায় কিছু খাবেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এভাবে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে, প্রভাব নিজেই বুঝতে পারবেন।

ওয়াল্ডর্ হেল্থ অগার্নাইজেশনের সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যে, প্রত্যেক বছর সাত মিলিয়ন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় তামাক। তা ছাড়া হাটর্ অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয় ২ মিলিয়ন মানুষের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে