শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মেয়েদের প্রস্রাবে

জ্বালাপোড়া

মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান একটি উপসগর্ প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করার প্রধান জীবাণুটি হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে ছত্রাক ও ভাইরাস এ ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি করে। মেয়েদের মূত্রনালি পায়ুপথের খুব কাছে থাকে বলে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ই-কালাই নামে জীবাণু ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রস্রাবের প্রদাহ ঘটিয়ে থাকে। সেফাইলোকক্কাস স্পোরোফাইটিকাস নামে জীবাণু মেয়েদের ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রস্রাবের প্রদাহ কারণ অনেক সময় যৌনসঙ্গমের কারণেও জীবাণু মূত্রনালিতে প্রবেশ করে। এসব জীবাণু মূত্রনালি পথে মূত্রথলি ও কিডনিতে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে শুধু প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে না, বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়, ফেঁাটায় ফেঁাটায় প্রস্রাব পড়ে। প্রস্রাবের রং ধোয়াটে, দুগর্ন্ধযুক্ত ও পরিমাণে কম হয়। মাঝেমধ্যে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যৌনকাজে অনিচ্ছা জাগে। অনেক সময় শরীরে জ্বর আসে। মাঝেমধ্যে বমি হতে পারে। নববিবাহিত মেয়েদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে। গভর্বতী মহিলারা প্রস্রাবের প্রদাহে আক্রান্ত হতে পারে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রচুর পানি খেতে হবে চিকিৎসকের পরামশর্ মতো। এ সময় সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। গভর্বতী মহিলাদের চিকিৎসকের পরামশর্ নিতে হবে।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে? ১. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এত বেশি হতে হবে, যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয়। ২. দিনে দুই-তিন ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব করতে হবে। কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। ৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে। ৪. সহবাসের পর ভালো করে পানি দিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা পরিষ্কার করতে হবে। ৫. মলত্যাগের পর শৌচাকাজে সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। যাতে ওই পানি প্রস্রাবের রাস্তায় না আসে।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

ঋতু বদল এবং

উচ্চ রক্তচাপ

শরীরের ওপর প্রকৃতির প্রভাব অপরিসীম। পৃথিবীর আহ্নিক গতির সঙ্গে যেমন দেহঘড়ির সখ্য রয়েছে। তেমনি নানাবিধ ব্যাধির ওপর বাষির্ক গতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের ওপর ঋতু বদলের কোনো প্রভাব রয়েছে কিনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোনো কারণ জানা নেই। খুব স্বল্পসংখ্যক রোগীর উচ্চ রক্তচাপের অন্তনিির্হত কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়। যেমনÑ কিডনির রোগ কিংবা হরমোন সংক্রান্ত জটিলতা। ধারণা করা হয় প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপ পরিবেশগত কারণ এবং বংশগতির প্রভাব এ দুইয়ের মিথস্ক্রিয়ার ফলে হয়ে থাকে। স্বভাবতই উচ্চ রক্তচাপের ওপর পরিবেশের প্রভাব থাকা বিচিত্র নয়। উচ্চ রক্তচাপের অনেক রোগীই নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন শীতকালে নিয়মিত ওষুধ সেবন সত্তে¡ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। আবার গ্রীষ্মকালে রক্তচাপ অনেকেরই কমে যায়। প্রকৃতির তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরের রক্তনালি সংকুচিত হয়ে যায়। সংকুচিত রক্তনালির মধ্যদিয়ে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ জন্য শীতকালে আমাদের সবারই রক্তচাপ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি থাকে। আর যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী তারা ওষুধ সেবন করা সত্তে¡ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া শীতের কারণে শরীরে আরও দুটি প্রতিক্রিয়া ঘটে। সাধারণত দেখা যায়, শীতকালে আমাদের ওজন বেড়ে যায় এবং শারীরিক পরিশ্রম তুলনামূলকভাবে কমে যায়। ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কমতি এ দুটোই রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে শীতকালে তাদের সতকর্ থাকতে হবে। নিয়মিত রক্তচাপ মাথার পাশাপাশি ওষুধের মাত্রা কমবেশি ব্যবহার করার দরকার হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামশর্ নেয়া ভালো।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<20581 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1