বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাই সুস্থ দাঁত ও মাড়ি

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

দাঁত ও মাড়ির অসুখ থেকে বাঁচতে নিচের সাধারণ কিছু প্রয়োজনীয় টিপস কাজে লাগবে।

শিশুদের দাঁত নিয়মিত পরীক্ষা করুন, দেখা যায় প্রতি চারজন শিশুর একজন ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতের ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয় স্কুলে যাওয়ার বয়স হওয়ার আগেই। শিশুর প্রথম দাঁত ওঠে ছয় মাস বা এরকম বয়সে। এ সময় থেকেই তার দাঁতের যত্ন নিতে হবে। প্রথম দিকে ভেজা পাতলা ও নরম কাপড় দিয়ে দাঁত মুছে দিন। ধীরে ধীরে ব্রাশ করতে শেখান, ব্রাশে প্রথমেই টুথপেস্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই। একটু খাবার পানিতে ব্রাশ ভিজিয়ে দিন এতেই চলবে। এভাবে তার মধ্যে ব্রাশ করার অভ্যাসটিও তৈরি হবে।

মুখে প্রথম স্থায়ী দাঁত ওঠে ছয় বছর বয়সের দিকে। মাড়ির দিকের এ দাঁতটি ফার্স্ট মোলার নামে পরিচিত। এ দাঁতটিকে অনেকেই দুধ দাঁত মনে করেন বলে ঠিকমতো গুরুত্ব দেন না। ফলে ক্যারিজ বা ক্ষয় রোগ হয়ে মুখের খুব গুরুত্বপূর্ণ দাঁতটি নষ্ট হয়ে যায়। যাতে এ গুরুত্বপূর্ণ দাঁতটি অকালেই নষ্ট না হয় সে জন্য অনেক সময় দাঁতে ক্ষয়রোগ শুরু হওয়ার আগেই পিট অ্যান্ড ফিসার সিলান্ট নামে এক ধরনের ফিলিং দেয়া হয়।

ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা ভলো। স্বাভাবিক মতো ফ্লোরাইড দাঁতের এনামেল গঠনে ভূমিকা রাখে ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে, অনেক মাউথ ওয়াশেও ফ্লোরাইড থাকে, সাধারণত সাদা রঙের টুথপেস্টগুলো ফ্লোরাইডের মতো ঠিক আছে কিনা তা জানার উপায় নেই। তাই ভালো ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

দুপাশ ব্রাশ করুন সঙ্গে ফ্লস করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও সকালে নাশতা খাওয়ার পর ব্রাশ করলে বেশি উপকার পাওয়া যায় আর ফ্লস করতে হয় খাবার খাওয়ার পরপর। সাধারণত মাংস জাতীয় খাবার খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা আটকে থাকে। সেগুলো ব্রাশ করলে পরিষ্কার হয় না। এক ধরনের সুতা দিয়ে তা পরিষ্কার করতে হয়। এ সুতাই ফ্লস নামে পরিচিত, আবার একই ব্রাশ মাসের পর মাস ব্যবহার করলেও দাঁত পরিষ্কার হয় না। তাই প্রতি দুই মাস অন্তর ব্রাশ বদলানো উচিত।

খাওয়ার পর ভালো করে কুলি করুন। বিশেষ করে যখন বিস্কুট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া হয় তখন এগুলো দাঁতে আটকে থেকে ক্ষয়রোগের সৃষ্টি করে। কুলি করার অভ্যাসের সঙ্গে মাউথওয়াশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী কিছু উপাদান থাকে। যা মুখের ভেতরে জীবাণুর আক্রমণ সীমিত রাখে। চিনিযুক্ত খাবার কম খান। চিনিযুক্ত খাবার মুখে কিছু সময় থাকলে এসিড তৈরি হয়। ক্যারিজ বা ক্ষয়রোগের শুরু হয় এ এসিড যখন দাঁতে এনামেলে ক্ষত সৃষ্টি করে তখন থেকে। ধূমপান করবেন না। পান খাবেন না। নিকোটিন শরীরের সৃষ্টির জন্যও দায়ী পানের সঙ্গে থাকে সুপারি জর্দা ও চুন এর সবই ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া পান সিগারেট খেলে দাঁতের রঙও নষ্ট হয়, মুখে দুর্গন্ধ হয়।

দাঁতের মাড়ি থেকে ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়লে তা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। মাড়ি থেকে সাধারণত জিনজিভাইটিস হলেই রক্ত পড়ে আরো কিছু শারীরিক অসুখেও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মানলে অনেক বড় অসুখ থেকে বাঁচা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<42147 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1