ডিহাইড্রেশন কি?
প্রচন্ড গরমে ঘাম, প্রস্রাব, মল এসবের সঙ্গে শরীর থেকে দ্রম্নত পানি ও লবণ বেরিয়ে গেলে ডিহাইড্রেশন বা পানিস্বল্পতা সৃষ্টি হয়। এই ডিহাইড্রেশনের কারণে কিডনি, মস্তিষ্ক, লিভার, পাকস্থলী, ফুসফুসের মতো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ
যেসব লক্ষণে আপনার ডিহাইড্রেশন বা পানিস্বল্পতা হয়েছে বুঝবেন-
* ঘুম ঘুম ভাব
* গলা শুকিয়ে যাওয়া
* প্রস্রাব কম হওয়া
* ক্লান্তি
* মাথাব্যথা
* তৃষ্ণাবোধ
* মাথা ঝিম ঝিম করা
* দুর্বলতা
* মাংসপেশির দুর্বলতা
* কোষ্ঠকাঠিন্য
ঘরোয়াভাবে পানিস্বল্পতা দূর করার উপায়
পানি : যেহেতু শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিয়েছে, তাই প্রতিদিন নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করলে ডিহাইড্রেশন দূর হবে। গ্রীষ্মের তীব্র গরমে যেহেতু শরীর থেকে পানি দ্রম্নত বের হয়ে যায়, তাই এ সময় একটু বেশি পান করাই ভালো। এ কারণে প্রতিদিন ৮-১০ গস্নাস পানি পান করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক থাকে। আপনার শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক আছে, তা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো- প্রস্রাবের রং কেমন আছে তা দেখা। যদি প্রস্রাব হলুদ হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পানিস্বল্পতার সৃষ্টি হয়েছে।
লেবু পানি : প্রচন্ড গরমে লেবু পানি খুব উপকারী এক পানীয়। লেবু পানি শরীরের পানির ঘাটতি ও শরীর থেকে চলে যাওয়া মিনারেল ঘাটতিও মেটায়। এক গস্নাস পানিতে অর্ধেকটা লেবু চিপে তাতে মধু মিশিয়ে পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
ডাবের পানি : ডিহাইড্রেশন দূর করতে ডাবের পানি বেশ উপকারী। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের মিনারেল ঘাটতিও দ্রম্নত মেটায়।
বার্লি পানি : বার্লি মেশানো পানি পান করলে ডিহাইড্রেশন সমস্যা দূর হয়। কারণ বার্লিতে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এতে ফোলেট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এসব থাকে। বার্লি মেশানো পানি আপনার শরীরও ঠান্ডা রাখবে। এ ক্ষেত্রে ৩/৪ কাপ পানির সঙ্গে এক কাপ বার্লি মেশাতে হবে। এরপর ওই মিশ্রণ ৪০-৫০ মিনিট ফুটাতে হবে। এরপর পানি ছেঁকে নিতে হবে। পরে সেই পানি ঠান্ডা করে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।
য়