সম্প্রতি আমেরিকার কিছু গবেষক আমের ওপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত আম খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাটর্ অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে।

আম শুধু হাটের্রই খেয়াল রাখে না, অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে আমে থাকা বেশ কিছু বায়ো-অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড নানাভাবে শরীরের উপকার করে। বিশেষত, ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি একাধিক রোগের হাত থেকে আপনাকে বঁাচাবে আম।

ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টানা ১২ সপ্তাহ এক পিস করে আম খাওয়া শুরু করলে রক্তে শকর্রার মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে-কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আসলে আমের উপস্থিত ফাইবার এবং অন্যান্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রপাটিজ এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। তাই পরিবারে যদি এই রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামশর্ করে এই ফলটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করতেই পারেন। দেখবেন উপকার পাবেনই পাবেন!

শরীরে এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে : আমের মধ্যে থাকা টাটেির্রক, ম্যালিক এবং সাইট্রিক এসিড শরীরের অন্দরে ‘অ্যালকালাইন ব্যালেন্স’ ঠিক রাখতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শরীরকে সুস্থ রাখতে এসিডের ভারসাম্য ঠিক রাখাটা কতটা জরুরি।

অ্যানজিওগ্রাম কখন করবেন?

ত্বকের সৌন্দযর্ বাড়ায় : বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে যদি ভালো করে ত্বকের মাসাজ করা যায়, তাহলে স্কিনের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলোও খুলতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তে শুরু করে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায় : আমে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম উপস্থিত রয়েছে, যা খাবার হজম যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। তাই এই ফলটি খেলে হজমের সমস্যা মাথা তুলে দঁাড়ানোর সাহসই পায় না। চিকিৎসকদের মতে আমের মধ্যে থাকা ফাইবারও এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে থাকে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: দীঘর্ক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার জন্য বাড়ছে চোখের পাওয়ার? কোনো চিন্তা নেই! আম খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন দৃষ্টিশক্তি নিয়ে আর কোনো চিন্তা থাকবে না। আসলে আমে উপস্থিত ভিটামিন এ, এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে থাকে।