বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ১৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

নখ পরিচর্যায়

৮টি টিপস্‌

রূপচর্চায় আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। কিন্তু নখ আমাদের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলেও নখের যত্ন আমাদের তেমন একটা ভাবায় না। আমরা মনে করি, বাহারি রঙের নেইলপলিশে নখকে রাঙিয়ে নিলেই যথেষ্ট। কিন্তু এই নেইলপলিশের নিচে নখের স্বাস্থ্য কেমন আছে তা হয়তো আমরা অনুধাবন করি না। ঠিক মতো নখের যত্ন না নিলে তা পাতলা হয়ে ভেঙে যেতে পারে কিংবা ফাংগাস/ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। আসুন নখের পরিচর্যায় কিছু টিপস্‌? মেনে চলি।

নখ সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখবেন। নখ ভেজা থাকলে নখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাশ জন্মাতে পারে। এ থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

বাড়িতেই নিয়মিত মেনিকিউর করে নিতে পারেন। মেনিকিউর ক্লিপার বা কাটার দিয়ে নিয়মিত নখ কেটে নেইল ফাইলার দিয়ে শেপ করে নিন। নখ কাটার আগে ঈষদুষ্ণ পানিতে নখ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ভেজা নখ নরম থাকে, ফলে কাটতেও সুবিধা হয় এবং নখের কোনো ক্ষতিও হয় না।

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে নখ ভেঙে যায়। কোনো কারণে নখ ভেঙে গেলে কখনই টেনে ছিঁড়বেন না। টেনে ছিঁড়লে ব্যথা তো লাগবেই, সেই সঙ্গে নখের শেপও নষ্ট হয়ে যাবে। ভাঙা নখ সাবধানে নেইল কাটার দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।

সব সময় নেইলপলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে নখের স্বভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। দু-সপ্তাহ অন্তর নেইল পলিশ ফেলে কয়েকদিন নখ এমনই রেখে দিন। এতে নখে আলো-হাওয়া লাগে, যা নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

দাঁত দিয়ে নখ কাটা অথবা নখের চারপাশের চামড়া কাটার বদ অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ছাড়তে পারবেন ততই ভালো।

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নখ ম্যাসাজ করা ভালো।

সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং হ্যান্ড ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নেবেন। সাবান হাতের ত্বকের পাশাপাশি নখের ময়েশ্চারও নষ্ট করে দেয়।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

বাচ্চাকে টাক করালে

কি চুল বেশি গজায়?

জন্মের পরপরই শিশুর মাথা কামিয়ে দিলে আরও ভালো চুল গজায় বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন। উপমহাদেশীয়দের মধ্যে মাথা টাক করার প্রথা বেশি প্রচলিত। ভারতীয়দের অনেকেই ১৮ মাসে জন্মের সময়কার চুল কামিয়ে দেয়ায় বিশ্বাসী।

কিন্তু সত্যিই কি মাথা টাক করার সঙ্গে ভালো চুল গজানোর সম্পর্ক রয়েছে? বিজ্ঞান কিন্তু তা বলছে না।

জন্মের সময় শিশুর মাথায় যে চুল থাকে, তা সাধারণত পাতলা ও নরম হয়। এই চুল এমনিতেও একটা বয়সের পর ঝরে গিয়ে নতুন চুল গজায়। ঠিক যেমন দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে নতুন দাঁত গজায়।

পরিণত চুল অনেক বেশি মোটা হয়। কারোর মাথায় কেমন চুল হবে তা ফলিকলসের ওপর নির্ভর করে এবং আমরা প্রত্যেকেই জন্মের সময় নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলিকলস নিয়ে জন্মাই। টাক করা হলেও এই ফলিকলসের সংখ্যা কিন্তু বাড়ে না।

বিজ্ঞান বলছে, চুল ঘন হবে না পাতলা, তা জিনের ওপর নির্ভর করে। তাই ভালো চুলের আশায় বাচ্চাকে বারবার টাক করানো আসলে অর্থহীন।

মাথা ন্যাড়া করার পর যে চুল গজায় তার মুখ মোটা হওয়ায় অনেক সময় মনে হয় যে বেশি চুল গজিয়েছে, কিন্তু তা আসলে সম্ভব নয়।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

হৃদরোগ নির্ণয়ে এনজিওগ্রাম

এনজিওগ্রাম হৃদরোগ নির্ণয়ের একটি পদ্ধতি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে (করোনারি আর্টারি) কোনো বস্নক বা স্টেনোসিস থাকলে তা নির্ণয় করা যায়। কুঁচকির কাছে ফিমোরাল ধমনির মাধ্যমে এ পরীক্ষা করা হয়। তবে হাতের রেডিয়াল বা আলনার ধমনির মাধ্যমেও এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রামের জন্য রোগীকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু কুঁচকির কাছে ওষুধ দিয়ে অবশ করা হয়। এটি সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত পরীক্ষা। সাধারণত এনজিওগ্রাম করতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে। এ জন্য রোগীকে ১২-২৪ ঘণ্টার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তবে রেডিয়াল বা আলনার ধমনির মাধ্যমে এনজিওগ্রাম করলে রোগীর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন পড়ে না।

এনজিওগ্রাম করার আগে পরীক্ষা

এনজিওগ্রাম করার আগে রোগীর উপযুক্ততা যাচাইয়ের পরীক্ষা করা হয়। রোগীর সিবিসি, বিটি, সিটি, বস্নাড ইউরিয়া, সিরাম ক্রিসোটিনিন সিরাম ইলেকট্রলহিট, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিগ্রাম, এইচবিএসএজি ভিডিআরএল অ্যান্টি এইচসিভি, এইচআইভি, বস্নাড গ্রম্নপিং করা প্রয়োজন।

এনজিওগ্রামে ঝুঁকি

এনজিওগ্রামে অল্প বা বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে। তা ছাড়া কুঁচকির জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, বেশি পরিমাণে ব্যথার কারণে ভ্যাসো ভ্যাগাল অ্যাটাক, করোনারি ও পায়ের ধমনিতে ডিসেকশন বা ছিঁড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া রোগীর রক্তচাপ কমে যেতে পারে ও অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন হতে পারে। তবে আধুনিক কার্ডিয়াক সেন্টারে রক্তপাত ছাড়া অন্য সমস্যাগুলো হয় না বললেই চলে।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<58565 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1