বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠোঁটের ঘরোয়া পরিচর্যা

নতুনধারা
  ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

শীতে আলাদা করে ঠোঁটের যত্ন নিতে হয়। এ সময় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। অনেক সময় ভেজাল প্রসাধন ব্যবহার করে মুখ ও ঠোঁটের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই সবাই যেন ঘরে বসেই ঠোঁটের যত্ন নিতে পারেন এবং আগের চেয়ে আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন সে লক্ষ্যেই এ আলোচনা।

মধু : ঠোঁটকে আর্দ্র রাখার জন্য মধু খুবই উপকারী। মধু ঠোঁটের ওপর রাতে প্রয়োগ করতে হবে। ঠোঁট পরিষ্কার রাখার জন্য এটি সবচেয়ে ভালো উপায়। এ ছাড়া মধু সূর্যের আলোর কারণে ঠোঁটের দাগও দূর করে।

ঘি : মধুর মতো ঘিও ঠোঁটে কার্যকর ভূমিকা রাখে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা খাঁটি ঘি ঠোঁটে প্রয়োগ করতে হবে। এর ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঠোঁট নরম ও কোমল হবে।

গ্রিন টি ব্যাগস : গ্রিন টি ব্যাগ পুরনো একটি পদ্ধতি। একটি ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ ঠোঁটের ওপর চার মিনিট প্রয়োগ করতে হবে। এটি প্রতিদিন করতে হবে ঠোঁটকে আর্দ্র রাখার জন্য এবং আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য। ফাটা ও শুষ্ক ঠোঁট ভালো করার জন্য এটি সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক পদ্ধতি। তবে আপনার বাসায় গ্রিন টি না পান করলে এটি বদলে অন্য পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।

লেবুর রস : লেবুর রস ত্বকের বয়সের দাগের বিরুদ্ধে কাজ করে। লেবুর রস ঠোঁটের স্পর্শকাতর ত্বকের পুষ্টি জোগায় এবং আগের চেয়ে নরম ও কোমল রাখে। একটি ছোট বাটিতে এক চা চামচ দুধ নিতে হবে এবং এর সঙ্গে তিন ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে হবে। তারপর বাটিকে ফ্রিজের মধ্যে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। এর পর এটিকে ঠোঁটের ওপর এবং পাশে লাগাতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

গোলাপ জল এবং গিস্নসারিন : গোলাপ জল এবং গিস্নসারিনের মিশ্রণ খুবই উপকারী। এটি সুন্দর ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। টেবিল চামচের এক চামক গোলাপ জল এবং এক চামচ গিস্নসারিন মিশ্রণ করতে হবে। এটি বাড়ানো যাবে, তবে পরিমাণ হবে সমান সমান অর্থাৎ সমপরিমাণে মিশ্রণ করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গিস্নসারিন এবং গোলাপ জলের মিশ্রণ ঠোঁট এবং মুখে প্রয়োগ করতে হবে। ৫ দিনের মধ্যে আপনার ঠোঁট ও চেহারা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবেন।

গিস্নসারিন এবং মধু : মধু এবং গিস্নসারিন শুষ্ক ত্বক সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে এক চামচ মধু নিতে হবে এবং এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গিস্নসারিন যোগ করতে হবে। এ মিশ্রণ ঠোঁটে প্রয়োগ করে ১৫ মিনিট পর অপসারণ করতে হবে। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দ্বারা ঠোঁট ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর কয়েক ফোঁটা গিস্নসারিন আবার প্রয়োগ করতে হবে এবং সারারাত রাখতে হবে। এটি খুবই কার্যকর এবং ঠোঁটের ভাঁজ এবং দাগ পড়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

জজবা তেল : জজবা তেল প্রাকৃতিকভাবে খুব তাড়াতাড়ি অতিরিক্ত শুষ্ক, ফাটা বা চ্যাপড ঠোঁট থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। কয়েক ফোঁটা জজবা তেল নিতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে এটি প্রয়োগ করতে হবে। ১৫ মিনিটের জন্য রাখতে হবে। জজবা তেল খুব তাড়াতাড়ি ঠোঁটের সমস্যা সমাধান কাজ করে। ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নতুন ত্বকের কোষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে। বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত কসমেটিকস কোম্পানিগুলো তাদের বিভিন্ন পণ্যতে জজবা তেল ব্যবহার করে থাকে।

শসা : শসা খুবই উপকারী। এক টুকরা শসা বেস্নন্ডারে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। শসার রস ঠোঁটে প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া শসার রস চোখের নিচে কালো দাগ ওঠাতেও সাহায্য করে থাকে।

গোলাপ জল এবং মধু : এ পদ্ধতি ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করবে এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। এটি বাটিতে এক চা চামচ গোলাপ জল নিতে হবে। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু নিতে হবে। এ দুটি এক সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি ১৫ মিনিটের জন্য ঠোঁটে প্রয়োগ করতে হবে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71262 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1