মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ঘায়ের চিকিৎসায় মাঝেমধ্যে জিঙ্ক প্রয়োগ করা হয়। তবে মুখে আলসারের একজন রোগীর রেনাল ফেইলিউর বা কিডনির অচলাবস্থা থাকতে পারে। সহজ কথায় কিডনির অচলাবস্থায় বা রেনাল ফেইলিউর রোগীর ক্ষেত্রে মুখের আলসারের চিকিৎসায় জিঙ্ক প্রয়োগ করলে জিঙ্কের জমাটবদ্ধতা হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে সাবধানতার সঙ্গে জিঙ্ক সেবন করতে হবে। আয়রনের অভাবজনিত সমস্যায় মুখের আলসার হতে পারে। তাই মুখের আলসারের চিকিৎসায় আয়রন সেবন প্রয়োজন হতে পারে। আয়রন টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের শোষণ কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া লিভোডোপা এবং মিথাইলডোপা জাতীয় ওষুধের শোষণও কমিয়ে দেয়। রোগীদের মধ্যে অনেকেরই মুখের ও জিহ্বার আলসারের চিকিৎসায় নিজেরাই অহেতুক ভিটামিন সি সেবন করেন, যদিও তা খুব কম ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি সেবন করলে মুখে আলসার না থাকলেও আলসার দেখা দিতে পারে। অনেকেই বুঝতে চান না, দৈনিক আমাদের শরীরে ভিটামিন সির চাহিদা মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম। অতিরিক্ত ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড আমাদের মুখগহ্বরের লাইনিংয়ের জন্য কোনো কাজে আসে না। অনেকে আবার ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে বা জ্বর থাকলে অতিরিক্ত ভিটামিন সি সেবন বা গ্রহণ করেন, যা মোটেই ঠিক নয়। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি সেবন করলে কিডনিতে পাথর পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।