শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ফুলকপির

যত গুণ

ফুলকপি শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি- যা রান্না কিংবা কাঁচা যে কোনো প্রকারে খাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম প্রভৃতি রয়েছে। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। এতে সালফোরাফেন নামে এমন এক উপাদান রয়েছে- যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই উপাদানটি ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

হজমে সাহায্য করে: ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার জাতীয় উপাদান রয়েছে- যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এ ছাড়া এর ফাইবার খাবার হজম করতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: ফুলকপি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এর সালফোরাফেন নামের উপাদানটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং কিডনি সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, ধমনীর ভেতরে প্রদাহ রোধেও কাজ করে ফুলকপি।

দহন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে : ফুলকপিতে 'অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস' নামে এমন এক উপাদান রয়েছে- যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে : ফুলকপিতে ভিটামিন বি-কমপেস্নক্স ও ভিটামিন-বি রয়েছে- যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা, ভিটামিন বি-কমপেস্নক্স মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসঙ্কোচে ফুলকপি খেতে পারেন। কেননা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরল কমাতে এই সবজিটি আমাদের বন্ধু।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

যেসব খাবার খেলে

দ্রম্নত লম্বা হবে শিশু

একটি শিশুর শারীরিক গঠন, উচ্চতা ও বাহ্যিক অবয়ব সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে জিনের ওপর। তবে এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য ও নিয়মিত শরীরচর্চাও শিশুর বেড়ে ওঠায় প্রভাব বিস্তার করে। তাই প্রত্যেক বাবা-মারই উচিত তার সন্তান কি ধরনের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলছে তার ওপর নজর রাখার। আজকের এই যুগে অনেক শিশুই ফাস্টফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে যা তার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তো চলুন জেনে নেয়া যাক শিশুর দ্রম্নত বেড়ে ওঠার জন্য কি কি পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন-

মাছ: শিশুকে ছোট মাছ বেশি খাওয়ান। অভ্যাস করুন নিজের হাতে কাঁটা বেছে খাওয়ার। মাছ খেলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শিশুর উচ্চতাও বাড়বে দ্রম্নত।

ডিম ও মুরগি: মাংসপেশির গঠনেও প্রোটিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর খাবার তালিকায় রাখুন ডিম। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ এবং সেদ্ধ বা গ্রিলড চিকেন। শারীরিক বিকাশে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিজ প্রোটিন সাহায্য করে দেহের নতুন টিসু্য গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিসু্য তৈরি করতে।

সবুজ শাক-সবজি: শিশুদের ভালো রাখতে তরিতরকারির কোনো বিকল্প নেই। শিশুর খাবার তালিকায় যতটা বেশি সম্ভব শাক-সবজি রাখুন। আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজে ভরপুর তরকারি শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।

সয়াবিন: আপনি যদি নিরামিষাশী হন, তা হলে প্রোটিনের জন্য খেতেই হবে সয়াবিন। শিশুদেরও ছোট থেকে সয়াবিন খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। স্বাদের দিক দিয়ে মাংসের কাছাকাছি হওয়ায় শিশু অনেকসময় সয়াবিন খেতে পছন্দ করে।

ডাল: শিশুকে নানা রকমের ডাল খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। একেকদিন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একেক রকম ডাল রাঁধুন। এমনকি দুই-তিন রকম ডাল মিশিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।

ফল: শিশুকে মৌসুমী ফলসহ সব রকম ফল খেতে দিন। ফলের রসের বদলে শিশুকে আস্ত বা কাটা ফল কামড়ে খেতে দিন। এতে পুষ্টিকর ফাইবার ডায়েট থেকে বাদ পড়বে না। এতে দাঁতের গঠনও ভালো হবে।

দুধ: মাংসপেশির গঠন এবং হাড় মজবুত করার জন্য দুধের কোনো বিকল্প নেই। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস দুধ। শুধু দুধ খেতে না চাইলে পুডিং, কাস্টার্ড, মিল্কশেক, চিজ, নিদেনপক্ষে টকদই রাখুন শিশুর খাবার তালিকায়।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<86337 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1