বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চাই সুস্থ দঁাত ও মাড়ি

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ২৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

দঁাত ও মাড়ির অসুখ থেকে বঁাচতে নিচের সাধারণ কিছু প্রয়োজনীয় টিপস কাজে লাগবে। শিশুদের দঁাত নিয়মিত পরীক্ষা করুন, দেখা যায় প্রতি চার জন শিশুর এক জন ডেন্টাল ক্যারিজ বা দঁাতের ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয় স্কুলে যাওয়ার বয়স হওয়ার আগে। শিশুর প্রথম দঁাত ওঠে ছয় মাস বা এরকম বয়সে। এ সময় থেকেই তার দঁাতের যতœ নিতে হবে। প্রথম দিকে ভেজা পাতলা ও নরম কাপড় দিয়ে দঁাত মুছে দিন। ধীরে ধীরে ব্রাশ করতে শেখান, ব্রাশে প্রথমেই টুথপেস্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই। একটু খাবার পানিতে ব্রাশ ভিজিয়ে দিন এতেই চলবে। এভাবে তার মধ্যে ব্রাশ করার অভ্যাসটিও তৈরি হবে। মুখে প্রথম স্থায়ী দঁাত ওঠে ছয় বছর বয়সের দিকে। মাড়ির দিকের এ দঁাতটি ফাস্টর্ সোলার নামে পরিচিত। এ দঁাতটিকে অনেকেই দুধ দঁাত মনে করেন বলে ঠিকমতো গুরুত্ব দেন না। ফলে ক্যারিজ বা ক্ষয় রোধ করে মুখের খুব গুরুত্বপূণর্ দঁাতটি নষ্ট হয়ে যায়। যাতে এ গুরুত্বপূণর্ দঁাতটি অকালে নষ্ট না হয় সে জন্য অনেক সময় দঁাতের ক্ষয়রোগ শুরু হওয়ার আগেই পিট অ্যান্ড ফিসার সিলান্ট নামে এক ধরনের ফিলিং দেয়া হয়। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা ভালো। স্বাভাবিক মতো ফ্লোরাইড দঁাতের এনামেল গঠনে ভ‚মিকা রাখে ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে, অনেক মাউথ ওয়াশেও ফ্লোরাইড থাকে, সাধারণত সাদা রঙের টুথপেস্টগুলো ফ্লোরাইডের মতো ঠিক আছে কিনা তা জানার উপায় নেই। তাই ভালো ব্যান্ডের টুথপেস্ট ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। দু’পাশ ব্রাশ করুন সঙ্গে ফ্লস করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও সকালে নাশতা খাওয়ার পর ব্রাশ করলে বেশি উপকার পাওয়া যায় আর ফ্লস করতে হয়। সাধারণত মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পর দঁাতের ফঁাকে খাদ্যকণা আটকে থাকে। সেগুলো ব্রাশ করলে পরিষ্কার হয় না। এক ধরনের সুতা দিয়ে তা পরিষ্কার করতে হয়। এ সুতাই ফ্লস নামে পরিচিত, আবার একই ব্রাশ মাসের পর মাস ব্যবহার করলেও দঁাত পরিষ্কার হয় না। তাই প্রতি দুই মাস অন্তত ব্রাশ বদলানো উচিত। খাওয়ার পর ভালো করে কুলি করুন। বিশেষ করে যখন বিস্কুট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া হয় তখন এগুলো দঁাতে আটকে থেকে ক্ষয় রোগের সৃষ্টি করে। কুলি করার অভ্যাসের সঙ্গে মাউথ ওয়াশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী কিছু উপাদান থাকে। যা মুখের ভেতরে জীবাণুর আক্রমণ সীমিত রাখে। চিনিযুক্ত খাবার কম খান। চিনিযুক্ত খাবার মুখে কিছু সময় থাকলে এসিড তৈরি হয়। ক্যারিজ বা ক্ষয় রোগের শুরু হয় এ এসিড যখন দঁাতের এনামেলে ক্ষত সৃষ্টি করে তখন থেকে। ধূমপান করবেন না। পান খাবেন না। পানের সঙ্গে থাকে সুপারি জদার্ ও চুনের সবই ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভ‚মিকা রাখে। তা ছাড়া পান-সিগারেট খেলে দঁাতের রঙও নষ্ট হয়, মুখে দুগর্ন্ধ হয়। দঁাতের মাড়ি থেকে ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়লে তা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। মাড়ি থেকে সাধারণত জিনজিভাইটিস হলেই রক্ত পড়ে আরও কিছু শারীরিক অসুখেও দঁাতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মানলে অনেক বড় অসুখ থেকে বঁাচা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<8875 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1