শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাঁচি এলে আটকাবেন না যে কারণে

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ হাঁচি দেয়া। যখন ব্যাকটেরিয়া বা অন্য ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তখন ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে এদের শরীর থেকে বের করে দেয় হাঁচি। এভাবেই হাঁচি আমাদের গুরুতর কোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। মানুষের সামনে হাঁচি দেয়াটা অস্বস্তিকর। আপনি কি কখনো চিন্তা করেছেন, কেন হাঁচি দিলে অন্যরা বলেন, 'স্রষ্টা আপনার মঙ্গল করুন'? কারণ যদি হাঁচি আসা বন্ধ করা হয়, তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। হঁ্যা, এটা সত্যি, কখনো হাঁচি বন্ধ করা ঠিক নয় কারণ এর ফলে শরীরের অন্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। যদি হাঁচি বন্ধ করা হয় তাহলে তা ডাইভার্ট হয়ে কান, ব্রেইন, ঘাড়, ডায়াফ্রাম ইত্যাদি অঙ্গের অনেক ক্ষতি করে। হাঁচি বন্ধ করার বিপজ্জনক দিকগুলো জেনে নিই আসুন।

১। হাঁচির মাধ্যমে নাক দিয়ে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বের হয়ে আসে। যদি হাঁচিকে বন্ধ করা হয় তাহলে চাপটা ডাইভার্ট হয়ে অন্য অঙ্গ যেমন- কানে যায় ফলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে এবং শোনার সমস্যা হতে পারে।

২। হাঁচি বন্ধ করলে হেয়ারিং লসের পাশাপাশি মাথা ঘোরার সমস্যা হয় যা খুব তাড়াতাড়ি যায় না।

৩। হাঁচি বন্ধ করলে চোখের কৈশিক নালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যভাবে বলা যায়, এই প্রকার চাপের ফলে কৈশিক নালি ব্রাস্ট হতে পারে।

৪। হাঁচি বন্ধ করলে যে চাপের সৃষ্টি হয় তার জন্য ডায়াফ্রাম ড্যামেজ হয়।

৫। হাঁচির আচমকা দমকা বাতাস বন্ধ করলে ঘাড়ের আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের সাইনাসের অপারেশন হয়েছে তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েন।

৬। হাঁচির ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়। যদি হাঁচি বন্ধ করা হয় তাহলে, এই পরজীবীগুলো শরীরেই থেকে যায় এবং রোগ সৃষ্টি করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<89139 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1