মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ১১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

দাঁত সাদা

করতে

বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে হলদে দাঁতের জুড়ি নেই। তাই বলে কতক্ষণ আর মুখ বন্ধ করে রাখা যায়।

দাঁত পরিষ্কার করতে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে স্কেলিং করানো যায়। তবে তাতে যেমন খরচ তেমনি নিয়মিত স্কেলিং করানোর কারণে দাঁত দ্রম্নত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।

তাই সহজ উপায়ে দাঁত পরিষ্কার রাখার কিছু ঘরোয়া উপায়।

বেইকিং সোডা ও লেবুর রস: বেইকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের উপরের অংশের হলদেভাব দূর হয়। ব্রাশ করতে না চাইলে পেস্টটি ১ মিনিট দাঁতে মাখিয়ে রাখলেও উপকার মিলবে। তবে পেস্ট ব্যবহারের আগে দাঁত থেকে লালারস মুছে বা শুকিয়ে নিতে হবে।

নারিকেল তেল: সকালে দাঁত ব্রাশ করার আগে এক টেবিল-চামচ নারিকেল তেল নিয়ে কুলিকুচি করলে দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা। শুনতে অবাক লাগলেও নারিকেল তেলে থাকা 'লওরিক অ্যাসিড' দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। দাঁত ব্রাশ করার আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভালোমতো তেলটি দিয়ে কুলিকুচি করতে হবে।

লবণ ও সরিষার তেল : দাঁত পরিষ্কার করার নানান উপায় রয়েছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়। এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো সরিষার তেল, লবণ ও তুলসী পাতার মিশ্রণে তৈরি পেস্ট। নিমডালে এই পেস্ট মাখিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

ফিটকিরি ও কয়লা: দাঁত সাদা করার পুরানো পদ্ধতি কয়লা। টুথপেস্টের পরিবর্তে লবণ, কয়লার মাজন ও ভাজা ফিটকিরির মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হবে ঝকঝকে।

ক্ষতিকর

অতিবেগুনি রশ্মি

রোদচশমা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচাবে চোখ ও এর আশপাশের ত্বককে। আমাদের দেশ বিষুবরেখার কাছাকাছি হওয়ায় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (আলট্রা ভায়োলেট-রে অথবা রশ্মি এ ও বি) বেশি আসে। এই রশ্মি সাধারণত সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বেশি ছড়ায়। অন্যভাবে হিসাব করলে, যখন নিজের ছায়া নিজের চেয়ে ছোট থাকে এমন সময় এই রশ্মি পৃথিবীতে বেশি আসে। এই অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের ওপর পড়লে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে। এই সূর্যরশ্মি কতটুকু ক্ষতিকর হবে, তা নির্ভর করে ত্বকের বর্ণের ওপর। ত্বকে ইউ মেলানিন বা তামাটে মেলানিনের মাত্রা বেশি বলে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। আর যাদের ইয়েলো মেলানিন বেশি, যেমন অস্ট্রেলীয় বা পাশ্চাত্যের অনেক দেশে ত্বকের এই ফটোপ্রোটেকশন ক্ষমতা কম। ফলে ত্বকের বিশেষ ক্ষতিও হয়ে থাকে। তাই তাদের ত্বকের ক্যান্সার খুব বেশি হয়ে থাকে। ক্যান্সার ছাড়াও সরাসরি আলো ত্বকের আরও কিছু ক্ষতি করতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের ওপর পড়লে ত্বকের নিচের কিছু কোষ ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের টান টান ভাব নষ্ট হয়। যারা সূর্যের আলোতে বেশি কাজ করেন, তাদের ত্বক কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে এবং দ্রম্নত বুড়িয়ে যায়। ত্বক দ্রম্নত আর্দ্রতা হারায়, তিল, মেছতা, ডার্ক স্পট ইত্যাদির কারণ হতে পারে এই অতিবেগুনি রশ্মি।

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা কীভাবে? সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অতিবেগুনি রশ্মি বেশি আসে। এ সময় সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা। আর যাদের এ সময় বেরোতেই হয় বা হবে, তারা যেন ছাতা, বড় হ্যাট, সানগস্নাস ইত্যাদি ব্যবহার করেন। সাদা বা হালকা রঙের কাপড় অতিবেগুনি রশ্মিকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আর আঁটসাঁট ও গাঢ় বা কালো কাপড় এই রশ্মিকে বেশি করে শোষণ করে। তাই এসব কাপড় না পরাই ভালো। ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা উচিত। গাড়ির কাচ বা বাসার জানালার কাচ অতিবেগুনি রশ্মিকে প্রতিরোধ করতে পারে না। তাই এ সময় সূর্যের আলো গায়ে লাগার আশঙ্কা থাকলে সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন লাগানোই ভালো।

চুল লাল হলে করণীয়

চুল শুধু সাদা-ই হয় না, লালচেও হয়। চুল লাল বা লালচে হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। যেহেতু চুল ত্বকের অংশ তাই ত্বকের সঙ্গে চুল শুষ্ক হয়। চুল শুষ্ক, রুক্ষ ও রুগ্ন হলে চুলের স্বাভাবিক রং লোপ পায়; এ ছাড়া রোদে ঘোরাঘুরি করলে চুলের বাইরের আবরণ বা কিউটিকল নষ্ট হয়ে যায়। চুল তার স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে ও লালচে হয়ে যায়। এ ছাড়া অপুষ্টি, পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে 'কোয়াসিওকার' রোগে চুল লাল হতে পারে।

অন্যদিকে পানির জন্য, পানিতে সাবানের জন্য, সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে গোসল করার জন্য চুলের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে চুল লাল হয়ে যায়।

পানিতে ক্লোরিন বেশি থাকলে চুল লাল হয়। চুল শুকাতে বা চুলে বেশি বেশি হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলেও চুল লাল হয়। অতিরিক্ত সাবান, শ্যাম্পু ও কাপড় কাচার সাবানে চুল পরিষ্কার করলে এবং রাসায়নিক গ্যাস, ধোঁয়া, ধুলাবালিতেও চুল রুক্ষ বা লাল হওয়া লাল হয়।

চুল লালচে রোধে করণীয়

চুল লাল বা রুক্ষ হলে প্রথমে এর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি শুষ্কতার জন্য চুল লাল হয় তবে চুলে তেল দিতে হবে। রোদে ঘোরাঘুরি করলে ছাতা, টুপি বা চুলে রোদ না লাগে তার ব্যবস্থা করতে হবে। পুষ্টির অভাব হলে শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ছাড়া পানিতে ক্লোরিনের জন্ম হলে ক্লোরিনমুক্ত পানি ব্যবহার করতে হবে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<91987 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1