বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যৌন খেলনা পেটেন্ট পাবে না!

আইন ও বিচার ডেস্ক

ভারতের পেটেন্ট কতৃর্পক্ষ কানাডায় নিমির্ত একটি ভাইব্রেটার বা যৌন কাজে ব্যবহৃত কম্পনযন্ত্রকে পেটেন্ট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এই বলে যে, সেক্স টয় বা যৌন খেলনা নৈতিক বিকৃতির পথ সুগম করে। ভারতীয় বাজারে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভাইব্রেটার বিক্রি মোকাবেলা করার জন্য অন্টারিও-ভিত্তিক একটি কোম্পানি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু পেটেন্ট কতৃর্পক্ষ জানায়, যৌন খেলনা বেআইনি এবং অশালীন। ভারতীয় কমর্কতার্রা বলেছেন, দেশের আইন কখনই যৌন আনন্দের ভাবনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে না। তবে ভারতে ২০১১ সালে আদালতের দেয়া এক আদেশে বলা হয়েছিল যে যৌন খেলনাকে (সেক্স টয়) অশালীন বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। অন্টারিও-ভিত্তিক ওই কোম্পানিটির নাম স্ট্যান্ডাডর্ ইনোভেশন করপোরেশন। তাদের নতুন আবিষ্কৃত একটি ভাইব্রেটারের পেটেন্টের জন্য তারা ভারতীয় কতৃর্পক্ষের কাছে আবেদন করেছিল যাতে স্থানীয়ভাবে এর নকল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে না পারে। পেটেন্ট অফিস গত এপ্রিল মাসে পেটেন্টের আবেদন বাতিল করে দেয়। ভাইব্রেটারকে ‘অশ্লীল’ উল্লেখ করে পেটেন্ট অফিস থেকে বলা হয়, ‘যৌন খেলনার কারণে মানুষের নৈতিক বিকৃতি ঘটতে পারে।’ পেটেন্ট অফিসের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি আপিল আবেদন বতর্মানে সুপ্রিম কোটের্ অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে।

থ্রিডি প্রিন্টারে ছাপানো বন্দুক নিয়ে আইনি লড়াই

আইন ও বিচার ডেস্ক

একদিন মানুষ হয়তো থ্রিডি প্রিন্টারে বন্দুক প্রিন্ট করে সোজা সেটা ব্যবহার করতে শুরু করবেÑ আর সেই আগ্নেয়াস্ত্রের কেউ কোনো হদিস পাবে না! এমনটা কি হতে দেয়া উচিত? এ নিয়ে আমেরিকার আদালতগুলোয় চলছে এক তিক্ত আইনি লড়াই। বিরোধীরা বলছেন, এর ফলে আমেরিকাÑ যেখানে প্রতিবছর গুলিতে মারা যায় ৩৫ হাজার লোক - দেশটা অস্ত্রে অস্ত্রে সয়লাব হয়ে যাবে। কিন্তু সমথর্করা বলছেন, অস্ত্র পাওয়ার অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা হবে আমেরিকানদের সাংবিধানিক অধিকারের লংঘন। যে প্রযুক্তি এটাকে সম্ভব করেছে তা হলো থ্রি-ডি প্রিন্টিং। এটা এমন প্রযুক্তি যাতে কম্পিউটারের সঙ্গে থ্রিডি প্রিন্টার জুড়ে দিয়ে নানা রকম জটিল আকৃতির বস্তু ঘরে বসেই তৈরি করা যায়। সেই ডিজাইন খুব সহজেই অনলাইনে শেয়ার করা যাবে। ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারে জিনিসটি তৈরি হবে একটির ওপর আরেকটি অতি পাতলা প্লাস্টিকের স্তর বসিয়ে। এভাবেই বানানো সম্ভব একটি বন্দুকও। একটি সাধারণ থ্রিডি প্রিন্টারের দাম এখন কয়েকশ ডলার মাত্র। সমালোচকরা তাই বলছেন, এটা এক বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করতে যাচ্ছেÑ যাতে লোকের হাতে চলে আসবে এমন আগ্নেয়াস্ত্র যার কথা কেউ জানতে পারবে না। এ অস্ত্রের গায়ে কোনো কারখানার সিরিয়াল নম্বর থাকবে না, যে এই বন্দুকের মালিক হবে সে কে, কেমন লোক, বিপজ্জনক কেউ কিনাÑ তার কোনো ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ও করা সম্ভব হবে না। মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের ট্রিগারসহ নিচের দিকের অংশটাকে বলে লোয়ার রিসিভার- শুধু সেটাই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অংশ। বন্দুকের বঁাট, ব্যারেল বা ম্যাগাজিন- এগুলো আইনে নিয়ন্ত্রিত অংশ নয়। তাই উদ্বেগটা হচ্ছে, কেউ যদি লোয়ার রিসিভারটা থ্রিডি প্রিন্টারে বানিয়ে নেয়, এবং তার সঙ্গে অন্যান্য ধাতব অংশগুলো যা সহজেই পাওয়া যায়, এবং যা পুরোপুরি আইনসঙ্গত- তা জুড়ে নেয়, তাহলেই সে একটি পূণার্ঙ্গ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পেয়ে গেল। এ নিয়ে এখন আমেরিকায় শুরু হয়েছে নানামুখী আইনি বিতকর্।

বিড়াল পালন নিষিদ্ধ!

আইন ও বিচার ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপক‚লের ছোট্ট একটি শহর ওমাউই। সেখানে বন্যপ্রাণী রক্ষার চেষ্টা হিসেবে সব ধরনের পোষা বিড়ালের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন প্রণয়নের চিন্তা চলছে। এনভায়রনমেন্ট সাউথ-ল্যান্ডের প্রস্তাবিত এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ওমাউইতে যত বিড়ালপ্রেমী আছেন তাদের বিড়ালকে বন্ধ্যা করতে হবে, সেগুলোর শরীরে মাইক্রোচিপ বসাতে হবে এবং বিড়ালকে নিবন্ধিত করতে হবে। তাদের পোষা বিড়ালের মৃত্যু হলে ওই সম্প্রদায়ের বিড়ালপ্রেমী লোকজন নতুন করে বিড়াল পালনের অনুমতি পাবেন না। এটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে বটে, কিন্তু উদ্যোক্তাদের যুক্তিÑ প্রতিবছর কোটি কোটি পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর জন্য দায়ী এসব বিড়াল। কমর্কতার্রা বলছেন, ওমাউইতে এই পদক্ষেপ যথাযথ। কারণ ক্যামেরায় দেখা গেছে যে, ঘুরে বেড়ানো বিড়ালেরা ওই এলাকার পাখি, পোকা-মাকড় এবং সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী শিকার করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<10474 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1