নতুন এই আইন প্রণীত হলে কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন যে কাউকে আদালতের অনুমতি ছাড়াই আটক করার ক্ষমতা পাবে এবং আটক ব্যক্তিকে নিরাপত্তা শিবিরে রাখা হবে। অস্ট্রিয়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে আশ্রয় নিতে আসা ব্যক্তিদের 'অভ্যর্থনা কেন্দ্রে' রাখা হয়।
প্রস্তাবিত এই আইনের অংশ হিসেবে দেশটির অভ্যর্থনা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে 'প্রস্থান কেন্দ্র' করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্ৎস সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ কাউকে আটক করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ করা বা এর পরিকল্পনা করা, ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। তবে আটককৃত ব্যক্তির বিষয়টি আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়েই পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি। তবে প্রস্তাবিত এই আইন পাস হতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের ভোটের প্রয়োজন হবে, যা অনেকটা অনিশ্চিত। কেননা দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হলে ক্ষমতাসীনদের বিরোধী দলের ভোটের ওপর নির্ভর করতে হবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যার্বার্ট কিকেল বলেন, শরণার্থীদের আটক করার বিষয়ে এ ধরনের আইন শুধু অস্ট্রিয়াই করছে না। ইউরোপের অন্যান্য দেশ বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও হাঙ্গেরিও এ ধরনের আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
গত ফেব্রম্নয়ারিতে দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তুরস্কের বংশোদ্ভূত এক আশ্রয়প্রার্থী ছুরিকাঘাত করে। আশ্রয়প্রার্থী এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ২০১৯ সালে তাকে বের করে দেয়া হয়। পরে তিনি আবার অস্ট্রিয়ায় এসে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন। এ ধরনের ঘটনার প্রেক্ষাপটেই শরণার্থী বিষয়ে নতুন করে ভাবছে অস্ট্রিয়া সরকার।