বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
জেনে নিন

আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধবন্দি

আদনান ওয়াসিম
  ১৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

১৯২৯ সালের জেনেভা কনভেনশন ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পরিমার্জিত করা হয় এবং সেখানে যুদ্ধবন্দিদের অধিকার, মর্যাদা, তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনসহ, বিভিন্ন বিষয়ে গাইডলাইন সংযুক্ত করা হয় যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মানবাধিকার রক্ষার্থে অবশ্যই পালন করতে হবে।

জেনেভা কনভেনশন অনুসারে, যখন কোনো দেশের যোদ্ধারা বা সৈনিকরা শত্রম্নপক্ষের সীমানার ভেতরে বন্দি হন তখন তাদের বলা হয় যুদ্ধবন্দি। তৃতীয় জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে আচরণ এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত বিধান রয়েছে। সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষের কোনো বাহিনীর সদস্য যদি অন্যপক্ষের এলাকায় সেখানকার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে, তবে তাকে যুদ্ধবন্দির মর্যাদা দিতে হবে। জেনেভা কনভেনশন অনুসারে, একজন যুদ্ধবন্দি মানবিক অধিকার পাওয়ার অধিকারী।

তৃতীয় জেনেভা কনভেনশনের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, যুদ্ধবন্দিদের কোনো অবস্থাতেই স্বেচ্ছাচারীভাবে হত্যা করা যাবে না, তাহলে সেটা হবে এই কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন। যুদ্ধবন্দিরা দুষ্কর্ম, ভীতি প্রদর্শন এবং জন-কৌতূহলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী। ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে তাদের প্রতি সম্মানজনক আচরণের বিষয়টি উলেস্নখ করে বলা হয়েছে, যুদ্ধবন্দিদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক যে কোনো কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তারা তাদের ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদা অনুযায়ী যথাযথ সম্মান লাভের অধিকারী। তাদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না যা মানবতার পরিপন্থি।

তবে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৪৯-এ বলা আছে- যুদ্ধবন্দির শারীরিক সক্ষমতা, বয়স লিঙ্গ ইত্যাদি বিবেচনায় তার শ্রমকে আটককারী কর্তৃপক্ষ কাজে লাগাতে পারবে। নন-কমিশন অফিসাররা যুদ্ধবন্দি হলে সুপারভাইজরি কাজ করতে পারবে। তাদের মর্যাদা সম্পর্কে অনুচ্ছেদ ৪৫-এ বলা হয়েছে- যুদ্ধবন্দিরা অন্যান্য কর্মকর্তা কিংবা বন্দিদের তুলনায় তাদেরর্ যাংক এবং বয়স বিবেচনায় সম্মান পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<41576 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1