গরুর কারণে নতুন আইন করল অস্ট্রিয়া
আইন ও বিচার ডেস্ক
২০১৪ সালে অস্ট্রিয়ায় একটি গরুর পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে মারা যান এক জার্মান নারী। মৃত নারীর পোষা কুকুরকে ভয় পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গরুটি। এমন ঘটনা রুখতে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে অস্ট্রিয়ার সরকারের পক্ষে জানানো হয় যে, এখন থেকে পর্যটকদের মানতে হবে বিশেষ 'কোড অফ কনডাক্ট'। অস্ট্রিয়ার টিরোল অঞ্চল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় সেখানে প্রায়ই আসেন হাজার হাজার পর্যটক। সেখানে খামার ও পশুপাখি অন্যতম আকর্ষণ।
কিন্তু নতুন আইন বলছে, নিজেদের পোষা পশুদের নিয়ে বেড়াতে গেলে মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। আগের মতো, খামারে বেড়ানোর সময় পোষ্যদের লাগাম পরিয়ে রাখা যাবে না। এর পাশাপাশি, খামারের মালিকদের বলা হয়েছে শক্ত বেড়া লাগানোর ব্যবস্থা করতে। উলেস্নখ্য, ২০১৪ সালের ঘটনা যে ব্যক্তির খামারে ঘটে, তাকে বিশাল অংকের জরিমানা দিতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খামারের গরু আটকে রাখতে যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি তিনি।
অস্ট্রিয়ার পর্যটনমন্ত্রী এলিজাবেথ কোস্টিঙ্গার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা খামারগুলোকে সম্পূর্ণরূপে আবদ্ধ করে রাখতে চাই না। তাই আমরা নতুন আইনের মাধ্যমে পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চাইছি।'
ভারতে আশানুরূপ হারে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার বাড়েনি
আইন ও বিচার ডেস্ক
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে রূপান্তরকামীদের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ৩০ হাজার ৩৪৯ জন। পাঁচ বছরে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সারা দেশে তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে তৃতীয় লিঙ্গের মোট ভোটার ছিলেন ২৮,৫২৭ জন, যা এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮,৩২৫।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন মাত্র ৪৯৯ জন। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে সেই সংখ্যাটা ছিল ৭৫৭। এ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২৬ (গত জানুয়ারি পর্যন্ত)। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তৃতীয় বিশ্বের রাস্তায় রাস্তায়, ট্রেনে বাসে এত যে বৃহন্নলা দেখা যায়, তা হলে সেই নিরিখে তাদের সংখ্যাটা ভোটার তালিকায় এত কম কেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য ট্রান্সজেন্ডার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সদস্য রঞ্জিতা সিনহা বলেন, 'একটা এলিট শ্রেণি দেখাচ্ছে, রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডারদের সংখ্যা কম। এটাও রাজনীতি। সংখ্যাটা কম দেখালে সংরক্ষণের প্রশ্ন থাকবে না। তাই ঠিক করে গণনা হচ্ছে না। সমীক্ষা ঠিক নয়। অস্থায়ীভাবে আমরা বলতে পারি এক লাখের ওপর ট্রান্সজেন্ডার রয়েছে। এই সংখ্যাটা কোথায় গেল?'
সর্বোচ্চ আদালত ঐতিহাসিক রায়ে রূপান্তরকামীদের পুরুষ ও মহিলার বাইরে ভোটার তালিকায় শুধু তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, বরং দেশের কেন্দ্র ও সব রাজ্য সরকারকেও নির্দেশ দিয়েছিল এই তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের সরকারি চাকরিতে বিশেষ সুবিধা কিংবা ভোটার কার্ড, পাসপোর্টেরও ব্যবস্থা করতে হবে।
১০০ বছর বয়স না হলে সিগারেট কেনা যাবে না
আইন ও বিচার ডেস্ক
বিশ্বের কোনো কোনো দেশে যখন কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই মাদকাসক্ত, ঠিক তখনই নতুন চমক দেখাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই প্রদেশ। বয়স ১০০ না হলে সিগারেট খাওয়া বারণ করার একটি বিল পাস করার পথে দেশটির সংসদ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিগারেটকে শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকর বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাওয়াই প্রশাসন। তবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ না করে বলা হয়েছে যে ১০০ বছর বয়সের আগে কেউ সিগারেট কেনা-বেঁচা করতে পারবেন না।
হাওয়াইয়ের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ওই প্রদেশে এখন ২১ বছরের কম বয়সীদের সিগারেট কেনা নিষিদ্ধ। এই আইনে পরিবর্তন নিয়ে আসতে সংসদে একটি নতুন বিল উত্থাপন করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি রিচার্ড ক্রিগান। সেই বিলে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে সিগারেট কেনার নূ্যনতম বয়স নির্ধারণ করা হবে ৩০ বছর। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হবে ৪০ বছর। যদিও সেখানেই থেমে থাকেননি ক্রিগান। তিনি জানিয়েছেন, এই পথে এগিয়ে ২০২২ সালে সিগারেট কেনার নূ্যনতম বয়স হবে ৫০। ২০২৩ সালে ৬০ এবং ২০২৪ সালে ১০০ বছর নূ্যনতম বয়স নির্ধারণ করা হবে। আমেরিকার অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় হাওয়াইতে সিগারেটসংক্রান্ত আইন বেশ কঠোর। তবু এই বাড়তি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রিচার্ড ক্রিগান নামে চিকিৎসক জানান, সিগারেট নিষিদ্ধ করতে বর্তমান আইনগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।