জার্মানরা ভ্রমণবিলাসী। তবে ভ্রমণ করতে গিয়ে পেস্ননে উঠতে না দেয়া বা হোটেল পছন্দ না হওয়া, কিংবা ট্র্যাভেল এজেন্সি কথা দিয়ে কথা না রাখার মতো নানা জটিলতা হয়ে থাকে। সেরকম কিছু সমস্যারই আইনি সমাধান নিয়ে আজকের আয়োজন।
'বোম্বিগ' বলায় যাত্রা বন্ধ
জার্মানির ডুসেলডর্ফ এয়ারপোর্টে চেক ইন এ যাত্রীকে ভ্রমণের কারণ জানতে চাওয়া হলে, উত্তর আসে নড়সনরম অর্থাৎ দারুণ বা মৎবধঃ এক হলিডে করতে যাচ্ছেন তিনি। আর এতেই পেস্ননে ওঠা বন্ধ! ইড়সনরম বলতে তিনি মৎবধঃ বোঝাতে চেয়েও ব্যর্থ হন। তবে ডুসেলডর্ফের জেলা আদালতের রায়ে যাত্রী ১৪০০ ইউরো ফেরত পেয়েছেন এয়ারলাইন থেকে।
সমুদ্রের দৃশ্য
সমুদ্র দেখা যায় এমন একটি হোটেল বুক করলেও পরে অন্য হোটেল দেয়া হয় এক পর্যটককে। সেখানে সমুদ্রের উথাল-পাতাল দেখা তো দূরের কথা, তেমন ভালোও ছিল না রুমটি। ফলে ফেডারেল কোর্টের বিচারকের রায়ে পরিবারটিকে ভাড়ার শতকরা ৭০ ভাগ কম দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়- ৬০০ ইউরো ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তারা, তাদের আনন্দ নষ্ট করার জন্য।
ডায়রিয়া হওয়ায় টাকা ফেরত
রাতে হঠাৎ এক যাত্রীর সিরিয়াস ডায়রিয়া হওয়ায় সকালে চীন ভ্রমণ বাতিল করতে হয়। ট্র্যাভেল এজেন্সি কিছুতেই ভাড়ার টাকা ফেরত দিতে রাজি নয়। আঞ্চলিক আদালত জানায়, ডায়রিয়া রোগীর জন্য পেস্ননের একটি টয়লেট সর্বক্ষণ খালি রাখা উচিত, আর তা লম্বা পথে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পুরো ভাড়া ফেরত পান সেই নারী।
খাওয়া অপছন্দ হলে দ্রম্নত অভিযোগ করুন
দুই সপ্তাহের নৌবিহারে গিয়ে এক যাত্রীর জাহাজের খাওয়া-দাওয়া মোটেই পছন্দ হয়নি। তার অভিযোগ খাবার একঘেয়ে ও স্বাদহীন। তবে অভিযোগটি তিনি করেছেন ১০ দিনের মাথায়। মিউনিখ জেলা আদালতের রায়, দেরিতে অভিযোগ করায় ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব নয়।
শেষ মুহূর্তে 'না'
এক যুগল চীনে রাউন্ড ট্রিপে যাবেন। যাত্রার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ট্রাভেল এজেন্সি জানায়, সেসময় পিকিংয়ে সামরিক প্যারেড হবে, সেখানে যাওয়া যাবে না। শেষ মুহূর্তে 'না' করলে টিকেটের মূল্য ফেরত দেয়া হবে না। ভ্রমণচুক্তিতে এরকম কিছু লেখা না থাকায় ফেডারেল আদালতের রায়ে পুরো টাকাই ফেরত পান তারা।
ইন্টারনেট অবলম্বনে