মার্কিন মুলুকে উবার কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্নটা উঠেছে উবার তাদের প্রথম সুরক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের পর। লাগাতার সমালোচনার পর অ্যামেরিকায় উবার তাদের প্রথম সুরক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দুই বছরে উবারে সাড়ে ৪০০-রও বেশি ধর্ষণের কথা রিপোর্টে রয়েছে। এ ছাড়া রিপোর্টের মাধ্যমে আরও জানা যাচ্ছে, আমেরিকায় ২০১৭ ও ২০১৮ এই দুই বছরে সাড়ে ৪০০ ধর্ষণ ও প্রায় ছয় হাজার যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে।
আমেরিকায় এই সংস্থার গাড়ি প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখবার ট্রিপ দেয়। উবার জানিয়েছে, 'এই সুরক্ষা রিপোর্ট জানার পুরো অধিকার সাধারণ লোকের আছে। কারণ, তারা প্রতিদিন আমাদের ওপর ভরসা করেন।'
অবশ্য এই প্রথম সংস্থাটি তাদের সুরক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করল। সেটাও অবশ্য তাদের করতে হয়েছে চাপে পড়ে। কারণ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলো বারবার এই রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিল।
উবারে চেপে নিগ্রহের মুখে পড়া যাত্রীদের নালিশের সংখ্যাও বাড়ছিল।
উবারের রিপোর্ট বলছে, ২০১৭-তে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ছিল ২৯৩৬টি, পরের বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩০৬৫। তা সত্ত্বেও উবার দাবি করছে, জাতীয় ক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের হার বেড়েছে ১৬ শতাংশ হারে, তাদের ক্ষেত্রে সেই বৃদ্ধির হার কম।
সংস্থার রিপোর্টে যৌন নিগ্রহকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তার মধ্যে বিনা সম্মতিতে চুম্বন থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত সবকিছুই আছে। দুই বছরে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ সেছে ৪৬৪টি এবং ধর্যণের চেষ্টার অভিযোগ ছিল ৫৮৭টি। আর প্রাণঘাতী শারীরিক নিগ্রহ হয়েছে ১৮ বার। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
মোট ৭০টি দেশে গাড়ি পরিসেবা চালায় উবার। শুধু আমেরিকা নয়, বিভিন্ন দেশ থেকেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে তারা 'ইন অ্যাপ ইমার্জেন্সি বাটন' চালু করেছে।
ভারতে তো উবারের গাড়িতে লিখিতভাবে দেওয়া থাকে যে, ড্রাইভার মহিলাদের সম্মানরক্ষার শপথ নিয়েছে। ড্রাইভারদের পরিচিতিও ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইন্টারনেট অবলম্বনে