তোমার কাছে যাব ভাবতেই
কে যেন অলখেই খুলে দেয় পায়ে বঁাধা বেড়ি
উৎরোল মন-জলে শুরু হয়ে যায় নৃত্য;
বালিহঁাসের মতো বুক পালকে জল কেটে কেটে
কে যেন আমার মৌবনে ছেড়ে দেয়
সুখের মৃগয়া।
তোমার কাছে যাব ভাবতেই
হৃদিনৃত্যের শিশু দেবলোক থেকে বয়ে আনে সানন্দা কমল
মিহি মসলিনের মতো হাতছানি আসে গীতশ্রী শয়নে
ফিরে আসে প্যাপিরাস; আরব্য লিপর শৈল্পিক বুননে
এই ললাটে রেখায় লেখা হয়ে রয়
পুন্যবতী এক নারীর নমন।
তোমার কাছে যাব ভাবতেই
বুকের ভেতরে কেন যে এত ঝড় বাদল
কেন যে এই মধ্যাহ্ন বেলায়ও অঁাধার হয়ে ছেয়ে ধরে
বোবা বিস্ময়ের অশনি তিমির?
কেন যে ফুল্ল সব শব্দরাজি নৈবর্্যক্তিক হয়ে পড়ে থাকে
ফালি ফালি করে কাটা এই বুকের কোলাজে?