দিগন্ত ছুঁয়েছে যেথা তার অস্তিত্ব
সেই নড়বড়ে ঝুরঝুর মাটিতে দঁাড়িয়ে
আমি এক অসহায় পথিক,
দূর সুদূরে বিষণœ দৃষ্টি ছড়িয়ে খুঁজি
অনন্তলোকের অঁাধারে লুকিয়ে থাকা
আমার শেষ ঠিকানা?
ভাবছি নিশিদিন কেমন করে আমি
দেবো পাড়ি এপার ওপারের খেয়াতরী?
কী করে ছাড়িবে প্রাণ
মাটির এই দেহ পিঞ্জর?
কত যে যাতনা তা কেই বা জানে?
অথচ;
কত আরাধনা কত সাধনা
কত পাপাচারে যেন বেঁচে রাখতে
আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এই দেহঘর!
কিন্তু;
একদিন পালাবেই যে মম প্রাণপাখি
নিঃশেষিত হবে মাটির এই দেহপিঞ্জর!
শেষ বেলার পথিক যে আমি
নিমগ্ন চেতনায় শুনে যাই কান পেতে
আনন্দ বেদনার মায়াময় সুরধ্বনি
অবিনশ্বর বন্ধনে নশ্বর জীবন
নিবার্ক শেকড় গাড়ে নিজেরই অজান্তে
প্রাণের নিবিড়তম গভীরে!
জীবনের শত চাওয়া আশা নিরাশার
হাত ধরে চলে যাই দিগন্তের ওপারে
দুভের্দ্য অঁাধারের প্রাচীর পেরিয়ে
কোন সে অচীনপুরে?