শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য

সম্প্রতি একটা লিটল ম্যাগাজিনে কবি আল মাহমুদের সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। আক্ষেপের সঙ্গে কবি বলছেন, ইংরেজি জানা ইউরোপীয় ভাবাদশের্র মানুষ হয়েও বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালিকে এক হতে দিলেন না। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ ভুলে যদি এক হওয়া যেত তাহলে বাঙালির ইতিহাস ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতো। অথচ বঙ্কিমচন্দ্রের মতো নবীনচন্দ্র সেন, অক্ষয়কুমার দত্ত, ভ‚দেবচন্দ্র, কেশবচন্দ্র সেন, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বঙ্গভঙ্গের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বাঙালি জাতির অস্তিত্বের বিরোধিতা করেছিলেন।
আশরাফ উদ্দীন আহ্মদ
  ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

বাংলা-বাঙালি এবং বাংলাদেশ নিয়ে প্রায়শ শোনা যায় বিভিন্ন মন্তব্য, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেলে এবং সেখান কোনো বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে দেখা হলেই এমনই হাজার প্রশ্ন করে বসেন, যেমন দু’ বাংলা এক হলে কেমন হয়? দুই জামার্ন এক হলো, দুই ইয়েমেন এক হলো, দুই কোরিয়া এক হলো, এখন দুই বাংলা এক হলে কেমন হয়! এক করার কথা যখন ওঠে, তখন বলতেই হয় দুই বাংলা এক হলে তো মন্দ হয় না দাদা, কিন্তু সমস্যা যে আপনাদের দিক থেকে রয়ে গেছে, একটু ভেবে দেখুন! আমরা তো স্বাধীন একটা দেশ, যার মানচিত্র রয়েছে, জাতিসংঘে একটা সদস্য পদও আছে, স্বাধীন-সাবের্ভৗম দেশ হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতিও আছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তো শুধু একটা রাজ্য, স্বাধীন ভারতের রাজ্য বৈ তো বেশি কিছু নয়। মুহূতের্ দাদার মুখ কাদা হয়ে যায়। মনে হয় হয়তো ভেউ করে কেঁদে কেটে হিসি করে দেবে। কিন্তু তার কথা যদি মানতেই হয়, তাহলে আমরা কি ভারতবষর্ অথার্ৎ দিল্লির পেটে যাবÑ এমন উন্মাদ হয়তো আছে দেশে, তবে বিশাল জনগোষ্ঠী তা কি কখনো মেনে নেবে, যারা সাত সাগর তেরো নদী রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, পেয়েছে একটা মানচিত্র-সম্মান এবং বাংলাদেশ। এটা তো আমাদের দেশ, যা কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে পাওয়া নয়, ত্রিশ লক্ষ শহিদ আর দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের ফসলকে কারা ছিনিয়ে নিতে চায়?

সম্প্রতি একটা লিটল ম্যাগাজিনে কবি আল মাহমুদের সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। আক্ষেপের সঙ্গে কবি বলছেন, ইংরেজি জানা ইউরোপীয় ভাবাদশের্র মানুষ হয়েও বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালিকে এক হতে দিলেন না। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ ভুলে যদি এক হওয়া যেত তাহলে বাঙালির ইতিহাস ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতো। অথচ বঙ্কিমচন্দ্রের মতো নবীনচন্দ্র সেন, অক্ষয়কুমার দত্ত, ভ‚দেবচন্দ্র,কেশবচন্দ্র সেন, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বঙ্গভঙ্গের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বাঙালি জাতির অস্তিত্বের বিরোধিতা করেছিলেন।

রজনীকান্ত সেনরা স্বদেশী আন্দোলনের গান লিখেছিল যা পক্ষান্তরে মুসলমানদের কোণঠাসা করার অভিপ্রায় নিয়েই, বাংলাকে ভাগ কোনোক্রমে বরদাস্ত করা হবে না বলে যারা ১৯০৫ থেকে ১৯১১ সাল পযর্ন্ত লম্ফঝম্ফ করেছিল, মুসলমানের অধিকারকে ছোট চোখে দেখার যে নজির তখন হয়েছিল, সেখান থেকে বাঙালি মুসলমানের মুক্ত হতে সময় লেগেছিল আরও, রবীন্দ্রনাথের রাখীবন্ধন বা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান অথবা গান্ধীর স্বদেশী আন্দোলনে মুসলমানরা কতটা লাভবান হয়েছিল সে কথা না বলাই শ্রেয়ঃ, মোটা দাগে বলতে হলে অবশ্যই বলতে হয়, বাংলার মুসলমানদের ভাগ্যে যে সোনার সূযর্ উদিত হয়েছিল তা সহ্য করতে পারেনি বণর্বাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দু কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী সমাজ, স্বদেশী আন্দোলন মূলত মুসলমান বিরোধিতায় রূপ পায়, বঙ্গভঙ্গের কারণে ক্ষুদিরাম বড় লাটকে হাতে বানানো বোমা দিয়ে মারতে গিয়েছিল, ক্ষুদিরাম তো ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংস্থার কমীর্ বা সেবক। সাতচল্লিশের দেশভাগ বা বাংলাভাগ বাঙালি মুসলমানদের জন্য অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল, দেশভাগ মানে শুধু রেডক্লিপের মানচিত্রের ভাগ নয়, মনস্তাত্বিকার ভাগ-জাত-ধমর্-বণর্-শ্রেণির ভাগ, শত-শত বছরের লাঞ্ছনা-গঞ্জনা পীড়িত একটা জাতি যে তিলে-তিলে নিঃস্ব হচ্ছিল তাকে উদ্ধারের জন্য ভাগটা ছিল একটা কালজয়ী অধ্যয়। রাখাইন মুসলমানরা আরাকানে হাজার বছর ধরে বসবাস করলেও তাদের আজ নাগরিক বলতে অস্বীকার করা হচ্ছে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, যার কারণে মিয়ানমান সরকার উচ্ছেদে নেমেছে রাখাইন মুসলমাদের, সেখানে অবাধে চলছে লুটতরাজ-ধষর্ণ আরাকানি মুসলমানরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ভিখারির মতো একটু আস্তানা পাওয়ার আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ-শিশুদের যে করুণ অবস্থা তা এক কথায় বলা সত্যিই কঠিন। একটা জাতিকে বিকাশ হতে না দেয়ার চরম ফন্দি, সাতচল্লিশে দেশভাগ বা বাংলাভাগ না হলে বাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর অনুরূপ তিমির অন্ধকার নেমে আসত, সাতচল্লিশের পূবের্ তো বল্লভভাই প্যাটেল-অরবিন্দ ঘোষ-সুরেন্দ্রনাথ-শ্যামপ্রসাদ মুখাজির্-বিপিনচন্দ্র পাল প্রমুখ ভারতবষর্ থেকে মুসলমানকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে আরব দেশে চলে যাওয়ার পরামশর্ দিয়েছিল, যেভাবে আজ ভারতের বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আনসারী ভাষণে যা বলেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় উগ্রপন্থি হিন্দুত্ববাদীরা সেই একই সুরে কথা বলছে, নিরাপত্তাঘাটতি বোধ করলে যে দেশে পছন্দ সে দেশে চলে যাও। বাঙালি মুসলমান সাতচল্লিশ পূবর্ ¯েøøাগানের সঙ্গে একটু মিলিয়ে নিলে স্পষ্ট অনুধাবণ করতে পারবে। মাঝে-মাঝে শোনা যায়, অতিরঞ্জিত কথা, বাঙালি হাজার বছর ধরে একসাথে সুখে-দুঃখে বসবাস করছে, যেমন একটা গান আছে, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম/গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু আর মুসলমান..... সাতচল্লিশ পূবর্বতীর্ বাঙালি হিন্দু-মুসলমান কি ধমীর্য় ভেদাভেদ ভুলে এককাতারে সামিল হয়েছে? হাজার বছরের কথা বলে আসলে কাকে বোকা বানাতে চায় জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীরা! সুলতান মাহমুদের সতেরো বার ভারত বিজয় বা ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর বাংলা বিজয় কি হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি! বাংলা সাহিত্যে যে কালো অধ্যয় বলে রেখা টানা হয়েছিলো সেখানেও কি স্পষ্ট নয়!

কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের সাহিত্যে ওই ‘ মহেষ’ গল্পে আমিনা আর গফুর ছাড়া আর কোনো চরিত্রে মুসলমানের নাম তেমন নেই বললেই চলে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা মুসলমানির গল্প আর কাবলীওয়ালা গল্পে সুদখোর একজন রহমতকে মুসলমান হিসেবে দেখানো হয়েছে, ‘কালান্তর’ প্রবন্ধ সংকলনে মুসলমানদের জ্ঞান খয়রাত করেছেন, অথচ তার মহৎ একটা সৃষ্টি, যা পূবর্বঙ্গের আলো-আবহ মানুষ-প্রকৃতি পরিবেশ-সমাজব্যবস্থার ওপর আলোকপাত করে লেখা, হ্যঁা আমি রবীন্দ্রনাথের ‘ ছিন্নপত্র’ গ্রন্থের পত্রগুচ্ছের কথা বলতে চাইছি, যা বন্ধুবর শ্রী শ্রীশচন্দ্র মজুমদার এবং ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লেখা, সেখানে পূবর্বঙ্গের কত ছবি ধরা দিয়েছে, নদী-মাঠ-ঘাট বিভিন্ন ফুলের বণর্না যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে হিন্দুদের দিন শেষের উলুধ্বনি-পূজাপাবর্ণ অনুষ্ঠানাদি-খৃষ্টানদের ঘণ্টাধ্বনি, সঁাওতাল রমণীর চুলে গেঁাজা বাহারি ফুলের কথা, এসেছে আরও কত দৃশ্যাবলি, কিন্তু মুসলমান সম্প্রদায়ের ছবি সেখানে অনুপস্থিত, মুসলমান সেখানে ¤েøচ্ছ-যবন হিসেবে অস্পশর্। অথচ পূবর্বঙ্গে বাঙালি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট হওয়া সত্তে¡ও সুবেহ সাদিকের আজানের ধ্বনি রবীন্দ্রনাথের কণের্ প্রবেশ করেনি, মুসলমান নর-নারীর কথা নাই বা বললাম কিন্তু ঈদ-মহরম-রোমজান বলে যে মুসলমানদের ধমীর্য় উৎসব আছে, সেগুলো কি রবীন্দ্রনাথের চোখে পড়েনি, আর বঙ্কিমচন্দ্র তো তার সাহিত্যে মুসলমানদের নিয়ে রসরঙ্গ হাসি-ঠাট্টা করেছেন জীবনভর, মুসলমানের বীরত্বকে তিনি গঁাজাখোরি গল্প বলতেও ছাড়েনি, উপরন্ত মুসলমানের চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের বড় কারিগর ছিলেন তিনি, দুগের্শনন্দিনী-কপালকুÐলা থেকে আনন্দমঠ-বিষবৃক্ষ প্রভৃতি রচনায় মুসলমানের গোষ্ঠীর পিÐি চটকে ছেড়েছেন নিদ্বিধায়, তাতে অবশ্যই হাজার বছরের বাঙালির মধ্যে যারা বসবাসের স্বপ্ন দেখেন তাদের মাথাব্যথা নেই, বরং সে সমস্ত জ্ঞানপাপীরা বেশ জোরেশোরে বলেন, বঙ্কিমচন্দ্র মুসলমানদের জাগাতে চেয়েছেন, ভারী আশ্চযর্ লাগে, হায় সেলুকাশ! ওদিকে ইউরেকা-ইউরেকা বলে চিৎকার করছেন একদল বদ্ধ মাতাল বুদ্ধিজীবী, কি তারা পেল কোন্ গবেষণা থেকে, হ্যঁা পেয়েছেন, বাঙালির পূবর্জন্মের ইতিহাস, বাবরী মসজিদ খঁুড়ে যেমন পাওয়া যাবে রামের জন্মভূমি! তেমনি বাঙালীর মাথা সিটিস্কেন করে পাওয়া গেছে, বাঙালি হিন্দু-মুসলমান একই সঁুতোয় সংমিশ্রণ। কথা হচ্ছে তাহলে এখন বাঙালি মুসলমান যাবে কোথায়?

সাতচল্লিশ পরবতীর্ আমাদের বুদ্ধিজীবীগণ উন্মাদের মতো বলেছেন, দেশভাগ বা বাংলাভাগ কোনোক্রমে সমীচীন হয়নি, একই মায়ের অঙ্গে কত রূপ নিয়ে তেলে-ঝোলে অম্বলে থাকাটাই উচিত ছিল, সমগ্র বাঙালি একই সাথে থাকলে বিশ্বটাকে জয় করা সম্ভব হতো! কিন্তু বাঙালি কি বাংলা ভাগের জন্য দোষী? যদি বাঙালি মুসলমানের কোনো দেশ না থাকত, তাহলে ফিলিস্তিনিদের মতো উদ্বাস্তু হয়ে দেশে-দেশে ঘুরে বেড়াত, ওদিকে লাভের গুড়ে কঁাচকলা মিশিয়ে কেউ হুমায়ুন কবীর-জাকির হোসেন-এ. পি. জে আবুল কালাম বা শাহ্ নেওয়াজ হোসাইন-মুক্তার আব্বাস নাকভী জাতীয় পরগাছা হয়ে পায়ে-পায়ে পড়ে থাকত হতো, অনেকের জন্যই এটা নেহাৎই মন্দ ছিল না, তবুও ভারতমাতার সেবা বলে তো কথা! আর বাকি মানুষ কুকুর-বেড়াল-শেয়ালের মতো খাড়ি-নালা-নয়ানজুলি-ডোবায় পড়ে থাকত পশ্চিমবঙ্গ-আসাম-কাশ্মীরী মুসলমানের মতো।

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ একজন শক্তিমান কথাশিল্পী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠা পেলেও তাকে নিয়ে মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে কি মূল্যায়িত হলো! কারণ সে জাতে ¤েøøচ্ছ মুসলমান, যে যতই হিন্দুঘেঁষা বা হিন্দুত্বকে বরণ করে মরণ হোক না কেন সে যে পিঁয়াজ-রসুন আর গরুর মাংসের গন্ধে মিলেমিশে একাকার, তাকে আপন করা কি সম্ভব হিন্দুত্বের পক্ষে। ‘ইলিশ মারীর চর’ এর কথাশিল্পী আবদুল জব্বারেরও যেমন কোনো সম্মান হয়নি, অনুরূপ গোলাম রসুলকে নিয়েও সামান্যতম আলোচনা চোখে পড়ে না। ভাগ্যিস, সৈয়দ আলী আহসান-শওকত ওসমান-সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-আবু রূশদ প্রমুখ সাতচল্লিশ পরবতীর্ শরণাথীর্ হয়ে এদেশে চলে এসেছিল, নয়তো তাদের বাঙালিত্বও যেত, লেখক খ্যাতিও যেত শুধু মুসলমান তকমার বদৌলতে। তাহলে এখন কথা হচ্ছে, বাঙালি কি মুসলমান হতে পারে না? নাকি মুসলমান বাঙালি হতে চায় না! প্রশ্ন অনেক পুরনো হলেও বঙ্কিমচন্দ্রের মতো এখনো অনেক পÐিত আছেন, যারা মুসলমানকে বাঙালি বলতে দ্বিধা করেন। কারণ তাদের খাপে-খাপে না মিললে মুসলমানকে বাঙালি বলা যাবে না, যেমন শ্রেষ্ট বাঙালির খেতাব পেয়েছেন জয়া আহসান, (কি দারুণ তার মেধাসম্পূণর্ অভিনয় দক্ষতা, যা বাঙালিকে মুগ্ধ করে ফেলেছে!) তারও আগে পেয়েছেন ডক্টর ইউনূস-শামসুর রাহমান-হাসান আজিজুল হক-আখতারুজ্জান ইলিয়াস আর তসলিমা নাসরিন তো বাঙালির চেয়ে বড় বাঙালি। তাহলে বাঙালির খেতাব নিতে আমাদের এখন পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে!

ভারী মজার ব্যাপার, সাতচল্লিশের আগে আমাদের যে স্বীকৃতি দিতে কুণ্ঠাবোধ করেছিল দাদাবাবুরা, তারাই আজ সেঁধে পায়ে ধরে ডেকে-ডুকে বাঙালি স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, একেই বলে ভালোবাসা, ভ্রাতিৃত্ববোধ! সাতচল্লিশের পূবের্ মুসলমান কেউই বাঙালি ছিল না, আর আজ অথার্ৎ সাতচল্লিশ পরবতীর্ মুসলমান সত্যসত্যিই কোন্ যে অদৃশ্য সঁুতোর টানে বাঙালি হয়ে যাচ্ছে! সে কথা আমার মতো নিবোর্ধ না বুঝলেও যে বোঝার সে ঠিকই বুঝে যাচ্ছে, এবং এখানেই আমার জ্ঞানের ঘাটতি!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<18146 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1