জানি আজ তুমি বড্ড অভিমানী।
শ্রাবণের মেঘলা আকাশের মতো ঢেকেছে হৃদয়
বার বার কেন ফিরে আসে অনাহুত কালো মেঘ, কেন ঝরে না
বৃষ্টি হয়ে, ভেসে যায় না কেন প্রবল বানে, কালো মেঘ ঝরে পড়ো
নিঃশেষিত করো পোড়া মাটির গন্ধ, হৃদয়ে আসুক শীতলতা।
আজ তোমায় কিসের ব্যাকুলতা, তুমি কি দেখনি হাজার মাইল
পথ পেরিয়ে তোমার কাছে এসেছি একটি গোলাপ নিয়ে,
অশ্রæ দিয়ে লিখে নিয়ে এসেছি একটি ভালোবাসার পদ্য
এ কণ্ঠে বাজেনি কোনো গান, হয়নি ধ্বনিত কোনো ভালোবাসার পদ্য
তোমাকে ভালোবাসব বলে হৃদয়ে জমিয়ে রেখেছি অজস্র কাব্য, গান
তবে কেন তুমি অভিমানী? কেন ঝরে অশ্রæ ললাট বেয়ে? কেন
জজির্রত করছ হৃদয় ঘাত প্রতিঘাতে, এখনো হৃদয়হীন মানুষেরা
ঘুরে চারপাশ কিসের খেঁাজে, কেন জড়ো হয় কুত্তার দল নোংরা
নষ্টামির খেঁাজে, আমিতো শরীরকে করিনি কোনো ভোগ্য পণ্য
তবে কেন আজ শরীরের প্রতি রক্ত কণায় ধ্বনিত হয় গজর্ন
চলে যাও হে অতীত! চেয়ে দেখ কত বিদগ্ধ কুমারীর মন, দাগহীন
মসৃন শরীরে পড়েনি কোনো অঁাচড়, স্তনে পড়েনি দঁাত, নাভীমূলে সুরভিত হয়
চারপাশ, তারও খানিক নীচে যেখানে লুকিয়ে অতৃপ্ত কামনা, তবুও মন
চায়না এ শরীর! হৃদয়ের ব্যাকুলতা বেশি। তবে কি আমি নিয়েছি
কোনো সন্ন্যাসীর স্বরূপ, নাকি ভালোবাসা চিরে খায় এ হৃদয়।
তবে আজ বলে যাই এ বিদায় বেলায় ভালোবাসার হয় না মিলন
শুধু একটি হৃদয়ের ছেঁায়ায়!!