ছুঁয়ে যাই নদী মাটি জল
কার মনের আশিের্ত ছাপ ফেলে
মেঝেয় ভেসে ওঠা জলের ছাপের মত হঠাৎ হঠাৎ।
চঞ্চল মন ছুটে বেড়ায় দিশেহারা প্রজাপতির মত
এ ডাল থেকে ঐ ডালে।
থমকে যায় ক্লান্ত পৃথিবীর চোখও সবুজের ওপার বিস্ময়ে।
সদ্য বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতি যেন
ঘোর লাগায় চোখের আড়ালের চোখে।
তুমি কি দেখেছো সেই রঙিন স্বপ্নের উলঙ্গ হাহাকার;
বুনে যাওয়া নতুন চিত্রকল্প।
ভালোবাসায় মেপে নেয়া এক -নদী জলে;
সঁাতার কেটে কি পার হওয়া যায় সবটা অলস দুপুর!
বিকেলের ওই মায়াবী আলোয় কি খুঁজে পাওয়া যায়
সবটুকু ভালোবাসার প্রহর।
কি এক ঘোর নিয়ে ফিরে আসি তোমার আঙিনায়,
না বলা কথারা- বুকের ভিতর শিস দিয়ে যায়,
মাঝরাতে দুলে ওঠা বঁাশ পাতার মমর্র ধ্বনির মত।
নিশার স্বপ্নের মত নিকষ রাত্রি তাড়িয়ে নেয় অজানার পথে।
সেই স্বপ্নের পথে তোমার হাত ধরে হেঁটে চলি
জোসনার আলোয় ঝরা-পাতা -বিছানো -পথে।
তোমার নিশ্চিত বাহুডোরে হেঁটে চলি
ছায়ার মত; গভীর হাওয়ার রাতে।
মাথার উপর ভাসা-ভাসা মেঘের ফঁাকে
অজস্র তারার ছুপছুপ আনাগোনা
বন্ধুর পথের সঙ্গী হয়ে রয়।
ঝিঁঝিঁ পোকার আলাপন জাগিয়ে রাখে
খড়কুটো প্রদীপের আলো।
ভাংগা সঁাকোর উপর দঁাড়িয়ে নিমার্ণ করি
নতুন স্বপ্নাদ্য নগরী।
মাতাল করা বন্যফুলের গন্ধে বিভোর হয়ে
থমকে দঁাড়াই চলেছিতো ঠিক পথে!
স্বপ্নিল স্বপ্নঘোর তাড়া করে ফেরে
এগিয়ে চলার সাহসী গানের তানে,
দখিনা বাতাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় স্বপ্ন-
ডানা চোখে পরাগ মেখে আমি হারাই
অজানা নিঃসীম অন্ধকারের অনন্তে!!