শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অদৃশ্যে গন্তব্য

অরূপ রতন
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

‘আমি কী আপনার পাশে কিছুক্ষণ বসতে পারি?’

শাহজাহান আলী নিশ্চুপ। সম্ভবত দঁাড়িয়ে থাকা যুবকটির কথা তার কানে পেঁৗছেনি। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে ঢেউয়ের ওঠানামা দেখছেন। সমুদ্রে বেড়াতে এলে সবার মনের মধ্যেই একটা ব্যক্তিগত অনুভ‚তি কাজ করে। একটা ব্যক্তিগত আবেদন খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করে সবাই। শাহজাহান আলী এ রকম কোনো অনুভ‚তি বা আবেদনের মধ্যে আছেন কিনা সামনে দঁাড়িয়ে থাকা যুবকটি বুঝতে পারছে না। সে বিরক্ত প্রকাশ না করে আবার একটু উঁচু স্বরে বলল ‘আমি কী এখানে বসতে পারি?’ শাহজাহান আলী এতক্ষণে সম্বিত ফিরে পেলেন। ঘাড় ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ‘আমাকে কিছু বলছেন?’

‘বলছিলাম আপনার পাশে যে ফঁাকা জায়গাটি আছে সেখানে কী আমি কিছু সময়ের জন্য বসতে পারি?’।

‘কেন নয় মশাই? তাছাড়া এটা আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। পাবলিক প্লেস। যে কেউ এখানে বসতে পারে’।

‘আমি জানি, তার পারেও ভদ্রতা বলেতো কিছু একটা আছে , তাই না?’ যুবকটি বলল।

‘তা বলতে পারেন। তবে আজকালকার ছেলেছোকরাদের মধ্যে এ ব্যাপারটি তেমন চোখে পড়ে না। আপনাকে দেখে অবাক হলাম। বাই দ্যা বাই আপনার নাম?’ শাহজাহান আলী জিজ্ঞেস করলেন।

‘আমি শাহরিয়ার। খন্দকার শাহরিয়ার হোসেন’।

‘বেড়াতে এসেছেন, না কি হানিমন?’

‘না, আসলে ঠিক তা নয়। একটা কাজে এসেছি। তবে বেড়ানো বলে চালিয়ে দিচ্ছি। রথ দেখা আর কলা বেঁচা এক সঙ্গে বলতে পারেন’।

‘ওহ মাফ করবেন, আমার পরিচয়টা দেওয়া হয়নি’। লেখক বলল।

‘আপনি শাহজাহান আলী’। চটজলদি শাহরিয়ার বলল।

‘আপনি আমায় চেনেন?’ শাহজাহান আলী বেশ অবাক হয়ে বললেন।

‘আপনি একজন বিখ্যাত লেখক। তাছাড়া যার সুনাম দেশের সবর্ত্র তাকে না চেনার কোনো কারণ নেই’।

‘শাহজাহান আলী হয়তো বিখ্যাত লেখক কিন্তু আমিই যে সেই শাহজান আলী তা কোনোদিন পাঠকের সামনে তুলে ধরি নাই’।

‘কতদিন আর জনচক্ষুর আড়ালে থাকবেন মশাই? এবার খোলশটা বদলে পাঠকের সামনে আসুন। আমার মতো পাগল পাঠক ঠিক-ই তার ভগবানকে খুঁজে নেবে’।

‘কী যে বলেন। থাক এসব কথা। কোথায় উঠেছেন বলুন তো?’ শাহজাহান আলী জিজ্ঞেস করলেন।

‘হোটেল ম্যানিলায়, আপনি?’ শাহরিয়ার বলল।

‘স্বদেশী মোটেল। ওইতো পাশেই’। হাত দিয়ে ইশারা করলেন লেখক।

‘মাঝখানের ঝিলটা পাড় হলেই যে মোটেল?’

‘হ্যঁা, ঠিক ধরেছেন। আসুন না একবার, বেশ মজা করে সময় কাটানো যাবে’।

‘অবশ্যই আসব। আপনার মতো লেখকের সাথে আড্ডা দিতে পারা সে তো আমার ভাগ্যের ব্যাপার। আমি কখনই এ সুযোগ হাত ছাড়া করব না’।

সমুদ্র থেকে হঠাৎ একটা তীব্র গজর্ন ভেসে এলো। তারা দুজন তাকালো সেদিকে। একটা ঢেউ বেশ বড় সড় হয়ে ধেয়ে আসছে। উৎসুক দশর্নাথীর্রা দ্রæত তীরের দিকে ফিরে আসতে শুরু করল। বেশ বাতাস বইছে। বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি পানির ঝাপটা। শীত শীত করছে। শাহজাহান আলী বললেন, ‘এবার ওঠা যাক। তাছাড়া সন্ধ্যাও ঘনিয়ে আসছে । মোটেলে ফিরতে রাত হয়ে যাবে’।

‘ঠিকই বলেছেন। আজ না হয় উঠি। অন্যদিন আবার কথা হবে। আচ্ছা, কতদিন থাকবেন এখানে?’ শাহরিয়ার হঠাৎ-ই প্রশ্ন করল।

‘ঠিক নেই। একটা গল্পের ভ‚ত মাথায় নিয়ে এসেছি, দেখি কবে নাগাদ নামাতে পারি’।

‘ওকে, আবার কথা হবে’।

বাক্যটি উচ্চারণ করেই উঠে দঁঁাড়াল শাহরিয়ার, সাথে লেখক। হ্যান্ডশেক করে একে অপরকে বিদায় জানায় তারা।

রাত বারোটা দশ মিনিটে সেলফোনটা বেজে উঠলো। শাহজাহান আলী তখন লেখার টেবিলে। তিনি কিছু লিখতে চাচ্ছেন। কিন্তু কেবল সেটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনোক্রমেই খাতার পৃষ্ঠায় সাজাতে পারছেন না। সেলফোনটা আবার বেজে উঠলো। শাহজাহান আলী ফোনটা হাতে নিলেন। নাম্বারটা তার পরিচিত কিন্তু কোনো নামে ঝধাব করা নেই।

‘হ্যালো, শাহজাহান আলী বলছেন?’ নারী কণ্ঠ।

‘সেলফোন নিশ্চয় অন্য কেউ জবপবরাব করে না’। শাহজাহান আলী বললেন।

‘ইয়ে... মানে’

‘না ঠিক আছে বলুন’।

‘আমাকে চিনতে পেরেছেন?’ নারী কণ্ঠ বলল।

‘পারছি। কিন্তু নাম বলতে পারব না। কণ্ঠটা বেশ পরিচিত’।

‘আপনি আমার নাম ভুলে গেলেন’। নারী কণ্ঠ বেশ অবাক হয়ে বলল।

‘ভুলিনাই হয়’তো। কিন্তু এই মুহ‚তের্ স্মরণ হচ্ছে না’।

‘আচ্ছা, আপনার লেখা ‘অদৃশ্যে গন্তব্য’ উপন্যাসের নায়িকার নাম কী?’ নারী কণ্ঠ জানতে চাইলো।

‘মনে করতে পারছি না’। লেখক বলল।

‘সত্যিই পারছেন না?’

‘হঁু,পারছি না’।

‘অদিতি’ ওপাশ থেকে নারী কণ্ঠ উচ্চারণ করলো।

‘মনে পড়েছে’।

‘কী ?’

‘ওই যে নায়িকার নাম’।

‘ও’।

‘চুপসে গেলেন মনে হয়’।

‘না, মানে ভাবছি। এতদিন আমার সাথে কথা বললেন অথচ আমার নামটাই আপনার মনে নেই’।

‘আমি খুব ঝড়ৎৎু। সত্যিই আমি মনে করতে পারছিনা’।

‘আচ্ছা, হঠাৎ আমি ‘অদৃশ্যে গন্তব্য’ উপন্যাসের নায়িকার নাম কেন জিজ্ঞেস করলাম, বুঝতে পেরেছেন?’

‘এবার বুঝতে পারলাম আপনি অদিতি’।

‘যাক শেষ পযর্ন্ত নামটা উদ্ধার হলো তাহলে’।

‘আমিতো বললাম ঝড়ৎৎু। ’

‘ওকে ঝড়ৎৎুটা অপপবঢ়ঃ করলাম। তারপর কী করছিলেন?’

‘লেখক মানুষ, কী আর করব বলুন। লেখার চেষ্টা করছি’।

‘কী লিখছেন?’ অদিতি জানতে চাইলো।

‘কিছু একটা লিখতে চাচ্ছি। কিন্তু হচ্ছে কই। সব গুলিয়ে ফেলছি’। লেখক দীঘর্শ্বাস নিয়ে বলল।

‘আপনি কী কোনো কারণে হতাশ?’

‘হতাশ ঠিক নই। আসলে কিছুই ভালো লাগছে না। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারবো না’।

‘আপনাকে কিছু বোঝাতে হবে না। মাথাটা ঠাÐা রাখুন, প্লিজ’।

‘চেষ্টা করছি’।

‘আপনি কী অসুস্থ?’ অদিতি উত্তেজিত।

‘না ঠিক আছি’। লেখক বলল।

‘সত্যিই ঠিক আছেন? অদিতির কণ্ঠে ভঁাজ।

‘হ্যঁা ঠিক আছি। আপনি আসলে ....’

‘বলুন আমি আসলে?’

‘না, আসলে বলতে চাচ্ছিলাম আপনি বেশ ঈধৎবভঁষ.

‘শুধু আপনার জন্যই’।

‘মানে?’

‘মানে কিছু না। আপনি অসুস্থ এই ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারি না’।

‘তবে আমার কী অসুখ হতে নেই?’

‘না হতে নেই’।

‘এ আপনার গোড়ামী। আমি রক্ত-মাংসের মানুষ’।

‘কিন্তু আপনি অসুস্থ জানলে আমার সবকিছু স্থবির হয়ে যায়। আমি মনেপ্রাণে কামনা করি, আপনি সুস্থ থাকুন, আর লিখুন। আমি আপনার নতুন লেখা পড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি’।

‘আমার লেখা পড়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। অনেকেই আমার ভক্তও বনে গেছেন। কিন্তু আপনার মতো ভক্ত আমি দ্বিতীয়টি পাইনি’।

‘আমি শুধু আপনার লেখাই পছন্দ করি না। পছন্দ করি আপনার সবকিছু। আপনার হাসি, আপনার কথা এমনকি আপনার টি-শাটর্’।

মেয়েটির কথায় শাহজাহান আলী বেশ চমকে উঠলেন। কিছু একটা বলতে গিয়ে বুঝতে পারলেন সেলফোনে নেটওয়াকর্ পাচ্ছে না। শাহজাহান আলী লেখার টেবিল ছেড়ে উঠলেন। দক্ষিণের জানালা খুলে দিয়ে সেখানে দঁাড়ালেন কিছুক্ষণ। মুহুমুর্হু বাতাস আসছে জানালা দিয়ে। শাহজাহান আলীর এই মোটেল থেকে সমুদ্র প্রায় অনেক দূর। তার পরেও সমুদ্রের গজর্নটা ছুটে আসছে তীরের মতো।

ঘুম ভেঙেই ফজরের আজান শুনতে পেল শাহরিয়ার। অন্ধকার কাটতে এখনো অনেক সময় লাগবে। কিন্তু শাহরিয়ার লক্ষ্য করল বিছানায় শুয়ে থাকতে তার বেশ বিরক্ত লাগছে। ঘুম আসছে না। তার পরেও ঘুমের ভান করে শুয়ে আছে সে। না আর পারা যায় না। মানুষ সবকিছু হয়তো পারে কিন্তু নিজের সাথে অভিনয় করতে পারে না। শাহরিয়ারের মনে হচ্ছে সে এখন নিজের সাথে অভিনয় করছে। তার চোখে ঘুম নেই অথচ ঘুমের ভান করে শুয়ে আছে। সে আর পারলো না। বিছানায় উঠে বসল। জিরো বাল্বটা ড়হ করা ছিল। শাহরিয়ার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেল অদিতি বেহুঁশ ঘোরে ঘুমাচ্ছে। জিরো বাল্বের নীল আলো অদিতির চোখ, মুখ এমন কী কপাল ছঁুয়ে আছে। মনে হচ্ছে কোনো এক পবিত্র রমণী দৃঢ় বিশ্বাসে ঘুমিয়ে আছে। তার ঘুমন্ত অবস্থায় কোনো অপ্রাণী বা ইতর বিশেষ কেউ তাকে বিরক্ত করবে না। শাহরিয়ার অপলকভাবে অদিতির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায় ঘুমন্ত অবস্থায় তার দিকে তাকিয়ে থাকলে। অদিতি বেহুঁশ ঘোরে ঘুমাচ্ছে। মনে হচ্ছে সহজ-সরল একটা মানুষ পৃথিবীর সব যন্ত্রণাকে ছুটি দিয়ে নিজীের্বর মতো চোখ বন্ধ করে আছে। কী পবিত্র সেই চোখ। শাহরিয়ার লক্ষ্য করল তার এই সাড়ে তিন বছরের বিবাহিত জীবনে অদিতির এমন পবিত্র চোখ কখনো দেখেনি। তার খুব ইচ্ছে করছে অদিতির কপালটা আলতো করে ছুঁয়ে দিতে। কিন্তু সে পারছে না। তার হাত কঁাপছে। শাহরিয়ার পা টিপে টিপে ছাদে গিয়ে দঁাড়াল। তার খুব কান্না পাচ্ছে। বারবার তার চোখ পানিতে ভিজে যাচ্ছে। একবুক যন্ত্রণা নিয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন অনেক দিনই তো গেছে। শাহরিয়ার তার সবর্স্ব দিয়ে অদিতিকে কাছে টানার চেষ্টা করেছে। অতি আদরে অনেকবারই তো তাকে দুই হাতে জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু বারবার-ই অদিতি খুব কৌশলে তার হাত সরিয়ে দিয়েছে। শাহরিয়ারের বেশ খটকা লাগত। সে ঠিক বুঝতে পারতো না অদিতি কেন এমন করে। শাহরিয়ার জানে অদিতি তার বিবাহিত স্ত্রী। সে জোর করলেও কারও আপত্তি থাকবে না। কিন্তু পৃথিবীর সব কিছুতেই কী জোর খাটানোর নিয়ম আছে? অথবা সবাই কী জোর খাটাতে পারে? আর জোর করতেই বা হবে কেন। সে তো অদিতিকে ভালোবাসে, অনেক ভালোবাসে। অদিতি স্বাভাবিকভাবেই একটু গম্ভীর থাকত। কিন্তু একদিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার দেখতে পেল অদিতির এক অন্যরকম চেহারা। সে হাসছে। হাসতে হাসতে কথা বলছে কোনো এক মানুষের সঙ্গে। তার কানে ধরা সেলফোন। তবে ওপ্রান্তে কে ছিল সেদিন। শাহরিয়ার বুঝতে পারেনি। তবে এখন সে জানে ওপ্রান্তে কে ছিল। শাহজাহান আলী। অদিতি তাকে প্রচÐ ভালোবাসে। শাহরিয়াকে এ সম্পকের্ কিছুই জানায়নি অদিতি। শাহরিয়ার নিজ থেকেই সব উদ্ধার করেছে। কিন্তু সে নিবার্ক। কিছুই বলতে পারেনি অদিতিকে। গতকাল বিকেলে সাক্ষাৎ হলো শাহজাহান আলীর সঙ্গে যদিও শাহরিয়ার আগে থেকেই লোকটাকে চিনত তবুও একটা চরম মূহ‚তের্র জন্য নিজের পরিচয়টা তুলে ধরেনি। সে বলতে পারেনি আমি অদিতির স্বামী, আমার পৃথিবীজুড়ে শুধু ওর অবস্থান। দয়া করে আপনি ওকে মুক্তি দিন, প্লিজ। শাহরিয়ারের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। সে কী করবে ভাবতে পারছে না। সে শুধু ভাবছে আমি না থাকলে অদিতিও মুক্তি পাবে। লেখককে আপন করে পেতে তার সামনে কোনো বঁাধা থাকবে না। তাহলে আমি কী চলে যাব কোথাও? অনেক দূরে। যেখানে গেলে অদিতিও লেখক আমায় খঁুজে পাবে না। মুহ‚তের্ই শাহরিয়ার চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘আমি কোথাও যাব না। আমি অদিতিকে ভালোবাসি। ও শুধু আমার’।

অন্ধকার এখনো কাটেনি। শাহরিয়ার দ্রæত নিচে নেমে এলো। তারপর ড্রয়ার থেকে রিভলবার বের করে তাতে ছয়টি বুলেট ভরে নিল।

পুনশ্চ : শাহজাহান আলীকে হত্যার দায়ে শাহরিয়ার গ্রেপ্তার হয় পুলিশের হাতে। তার এই কাজে পুলিশকে সাবির্কভাবে সহায়তা করে অদিতি। সারাদেশে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। প্রেস ক্লাব থেকে চায়ের স্টল পযর্ন্ত একই আলোচনা শাহজাহান আলীর রহস্যজনক মৃত্যু। পাঠক থেকে সাধারণ মানুষ পযর্ন্ত সবাই শাহজাহান আলীর হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। শাহরিয়ার আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে নেয়। অদিতি নিবার্ক। সে ঠায় দঁাড়িয়ে থাকে এককোণে। চোখে-মুখে বিষণœতা।

শাহজাহান আলীকে হত্যার দায়ে বিচারক শাহরিয়ারকে মৃত্যুদÐের নিদের্শ দিলেন। শাহরিয়ারের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে এলো। সে অদিতির চোখে চোখ রেখে বলল ‘শাহজাহান আলী তার ‘অদৃশ্যে গন্তব্য’ উপন্যাসে যে অদিতির কথা বলেছেন সেই অদিতি লেখককে হত্যার দায়ে তার স্বামীর মৃত্যুদÐ কামনা করেনি’।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<35661 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1