শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিরঞ্জীব মার্ক টোয়েন

সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান
  ০৩ মে ২০১৯, ০০:০০
আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে তাদের পারিবারিক 'উলডন সমাধি'তে টোয়েন সমাধিত আছেন। নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তার সমাধিস্থলে একটি ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের সমাধি স্তম্ভ স্থাপন করেন তার মেয়ে ক্লারা। তিনি ছিলেন ক্ষণজন্মা ও চিরঞ্জীব এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। মৃতু্যর শতবর্ষ পরও তিনি কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বেঁচে আছেন।

পৃথিবীর বুকে এমন কিছু কিছু মানুষ আসে, যারা মৃতু্য পরেও চিরঞ্জীব। তারা দূর আকাশের বুকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বসে আছেন। আমার তাদের দেয়া উজ্জ্বল আলোয়, আলোকিত হই। আজ এমনি একজন চিরঞ্জীব উজ্জ্বল নক্ষত্রের কথা স্মরণ করছি, যিনি মৃতু্যর ১০৯ বছর পরেও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা নিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছেন। তিনি হলেন- বিশ্ব বিখ্যাত মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সু-বক্তা মার্ক টোয়েন। যদিও এটা তার ছদ্মনাম কিন্তু তিনি এই নামেই সারা বিশ্বব্যাপী পরিচিত। উনার প্রকৃত নাম হচ্ছে 'স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ন ক্লিমেন্স' কিন্তু এই নামে খোদ আমেরিকার সাধারণ মানুষ পর্যন্ত চিনতে পারবে না। তবে মার্ক টোয়েন ছদ্মনাম; নামটি পৃথিবীর বুকে এতটাই পরিচিত, যা সত্যি এক অবাক বিস্ময়। পৃথিবীর বুকে আর কোনো ছদ্মনাম এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। বই পডুয়া এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না, যিনি মার্ক টোয়েন এর নাম শুনেননি। আমেরিকার মিসিসিপি এলাকায় নাবিকদের পরিভাষা হচ্ছে মার্ক টোয়েন, যার অর্থ '১২ ফুট গভীর জল'। ক্লিমেন্স ১৮৫৭ সালে মিসিসিপি নদীতে স্ট্রিমবোট চালকের কাজ করার সময়ে তিনি এই কাজের প্রেমে পড়ে যান। একজন নাবিক হয়ে সমুদ্র পথে সারা বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন। তখন তিনি নাবিক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে লেখালেখিতে নিজের ছদ্মনাম নেন 'মার্ক টোয়েন'। পরবর্তী সময়ে এই নামেই তিনি বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে যান আর উনার আসল নাম ঢাকা পড়ে যায়। যদিও তিনি নাবিক পেশায় বেশি দিন ছিলেন না। নাবিক হয়ে সমুদ্র পথে বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ না হলেও তিনি অভিযাত্রী হয়ে সমুদ্র পথে বিশ্ব ভ্রমণ করে ছিলেন।

৩০ নভেম্বর, ১৮৩৫ সালে ফ্লোরিডার মিসৌরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২১ এপ্রিল, ১৯১০ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রিডিং, কানেকটিকা শহরে মৃতু্যবরণ করেন। টোয়েন সাত ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন ষষ্ঠ। তিনি ৭ বছর বয়সে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১১ বছর বয়সে তার বাবা মার্শাল (৪৯) নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন মার্ক টোয়েন বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন। উনার শৈশব দারিদ্র্য আর দুর্দশায় কেটেছে।

\হপ্রতিকূল পরিবেশে কেটেছে। পিতা মারা যাওয়ার পর পরিবারের অর্থ উপার্জনে সাহায্য করার জন্য কিশোর টোয়েন ১২ বছর বয়স থেকেই স্টোর ক্লার্ক ও ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন। দারিদ্র্যতার কারণে কখনো তিনি নৌকার মাঝি আবার কখনো তিনি খনি শ্রমিকের কাজ পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি আইন বিষয়ে লেখাপড়া করলেও সেটা নিয়ে খুব বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। 'হানিবাল কুরিয়ার' নামক স্থানীয় একটি পত্রিকায় কিছু দিন খাদ্যের বিনিময়ে টাইপসেটার হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে চলে আসেন তার বড়ভাই ওরিয়ন ক্লেমন্সের সম্পাদনায় প্রকাশিত 'হানিবাল ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন' পত্রিকায়। ওই পত্রিকায় টাইপিংয়ের পাশাপাশি লেখালেখি আর সম্পাদনার সুযোগ পান। মূলত এখান থেকেই উনার লেখালেখির শুরু হয়। তবে তখনও তিনি লেখক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেননি। লেখালেখিতে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠার আগে জীবনের অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। তার সংগ্রামী জীবনের অনেক বাস্তব ঘটনাগুলো তার লেখালেখিতে উঠে এসেছে। তিনি ধারণা করতেন, তার কঠিন সংগ্রামী জীবনের কারণেই তিনি বিশ্ব বিখ্যাত হতে পেরে ছিলেন।

যে মার্ক টোয়েনের শৈশব ছিল বিবর্ণ, তিনি আমেরিকার শিশু-কিশোরদের জীবন বর্ণিল ও আনন্দমুখর করতে অসংখ্য সাহিত্য রচনা করে ছিলেন। মার্ক টোয়েনের মূল পাঠক ছিল আমেরিকার শিশু-কিশোর। তার অধিকাংশ সাহিত্যকর্মগুলো ছিল হাস্যরসে ভরপুর। সব বয়সের পাঠক তার ভক্ত ছিলেন, তবে শিশু-কিশোরদের কাছে তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। আমেরিকার অভিভাবকরা শিশু-কিশোরদের মার্ক টোয়েনের বই পড়তে দিতে চাইতেন না। তাদের ধারণা ছিল, ওরা এমনিতেই দুষ্টুমি করে আর তার বই পড়ে আরো বেশি দুষ্টু প্রকৃতির হবে। এই বিষয়ে একজন সাংবাদিক মার্ক টোয়েনের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, 'আমি আমার সন্তানদের আমার বই পড়তে দেই না।' বিষাদময় জীবন নিয়েও টোয়েন ছিলেন হাস্যরসে ভরপুর। তিনি ছিলেন ওই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তা। তার হাস্যরসাত্মক বক্তৃতা শুনতে বিভিন্ন দেশের ছেলে-বুড়োর ভিড় হতো। তিনি বক্তৃতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাদের জন্য এমন কিছু হাসির খোরাক রাখতেন, যেন তারা প্রাণবন্ত আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। তিনি খুব সাধারণ বিষয়গুলো অসাধারণ বাচন ভঙ্গিতে বলতেন, কেউ কেউ হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলার আবার কেউ কেউ হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত আছে। এই প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিক তাকে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, 'আপনার ভাঁড়ামি আমার বেশ ভালো লাগে। আপনিই সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম সাহিত্যিক ভাঁড়।' টোয়েন এমন কথায় রেগে না গিয়ে হেসে হেসেই বলেছিলেন, 'আমিও এক সময় সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। এই পেশায় দৈন্যদশা আমি দেখেছি। আমার ভাঁড়ামির কারণেই আপনাদের পত্রিকাগুলো চলে। আমার ভাঁড়ামির গল্প ও বক্তৃতার কথাগুলো পড়তেই মানুষ আপনাদের পত্রিকাগুলো কিনে।'

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মার্ক টোয়েন লেখালেখি ও চমকপ্রদ বক্তৃতার কারণে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন। তখন তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছিলেন। এভাবে একটা সময়ে তিনি আমেরিকার সেরা ধনী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। এই বিষয়ে তিনি একটা বক্তৃতা দেয়ার সময় বলেছিলেন, 'আমি দৈন্যদশার মাঝেই বেড়ে উঠেছি কিন্তু আমার পাঠক ও শ্রোতাদের কারণে আজ আমি ধনী ব্যক্তি। আমি মাঝেমধ্যে ভেবে অবাক হই, কেন মানুষ আমার ফালতু লেখাগুলো পড়ে এবং আমার অহেতুক কথাবার্তা শুনতে তাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। সম্ভব আমার লেখা ও বক্তৃতার মাঝে কোন যাদু আছে, যা আমার পাঠক ও শ্রোতাদের সম্মোহিত করে।' এমন উদার কথাবার্তা কারণে সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যেত। তারা তখন তার প্রশংসায় মুখরিত থাকতো। তিনি ছিলেন ঊনিশ শতকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন। তার সময়ে তিনি আমেরিকার সবচেয়ে বড়ো তারকা ছিলেন। আমেরিকান লেখক উইলিয়াম ফকনার বলেছিলেন, 'টোয়েন ছিলেন প্রথম ও প্রকৃত আমেরিকান লেখক। তার পরে আমরা সবাই তার উত্তরাধিকারী।' মার্ক টোয়েনের সাহিত্যকর্মের তালিকা ছিল বেশ দীর্ঘ। এসবের বেশিরভাগই পাঠকপ্রিয়তা পেয়ে ছিল। তবে আলাদা করে যদি বলতে হয়, 'অ্যাডভেঞ্চার্স অব টম সয়্যার আর অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকলবেরি ফিন এর জন্য বিশ্বজোড়া সমাদৃত হোন। শত বর্ষ পেরিয়েও, এখনো পাঠক তার রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকেন। তার রম্য রচনার জন্য এখনো তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এ বিষয়ে বলা যায়, মার্ক টোয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধুমাত্র মার্ক টোয়েন। তার উক্তিগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে থাকে। যে কোনো সাহিত্য আলোচনায় টোয়েনের উক্তিগুলো চলে আসে। তার উক্তিগুলো যেমন মজার আবার তেমনি শিক্ষণীয়। তার একটি জনপ্রিয় উক্তি হচ্ছে 'সবার সঙ্গে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন'।

মার্ক টোয়েন লেখালেখিতে শীর্ষে অবস্থান করলেও তিনি ব্যবসায়ে ছিলেন চরম ব্যর্থ। তার জীবনের আয়ের অধিকাংশ টাকা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ব্যয় করতেন। অটোমেটিক টাইপসেটিং মেশিন বানাতে দুই লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে ছিলেন। ওই সময়ে দুই লাখ মার্কিন ডলারের বর্তমানে মূল্যমান কত, সেটা বলাই বাহুল্য। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে এবং পাওনাদারদের চাপে এক সময় আদালত কর্তৃক নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করান। যদিও পরে সব পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করেন। তার জীবন ছিল বিষাদে ভরা বৈচিত্র্যময় জীবন। মানুষকে আনন্দে ভরপুর রাখতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাওয়া মানুষটিকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আশপাশের মানুষকে সুখী রাখার প্রয়োজনে নিজেকে সুখী রাখতে হবে। কষ্টে থাকা মানুষদের কেউ পছন্দ করে না।' মার্ক টোয়েনের অধিকাংশ সাহিত্যকর্ম নিজের কঠিন বাস্তব জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। তিনি কষ্টের কথাগুলো এত সুন্দরভাবে লিখতেন, যা কষ্টের বদলে হাসির খোরাক হয়ে ওঠে। কষ্টগুলো আর কষ্ট মনে হতো না। এই কাজে তিনি অনেক সফল ছিলেন। নিজের দেউলিয়া হওয়ার কঠিন সময়ের কাহিনী তিনি এতটাই হাস্যরসাত্মকভাবে লিখেছিলেন। তিনি যে কষ্টকে জয় করতে পারেন, এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মার্ক টোয়েন ১৮৬৭ সালে সমুদ্র পথে প্যালেস্টাইন যাওয়ার সময় একজন যুবকের পকেটে একটি মেয়ের ছবি দেখেই প্রেমে পড়ে যান। এটাকে তিনি আখ্যায়িত করেছিলেন, ছবি দেখে প্রেম। ১৮৭০ সালে ওই ছবির মেয়েটির সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নাম ছিল অলিভিয়া ল্যাংডন। অলিভিয়া ছিলেন প্রগতিশীল মানসিকতার অধিকারী। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ১৯০৫ সালে প্রিয়তমা স্ত্রী অলিভিয়ার মৃতু্যর পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ অনুভব করতেন। ওই সময়ে তিনি লেখালেখি অনেকটাই বন্ধ করে দেন। তিনি অলিভিয়ার স্মরণে তাদের দাম্পত্য জীবনের অনেক ঘটনা নিয়ে ১৯০৬ সালে লিখেছিলেন 'ইভস ডায়েরি'। মূলত এটাই ছিল তার জীবনের শেষ লেখা কোনো বই। ১৯৩৫ সালে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যাওয়ার সপ্তাহখানেক পরেই মার্ক টোয়েনের জন্ম। ১৯১০ সালে আবারো হ্যালির ধূমকেতুর আবির্ভাব হওয়ার দুই বছর আগে ১৯০৮ সালে মার্ক টোয়েন তার মৃতু্যর বিষয়ে একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেন। যা তখন মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হয়। তার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল এমন, '১৮৩৫ সালে হ্যালির ধূমকেতুর সঙ্গেই আমি পৃথিবীতে এসেছিলাম। আগামী বছর এটি আবার আসছে, এবং আমি আশা করি এর সঙ্গেই আমি আবার চলে যাব। হ্যালির ধূমকেতুর সঙ্গে সঙ্গেই যদি আমার প্রস্থান না ঘটে তাহলে এটি হবে আমার জীবনের সবচে বড় হতাশাপূর্ণ ঘটনা। কোনো সন্দেহ নেই যে স্রষ্টা বলেছিলেন: 'এই হলো দুই দায়িত্বজ্ঞানহীন উন্মাদ, এরা এসেছিল একসঙ্গে, এদের যেতেও হবে একসঙ্গে।' আশ্চর্যজনকভাবে তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্য করে তিনি ১৯১০ সালের ২১ এপ্রিল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃতু্যবরণ করেন। আর ওইদিনটি ছিল হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি দূরত্বে পরের দিন। টোয়েনের মৃতু্যতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ওই সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হাওয়ার্ড ট্যাফ্‌ট বলেছিলেন,

'মার্ক টোয়েইন অজগ্র মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত আনন্দ দান করে গেছেন এবং তার সৃষ্টিকর্ম অনাগত অসংখ্য মানুষকেও ভবিষ্যতে আনন্দ দান করে যেতে থাকবে। তিনি আমেরিকান রম্য করতেন, কিন্তু ইংরেজরাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষজনও তার নিজ দেশের মানুষের মতোই কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি আমেরিকান সাহিত্যের একটি চিরস্থায়ী অংশ'।

আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে তাদের পারিবারিক 'উলডন সমাধি'তে টোয়েন সমাধিত আছেন। তার নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তার সমাধিস্থলে একটি ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের সমাধি স্তম্ভ স্থাপন করেন তার মেয়ে ক্লারা। তিনি ছিলেন ক্ষণজন্মা ও চিরঞ্জীব এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। মৃতু্যর শত বর্ষ পরেও তিনি কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বেঁচে আছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<47631 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1