মনের গতরে জাগে কণ্ঠপাঠের কোমল অনুভূতি
বিমুগ্ধ হয়ে দেখি প্রবল জোয়ারে সময় বদলে যায়
খড়ের গাদায় লেগে থাকা রক্ত পাল তোলে চেতনা নদে
এখনো নষ্টপাল দেখি শুদ্ধিভানে ভর দেয় সবুজ ডানায়
চাড় দেয় মুক্তিযোদ্ধা বুদ্ধিজীবী ও মায়ের কবর
ওরা শুকুনছানা! দায় বুনে খেমটি কাটে খিলখিল হাসে
চেতনার বোগলে ঢুকে সুবিধার মালমসলা কুড়িয়ে নেয়।
ক্রাকডাউন রাতের শব্দ ভিড়ে ওরা শ্যামল গাঁ-টাকে
জোড়াহাঁটুর চিপায় হান্দায়ে নাক টেনে টেনে ঘুমায়
ওরা ঘুমোতে পারে; আমরা ঘুমোতে পারি না।
আমাদের ডানে কিংবা বাঁয়ে গাদাগাদি করে আছে-
পুষ্পিত বাগান, মানবিক বাগান, সবুজনীড়ও
চৈতি সকালের সাথে -পিতার স্বাক্ষরিত সিল...
কত মাঠ কত নদী কতজাতিক ভ্রতু কেড়ে নিয়েছে
পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি পুরনো হিসেবের কালিকলম-
নির্জনরাত্রিতে কেবল কষ্টের চামচ নিয়ে সামনে দাঁড়ায়
সেল্ফে বা ড্রয়ারে আদুরে হাতের ডানায় নিজেকে রেখেই কাঁদি।
থামাও! কণ্ঠপাঠ করো দ্যাখো বিশ্ব বর্তনে শোভিত দেশ..