চঁাদ রাত থেকে মেঘ রাত
মেঘের অকের্স্ট্রা বাদক দলে আমরাও ভ্রাম্যমাণ অতিথি হলাম।
ওরা পাহাড়ের শিরদেশ হয়ে
অগোছালো বৃক্ষবাসে যাচ্ছিল আর আমরা মাত্র তিন জন,
আমি, আমার ডিঙি নাও ও একঝঁাক রিভার জোনাকি।
বাদামের বাতাসে কত আর বলো চলা যায়?
তবু ঋজু পথে মেঘের শিশুদল বেশ সঙ্গ দিচ্ছিল।
হঠাৎ কোথা থেকে মেঘের দৈত্য এসে বলল, ‘ও মাঝি
তোমার আর সামলানোর যে সময় নেই।’
তখন বাদামের ওয়ালপোস্ট বেয়ে তুমুল জোরে ঝরতে লাগল।
আমার নায়ের উপরেও পানি, নিচেও পানি।
যেন উতল পানিতে গড়াগড়ি খাচ্ছি,
আর ডিঙি নাও ও আমি গাঙে ভেসে ভেসে যাচ্ছি।
অবশেষে বৃষ্টির তুমুল জল ঠেলে ঘাটে পা রাখতেই দেখি
এক পাশে ভিজে পড়ে আছে চৈতন্যের টি স্টল,
আর গাছের শালিকের ঘট (মৃৎ পাত্র)।
পাশের কদম বনেও জল কালিতে দেখি লিখে গেছে
ভ্রমণ মেঘের তত্ত¡কথা।
ও মেঘ, হ্যামিলিনের বঁাশিওয়ালার মতো
ঋতু ঘোরে আমার এ মন তুমি কোথায় নিয়ে যাও?