আমাদের দেখা আর কখনো হবে না কোনোদিন
এমনকি কণ্ঠস্বর টেলিফোনে হবে না মুদ্রিত
স্মৃতির পাখিরা এসে বলে যাবে সুরঞ্জনা শোনো:
কাল সারারাত জেগে বিচ্ছেদের বেদনা লিখেছি
ফিরিয়ে নিয়েছি মুখ পরস্পর ক্ষোভে ও ঘৃণায়,
কে জানতো মুহূর্তের মরীচিকা কেড়ে নেবে আলো
বুকের ভেতর থেকে জেগে ওঠা একখন্ড ভূমি
দখল করবে এসে নগরের নিকৃষ্ট মাতাল
পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতুর উপরে উভয়ের
দেখা হবে, কথা ছিল নক্ষত্রের বিশাল টাওয়ারে
শিশিরের শিহরণে, স্বপ্নগর্ভ আকাশের নিচে
জোছনার টার্মিনালে অন্তহীন অপেক্ষা করব
মাইক্রোওয়েভ থেকে আমাদের ধ্বনিপুঞ্জগুলি
শুনবে পৃথিবীবাসী, আমরা থাকব বহুদূরে
আরণ্যক স্তব্ধতায়, ফরেস্ট বাঙলোর কোনো রুমে
কথা ছিল বাঙলোর সংলগ্ন সড়কে যদি হর্ন
দেয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, আমরা ছুটবো ভিন্নগ্রহে
আমাদের সব ইচ্ছা স্বপ্নসাধ মুহূর্তে ভুলে
ভেঙে গেছে, যার ফলে মর্মন্তুদ বিচ্ছেদের নদী
সৃষ্টি হলো আজ দেখো জীবনের প্রতিপার্শ্বব্যাপী
এখন কি করে বলো সহ্য করি এতটা নির্মম
আমাদের দেখা আর কখনো হবে না কোনোদিন
এমনকি কবিতারা টেলিফোনে হবে না মুদ্রিত
নীরব নায়িকা এসে বলে যাবে, শোনাওতো দেখি
নিদ্রাহীন লাল চোখে লিখেছো যে, কষ্টের কবিতা