হুমায়ূন আহমেদ, জন্মদিনে প্রস্থানের আর্তনাদ
বাঁশিটা থেমেছে কি ; সেই বাঁশি?
পৃথিবীতে তাই বুঝি কান্না এতো, শ্রাবণের-অনলের
দহনের জ্বালা বুকে একদিন নীল পাখি দখিন হাওয়ায়
তারপর পাখা মেলে নূহাশ সবুজে,
কী যে রূপ-অপরূপ
নন্দিত নরক থেকে দূর পথে হিমুর খোঁজে।
বাঁশিতে কেমন সুর-কী যে দোলা
মিসির আলী বুঁদ হয় তীব্র নেশায় ; কানকাটা রমজান
মোবারক অথবা বাকের ভাই কিংবা মির্জা
কত মুখ মানুষের, কত নীল অনাবিল।
সেই বাঁশি : নীল বাঁশি গেয়েছিল একদিন
'যদি মন কাঁদে তবে চলে এসো'
তাই কী এসেছে চলে মানুষরা, পাখিসব; বৃক্ষতলায়
ভরা বরষায়।
ভালোবেসে মানুষরা নদী হয়, পাখি হয়
তারপর আকাশে ভাসে যেন মেঘ,
অবশেষে ঝরে পড়ে যেমন ফুলেরা : শিশির যেমন।
সেই বাঁশি সবশেষে পাখি হলো নদী হলো
এবং নক্ষত্র হয়ে চিরকাল শ্যামল ছায়ায়।