বাবুল আনোয়ার
বিষণ্ন গোলাপের হে বিনম্র ব্যথিত কবি
ম্রিয়মান রোদের আদলে তোমার শব্দের
বাগানে ঘোরাফেরা করি নিঃশব্দে প্রতিদিন।
জারুল বনের মায়াবী ছায়ার আড়ালে দেখি
\হঅভিমানে আড়ষ্ট তোমার মুখ।
তুমিও তো জীর্ণ প্রহর ধরে শীর্ণ নদীটির মতো
মন খারাপ করে বসে থাকতে ধু ধু বালু চরে
হারানো কষ্টের জোয়ারে।
অতল অন্ধকারে নিঃসঙ্গ বেদনায় একা।
প্রিয়ংবদা অথবা সাদা ধবধবে অ্যাপ্রোনে
\হশরীর মোড়ানো রুপালি কোমল একজন
\হতোমার জন্য অপেক্ষায় বসে থাকতো পরতো!
সহজেই যে মৃতু্যর কথা বলতো না কোনদিন।
মৃত জোছনায় জেগে ওঠা চরের নতুন শস্যের ঘ্রাণ এনে দিত।
\হমানবিক উষ্ণতার নরম চাদরে ঢেকে দিত
\হঅসুস্' শরীর কিছুই মেলেনি তার।
তবু বুনো ফুলের গন্ধে বিদীর্ণ রাত
\হজেগে জেগে তুমি নুলো ভিখিরীর গান শুনেছ-
\হরোদ ও বৃষ্টির মুগ্ধতায় লুকিয়েছ তৃষ্ণার্ত হৃদয়-
\হআমিও তোমার মতো রাত জেগে
দারিদ্র্যের অভিমান দেখি আর বিস্মিত বেদনায়
পাঠ করি তোমাকেই আবুল হাসান!
মগ্ন বেদনার হে দয়িত কবি।