জুরিখের দিকে ছুটে চলা বাসের জানালায়,
ভেসে ওঠে স্মৃতিময় মুখ।
একটু ভাবতে দেও,
হ্যঁা তোমারই জন্য প্রতিদিন;
ছুটে যেতাম,
আটর্ কলেজের পুকুর পাড়।
প্রথম দেখা আটর্ কলেজেই,
কোন এক বিমূতর্ চিত্র প্রদশর্নীতে।
রঙের নানা রকম, ব্যবহার, পেন্সিলের টান;
ক্ষেত্রভেদে বিভিন্ন অথর্ দশর্কদের বুঝাচ্ছিলে,
দশর্কদের চোখ চিত্রে।
আমার বেআব্রæ চোখ পথ হারায় তোমার পানে চেয়ে।
তারপর থেকে-
কদাচিৎ দৃষ্টি,
বা মন কেমন করা হাসি বিনিময়;
হাড় কঁাপানো শীত হতো তখন,
ফাগুনের প্রথম প্রহর।
ঝুপ করে বষার্র মতো নেমে আসতো,
অগনন নানা রঙের প্রজাপতি,ফড়িং;
মনের বø্যাকবিন ফুলের বনে।
আষাঢ় মাসে দোকানের ঝাপ নামানো,
ঝুম ঝুম হঠাৎ বৃষ্টি,
কড়াৎ কড়াৎ শব্দের বিদ্যুৎ চমক;
দেখি পাশে তোমার চন্দ্রালোকিত মুখ।
সৌরলোকের সব সাহস এক করে,
যখন বলি ভাল আছ;
বিনিময় শুধু এক টুকরো হাসি।
মেঘে মেঘে সময় অনেক দূর দিয়েছে পাড়ি,
মৃদু মন্দ বাতাসে ভাসে বিদায়ের বঁাশি;
চারিদিকে বাজে অন্তিম সুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে,
যে যার গন্তব্যে দিয়েছে ছুট।
শীতের শালে নিজেকে মুড়ে,
তাকিয়েছিল আমার তৃষ্ণাতর্ দুটো চোখ।
একবার মনে হয় ফিরে তাকিয়েছিলে,
অথবা আমারই দেখার ভুল।
এই শেষ দেখা অথবা হয়নি দেখা।
শুনেছি অনেক পরে,
ঝড় মাথায় করে উঠেছিলে কুহক সাম্পানে,
অমাবস্যার কালো রাত যেন কৃষ্ণ গহŸর;
বঙ্গোপসাগর কণর্ফুলির মোহনায় হারিয়ে গেলে চিরতরে,
জোনাকি আলোয় খেঁাজা শিশির ভেজা মুখ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু....