শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তারুণ্যের মুখের যতœ

নারী কিংবা পুরুষ কমবেশি সবাই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, হরমোনের সমস্যা, রোদ, ধুলোবালি, ধূমপান প্রভৃতি কারণে ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে। আর তৈলাক্ত ত্বকে এই সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করে। কখনো কখনো ব্রণ চলে গেলেও দাগের কারণে মুখের সৌন্দযর্টাই নষ্ট হয়ে যায়...
উপমা হোসেন
  ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
মডেল : প্রিয়াঙ্কা জামান

নারী কিংবা পুরুষ কমবেশি সবাই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, হরমোনের সমস্যা, রোদ, ধুলোবালি, ধূমপান প্রভৃতি কারণে ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে। আর তৈলাক্ত ত্বকে এই সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করে। কখনো কখনো ব্রণ চলে গেলেও দাগের কারণে মুখের সৌন্দযর্টাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই দাগ দূর করতে এ সময় প্রত্যেকেই নানা প্রসাধনীর আশ্রয় নেয়। এসব পণ্য ব্যবহারে কখনো কখনো দাগ চলে যায়। তবে বেশিরভাগ সময় এগুলো ব্যবহারে তেমন কোনো উপকার পাওয়া যায় না। আর উপকার পেলেও তা সাময়িক। অথচ হাতের কাছেই এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা দিয়ে কোনো পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্রণের পাশাপাশি এর দাগও নিমূর্ল করা সম্ভব। জেনে নিন ব্রণ দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়। কমলালেবুর খোসা দিয়ে যতœ নিন। ব্রণের চিকিৎসায় খুব ভালো কাজ করে কমলালেবুর খোসা। এর খোসা গুঁড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগালে তা অনেক বেশি কাযর্কর। চাইলে কমলার খোসার গুঁড়ার সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগাতে পারেন। ব্রণ দূর করতে এটিও অনেক কাযর্কর পদ্ধতি। লেবুর রস নিন। নিয়মিত ব্রণের ওপর লেবুর রস ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা ব্রণ দূর করতে কাযর্কর ভ‚মিকা রাখে। এক টুকরো তুলোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগিয়ে সারা রাত রাখুন। পরে সকালে ঠাÐা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর করতে এই পদ্ধতিও অনেক বেশি কাযর্কর। চাইলে লেবুর রসের সঙ্গে একই পরিমাণ পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এতেও ব্রণ চলে যাবে। রসুন লাগান। এতে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল নামে এমন কতকগুলো উপাদান রয়েছে যা ব্রণ দূর করতে ভ‚মিকা রাখে। এক টুকরো রসুন থেঁতলে ব্রণের ওপর আলতো করে ঘষে ৫ মিনিট রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে কয়েকবার করলে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ কমে যাবে। চাইলে রসুনের পেস্টের সঙ্গে দই মিশিয়েও ব্রণের ওপর লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের আদ্রর্তা ঠিক থাকবে। পুদিনা পাতার রস নিন। ব্রণ সারাতে পুদিনা পাতার রসও অনেক বেশি কাযর্কর। এজন্য প্রতিদিন এই রস ত্বকে লাগিয়ে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে দ্রæত ব্রণ সেরে যাওয়ার পাশাপাশি এর দাগও মিলিয়ে যাবে। চাইলে এক চা চামচ পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদও যোগ করতে পারেন। এতে বø্যাকহেডস দূর হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। মেথি লাগান। ব্রণ দূর করার আরেকটি কাযর্কর পদ্ধতি হলো মেথির ব্যবহার। মেথির পাতার পেস্ট তৈরি করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে নিন। পরে সকালে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এই পদ্ধতিটি দ্রæত ব্রণ এবং বø্যাকহেডস দূর করতে ভ‚মিকা রাখবে।

শসা নিন। ব্রণের সমস্যা সমাধানে কাযর্কর ফল পেতে শসাও ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য শসার রস মুখ, চোখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ এবং বø্যাকহেডস দূর হবে।

দুধের সঙ্গে জায়ফল গুঁড়া মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও ব্রণ চলে যাবে। দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেস্টটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। পরে সকালে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতেও ব্রণ দূর হবে। ব্রণ নিরাময়ে অ্যালোভেরাও কাযর্কর ভ‚মিকা রাখে। এতে অ্যান্টিফ্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া জিঙ্ক, ভিটামিন-এ এবং ই ট্যাবলেটও ব্রণ প্রতিরোধে ভ‚মিকা রাখে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে