বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তি খাতে বাড়ছে নারী সম্পৃক্ততা

তানিয়া তন্বী
  ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
নারীর ক্ষমতায়নের বড় একটি টুলস এখন তথ্যপ্রযুক্তি খাত ছবি : ইন্টারনেট

একজন সৃজনশীল সফটওয়্যার এন্টারপ্রেনার হিসেবে দেশে এবং বিদেশে যিনি একজন পরিচিত মুখ । শুধু তাই নয়, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে একীভ‚ত করার কৃতিত্বও তার। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরও অনেক উচ্চতায় নিতে চান তিনি। তিনি একজন লুনা শামসুদ্দোহা। প্রযুক্তি খাতে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রান্তিক বা গ্রামীণ নারীরা সুযোগ পেলে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাট চুকিয়ে একসময় ব্রিটিশ কাউন্সিলে টিচিং শুরু করেছিলেন লুনা শামসুদ্দোহা। কিন্তু পরে মনোযোগী হন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এখন এ সেক্টর ঘিরেই তার যত স্বপ্ন। বতর্মানে দেশে-বিদেশে এ সেক্টরের অনেক প্রতিষ্ঠান ও ফোরামের সঙ্গে যুক্ত তিনি। নিজ কমের্র স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সময় শুধু দেশে নয়, আন্তজাির্তকভাবেও সম্মানিত এবং পুরস্কৃত হয়েছেন। প্রযুক্তি খাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভ‚মিকা রাখায় ভারত থেকে উইমেন লিডারশিপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়াডর্, সুইডেন থেকে গেøাবাল উইমেন ইনভেন্টরস অ্যান্ড ইনভেন্টরস নেটওয়াকর্ (গুইন) সম্মাননাসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

পল্টন লেনে মাত্র দুজন কমীর্ নিয়ে ‘দোহাটেক’-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বতর্মানে এই প্রতিষ্ঠানে শতাধিক মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন। শুরুতেই কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু করে ‘দোহাটেক’। এক সময় ডাবিøউএইচও, ওয়াল্ডর্ ব্যাংকের হয়েও এই কাজটি করেন তারা। বতর্মানে তাদের কমর্পরিধি প্রসারিত হয়েছে আমেরিকা, কানাডা, জামাির্নসহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে ই-গভনের্ন্স তৈরির ক্ষেত্রে ‘দোহাটেক’ বিরাট ভ‚মিকা পালন করছে। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে তারাই ভোটার এনরোলমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করে, যে ধারাবাহিকতায় সবার জন্য ন্যাশনাল আইডি কাডর্ তৈরির বিশাল কমর্যজ্ঞ এ দেশে সম্ভব হয়েছে। ইলেকট্রিক গভনের্মন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপিতেও ‘দোহাটেক’-এর অবদান অসামান্য। বাংলাদেশ সরকারের এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন ফর দ্য পুররেস্ট (ই-জিপিপি) প্রকল্পের এমআইএস সিস্টেমও ‘দোহাটেক’-এর অবদান। এসব কাজের নেতৃত্বেই থেকেছেন লুনা শামসুদ্দোহা। সম্মুখ সারিতে থেকে তিনিই সব সময় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

তিনি মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়নের বড় একটি টুলস এখন তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এখান থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে পড়া চলবে না। টেকনোলজির দ্রæত এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সুযোগটা আমাদের নিতেই হবে। লুনা শামসুদ্দোহা মনে করেন, তথ্যপ্রযুক্তি এ দেশের মেয়েদের জন্য খুবই ভালো একটি সেক্টর। এই সেক্টরে মেয়েদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তার মতে, গ্রামীণ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের যেসব মেয়েরা খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারেনি তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হলে নিদ্বির্ধায় এই সেক্টরে তারা বড় ধরনের অবদান রাখতে সক্ষম। ঘরে বসেই তারা ডাটা এন্ট্রিসহ নানান ধরনের কাজ করে কমর্সংস্থান করতে পারবে। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রচুর সময় দেন শামসুদ্দোহা। কাজের প্রতি তিনি এতটাই অঙ্গীকারবদ্ধ যে, দিন এবং রাতকে আলাদা করে দেখেন না। তবে অবসরে নিজ হাতে রান্না করতে ভালোবাসেন। বই পড়া বরাবরই তার পছন্দের। অসম্ভব বিনয়ী এবং সুন্দর মনের লুনা শামসুদ্দোহা মনে করেন, মানুষের শেখার শেষ নেই। তিনিও তাই প্রতিদিনই শিখছেন। শেখাটাই তার কাছে এক বড় আনন্দ। লুনা শামসুদ্দোহা একমাত্র কন্যাসন্তানের জননী। একমাত্র মেয়ের নাম রীম শামসুদ্দোহা। মাকে দেখে মেয়ে রীম তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এলেও মা-বাবার প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হননি। নিজেই ‘যেতে চাও ডটকম’ নামে একটি ওয়েবসাইট করেছেন। যেখানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ইভেন্টের আপডেট খবরাখবর থাকে। মেয়েরা এ উদ্যোগ আগামীতে বড় ধরনের সাফল্য পাবে বলে তিনি আশাবাদী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<23073 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1