বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারীর বিদেশ পাড়ি

নন্দিনী ডেস্ক
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ জুন ২০১৮, ২৩:০৮

দেশের যেসব নারীশ্রমিক শ্রম বিক্রি করে অথর্ উপাজের্নর উদ্দেশে দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, তাদের ওপর যে অমানবিক নিযার্তন চলছে তার খবর কেউ রাখছে না। বিদেশে নারী শ্রমিকদের ওপর নিযার্তনের প্রতিকারে সরকারকে আরও বেশি মনযোগী হওয়া দরকার। আর না হলেও বিদেশে নারীদের কাজ করার সুযোগ, ঝঁুকি, চ্যালেঞ্জ ও সক্ষমতা সম্পকের্ আগেভাগেই বিদেশ গমনেচ্ছুদের অবহিত করা জরুরি। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অজর্ন এবং প্রতিক‚ল অবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের করণীয় সম্পকের্ প্রস্তুত করাও আবশ্যক। সরকারের উচিত নারীশ্রমিক পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে কঠিন শতের্ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি যথাযথভাবে সম্পাদন করে নিজ দেশের দূতাবাসগুলোকে কঠোর নজরদারি করার ব্যবস্থা করা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী যাতে কোনোভাবেই আইনের ফঁাক-ফোকর দিয়ে বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সবার আগে নিযার্তনের শিকার যে নারীশ্রমিকরা বিভিন্ন দেশে বন্দি অথবা আত্মগোপন করে আছে তাদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারি উদ্যোগ খুবই জরুরি। দালাল ও প্রতারকচক্রের হাত থেকে দেশের গরিব, অশিক্ষিত নারীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। লোভে পড়ে গরিব অসহায় অশিক্ষিত নারীদের দালালদের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার নামে জীবনের ঝুঁকিতে পড়তে হয় এ কথাও মিথ্যা নয়। বিদেশে কমর্রত নারীশ্রমিকদের পাওনা মজুরি আদায় ও তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে সরকারিভাবে ক‚টনৈতিক সমথর্ন এ মুহ‚তের্ আগে দরকার। না হলে দেশের অভ্যন্তরে নারী নিযার্তনকারীরা এসব শুনে উৎসাহিত হতে পারে। দেশে বিদ্যমান নারীদের ক্ষেত্রে শ্রমমূল্যের যে বৈষম্য বহাল আছে সেটি দীঘাির্য়ত হতে পারে। বিলম্বিত হতে পারে সমতার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন পরিকল্পনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে