শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

উদ্ভাবনী নারী নেতৃত্বে সায়মা ওয়াজেদ

য় নন্দিনী ডেস্ক

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্যে উদ্ভাবনী ১০০ নারী নেতৃত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিভিত্তিক গেস্নাবাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রামস কনসোর্টিয়ামের চেয়ার ড. ক্যাথলিন পাইক 'ফাইভ অন ফ্রাইডে' শিরোনামে বস্নগে এই তালিকা তুলে ধরেছেন।

মানসিক রোগ অনুধাবন, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার উন্নয়নে অগ্রদূত এসব নারীর ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উদ্যোগ বিবেচনায় নিয়ে পরিচিতজনদের মধ্য থেকে নামের অদ্যাক্ষরের ভিত্তিতে তালিকাটি করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সায়মা বর্তমানে বাংলাদেশ অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডারবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাবিস্নউিএইচও) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের একজন সদস্য।

২০১৭ সালে ডাবিস্নউএইচও তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ দেয়। স্কুল সাইকোলজিস্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সনদপ্রাপ্ত সায়মাকে এর আগে এ অঞ্চলের জন্য অটিজমবিষয়ক চ্যাম্পিয়ন নিয়োগ দেয় ডাবিস্নউএইচও।

ওই বছরই ভুটানে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অটিজমসহ স্নায়ু বৈকল্য বিষয়ে থিম্পু ঘোষণা প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অটিজম বিষয়ে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদানের জন্য ডাবিস্নউএইচও তাকে ২০১৪ সালের জন্য এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।

ডাবিস্নউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী ১০০ নেতার এবছরের তালিকার প্রতিক্রিয়ায় এটা তৈরি। শুধু একজন নারী ফোর্বসের ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। ড. পাইক মানসিক স্বাস্থ্যে উদ্ভাবনী নারীর নেতৃত্বের এই তালিকা তৈরি করেন।

পরিবেশকন্যা গ্রেটা থুনবার্গ

শাহীন চৌধুরী ডলি

গ্রেটা থুনবার্গ পরিবেশ নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার এক পরিবেশকন্যা। মাত্র ১৬ বছরের এই কন্যাশিশুটি দিনরাত ভেবে চলেছে কীভাবে আগামী প্রজন্মকে একটা সুস্থ সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়া যায়। ২০০৩ সালে গ্রেটা থুনবার্গ ইউরোপীয় দেশ সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা একজন অভিনেতা, নাম ভ্যানতে থুনবার্গ। মা অপেরা গায়িকা, নাম ম্যালিনা ইমান।

ছোট মেয়ে গ্রেটা ২০০৮ সালে প্রথম জলবায়ু সম্পর্কে জানতে পারে। ব্যাপারটা তাকে এতটাই ভাবায় যে, তারপর তাকে অবসন্নতা গ্রাস করতে থাকলে সে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিতে থাকে। চিকিৎসকরা গ্রেটার এই অবসন্নতাকে অ্যাস্পারগার সিন্ড্রোম রোগ বলে জানায়। অবসাদকে দূরে ঠেলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে জ্বলে উঠল গ্রেটা থুনবার্গ।

২০১৮ সালে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী গ্রেটা সুইডেনের সংসদে গিয়ে সোচ্চার প্রতিবাদ জানায়। সুইডেনে তার বয়সী বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া যেখানে বাধ্যতামূলক সেখানে গ্রেটা স্কুল পালিয়ে তার সঙ্গীদের নিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলে। জলবায়ু বদলে দেশের আইনপ্রণেতারা যাতে কার্যকর ভূমিকা নেন সে দাবি তুলে তার স্কুলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একদম ব্যক্তিগত।

পরিবেশ বাঁচাতে রাষ্ট্রের কড়া পদক্ষেপ দাবি করে সে ও তার অনুগামীরা। গ্রেটা একান্ত নিজের জন্য কিছু চায়নি। সে ভীষণভাবে পরিবেশ বাঁচাতে চেয়েছে যা সবার উপকারে আসবে। সুস্থ সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা গ্রেটার স্বপ্ন। তার আন্দোলনের ফলাফল, ২০১৯ সালের মে মাসে টাইম ম্যাগাজিনে গ্রেটা 'আগামী প্রজন্মের নেতা' হিসেবে নির্বাচিত হয়।

রাষ্ট্রশক্তির পরিবেশ ঔদাসিন্য তাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। জলবায়ু নীতিতে পরিবর্তন আনতে তার প্রচেষ্টায় পেয়েছেন বহুসংখ্যক অনুগামী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বৈজ্ঞানিকদের সমর্থন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জনমত তৈরি করতে পারায় গ্রেটা এখন পুরো বিশ্বের কাছে এক নামে পরিচিত। ২৩ সেপ্টেম্বর '১৯ গ্রেটা থুনবার্গ জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যে বক্তব্য রেখেছে তা বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71673 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1