য় নন্দিনী ডেস্ক
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শ্রমিকদের ২২ শতাংশ বলেছেন তারা কারখানার ভেতরে অথবা বাইরে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। ৬৬ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, তারা কারখানার কমিটির কাছে কোনো সহযোগিতা বা প্রতিকার চান না। কারণ, কমিটির কাছে কোনো বিচার পাওয়া যাবে না।
১১ শতাংশ নারী শ্রমিক মনে করেন, তারা কর্মক্ষেত্রে অনিরাপদ। ৮৩ শতাংশ মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে অশালীন বা অকথ্য ভাষায় কথা বলা, কারখানায় প্রবেশের সময় নিরাপত্তা কর্মীর অস্বস্তিকর চেকিং, পুরুষ সহকর্মীর অপ্রত্যাশিত স্পর্শ, যৌন সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা এগুলো হয়রানি। আর ৬৮ শতাংশ বলেন, কর্মক্ষেত্রে তেমন কোনো কার্যকর যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নেই। কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি রোধে সরকার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশের আইনব্যবস্থা নারীর জন্য উন্মুক্ত করেছে। তারপরও কর্মক্ষেত্রে নারীর হয়রানি বাড়ছে। এটার জন্য সরকারের পাশাপাশি মালিক-শ্রমিকসহ সব পক্ষকেই সচেতন হতে হবে। কমিউনিটিতে বাণিজ্যিকভাবে ডে-কেয়ার সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ছাড়াও পরবর্তীতে যাতে বিনা বেতনে দীর্ঘদিন ছুটি নিতে পারেন, সে সুযোগ-সুবিধা আইনে আসা দরকার।