শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

শ্রদ্ধার 'শহিদ মিনার'

য় নন্দিনী ডেস্ক

প্রথম 'শহিদ মিনার'-এর গায়ে সাঁটা কাগজের ফলকে এর পরিচয় লেখা ছিল শহিদ 'স্মৃতিস্তম্ভ'। মিনার বলি আর স্তম্ভই বলি, এ ছিল রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ক্রান্তিলগ্নে নির্মিত এক ঐতিহাসিক স্থাপনা- যে পাষাণের অন্তর্নিহিত অমিতশক্তিতে ভীত হয়ে মুসলিম লীগ সরকার অচিরেই একে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে শেষ প্রস্তরখন্ডটিও অপসারণ করে। মাত্র তিনদিনের কম আয়ু নিয়ে এসেছিল প্রথম শহিদ মিনার। কিন্তু ৬৫ বছর আগের সেই স্থাপনাটির উত্তরসূরি আজকের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার বছরের পর বছর স্মরণ করিয়ে দেয় বায়ান্নর একুশে ফেব্রম্নয়ারিকে। স্মৃতির পটে ভেসে ওঠে শান্তিপ্রিয় নিরস্ত্র সেই কয়েকজন তরুণের মুখচ্ছবি, যারা সেদিন নিজেদের মাতৃভাষার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় ব্রতী ছিলেন বলে বৈরী সরকারের পেটুয়া বাহিনীর বুলেটের আঘাতে প্রাণ বিসর্জন দিতেও পরোয়া করেননি। আজও মানুষ জাতীয় জীবনের সমস্যা ও সংকটে, উৎসবে, আনন্দে, প্রিয়জনের চিরবিদায়ের বেদনায় শহিদ মিনারের পাদদেশেই ছুটে যায় সমাধানের প্রত্যাশায়, শান্তির অন্বেষায়।

ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুন

য় নন্দিনী ডেস্ক

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব এক হয়ে ছিনিয়ে এনেছে এই বাংলাকে। সেই সংগ্রামের সঙ্গে যুদ্ধ থাকা একজন হলেন আমাদের ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুন। স্কুলজীবন থেকেই তার মনে এক ধরনের স্বাধিকার বোধ কাজ করত। কলেজজীবনেই রাজনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দেশজুড়ে ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানতে পারেন। তখনই সিদ্ধান্ত নেন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হবেন। ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তব্য দেয়ার পর পরই স্স্নোগানে স্স্নোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। 'রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই' স্স্নোগান চার পাশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রথম বের হয় মেয়েদের দল। তার সদস্য থাকে ৪ জন। জুলেখা, নূবী, সঙ্গে হালিমা খাতুনও ছিলেন। একে একে বন্দুকের নলের সামনে দিয়ে মেয়েদের ৩টি দল বেরিয়ে আসে। শুরু হয় লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া। সবাই ছুটছে যে যার মতো। তবে সবার লক্ষ্য জগন্নাথ হলের অ্যাসেম্বলির দিকে। হালিমা খাতুনসহ অনেক ভাষাসৈনিক আশ্রয় নেয় মেডিকেলে। রাস্তায় শহিদের তাজা রক্ত। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সবাই ছুটছে। রক্তে ভেজা রাস্তার মধ্যে মানুষের মাথার মগজ ছিটিয়ে পড়া। ছাত্ররা ওই মাথার খুলির ছবি ধারণ করে, পরে সেই ছবিটি রাখা হয় ছেলেদের হলে। হলের রুমের দরজা বন্ধ। সেই বন্ধ রুম থেকে ছবিটি আনার দায়িত্ব পড়ে এই ভাষাসৈনিকের ওপর। অন্ধকার রাতে রাবেয়া ও হালিমা গিয়ে জীবনকে বাজি রেখে পুলিশের সামনে দিয়ে যায়। ছবিটি নিয়ে আসে বুকের ভেতর করে। সেই দিন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেই মৃতু্য ছিল যাদের কপালে তারা মৃতু্যকে ভয় করেনি। দেশের জন্য মাতৃভাষার জন্য তারা জীবন বাজি রেখেছে ছবিটি আনার পর পরের দিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই মগজ ছিটানো খুলির ছবি ছাপানো হয়।

ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুন

য় নন্দিনী ডেস্ক

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব এক হয়ে ছিনিয়ে এনেছে এই বাংলাকে। সেই সংগ্রামের সঙ্গে যুদ্ধ থাকা একজন হলেন আমাদের ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুন। স্কুলজীবন থেকেই তার মনে এক ধরনের স্বাধিকার বোধ কাজ করত। কলেজজীবনেই রাজনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দেশজুড়ে ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানতে পারেন। তখনই সিদ্ধান্ত নেন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হবেন। ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তব্য দেয়ার পর পরই স্স্নোগানে স্স্নোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। 'রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই' স্স্নোগান চার পাশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রথম বের হয় মেয়েদের দল। তার সদস্য থাকে ৪ জন। জুলেখা, নূবী, সঙ্গে হালিমা খাতুনও ছিলেন। একে একে বন্দুকের নলের সামনে দিয়ে মেয়েদের ৩টি দল বেরিয়ে আসে। শুরু হয় লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া। সবাই ছুটছে যে যার মতো। তবে সবার লক্ষ্য জগন্নাথ হলের অ্যাসেম্বলির দিকে। হালিমা খাতুনসহ অনেক ভাষাসৈনিক আশ্রয় নেয় মেডিকেলে। রাস্তায় শহিদের তাজা রক্ত। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সবাই ছুটছে। রক্তে ভেজা রাস্তার মধ্যে মানুষের মাথার মগজ ছিটিয়ে পড়া। ছাত্ররা ওই মাথার খুলির ছবি ধারণ করে, পরে সেই ছবিটি রাখা হয় ছেলেদের হলে। হলের রুমের দরজা বন্ধ। সেই বন্ধ রুম থেকে ছবিটি আনার দায়িত্ব পড়ে এই ভাষাসৈনিকের ওপর। অন্ধকার রাতে রাবেয়া ও হালিমা গিয়ে জীবনকে বাজি রেখে পুলিশের সামনে দিয়ে যায়। ছবিটি নিয়ে আসে বুকের ভেতর করে। সেই দিন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেই মৃতু্য ছিল যাদের কপালে তারা মৃতু্যকে ভয় করেনি। দেশের জন্য মাতৃভাষার জন্য তারা জীবন বাজি রেখেছে ছবিটি আনার পর পরের দিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই মগজ ছিটানো খুলির ছবি ছাপানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<88543 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1