শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

উপকূলীয় এলাকার কন্যাশিশুরা

য় নন্দিনী ডেস্ক

বয়স বারো-তেরো পার না হতেই এদের কৈশোর শেষ হয়ে যায়। এরা হয় অন্যের ঘরের বউ। আটকে পড়ে সংসার নামক এক অদৃশ্য বেড়াজালে। অল্পবয়সে মা হওয়াসহ নানা রকম রোগে ভোগে তারুণ্যের আগেই বৃদ্ধ হয়ে যায় ওরা। বাল্যবিবাহের পরিণতিতে শুধু শিশু, অল্পবয়সী নারী বা তার পরিবারই আক্রান্ত হয় না, অপুষ্টি ও দুর্বল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উত্তরাধিকারীও হয় এসব এলাকা। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয় এসব এলাকার মেয়েদের। এ ক্ষেত্রে বিয়ের সরকারি বয়সসীমা তো মানাই হয় না, বরং অভাবের দোহাই দিয়ে প্রশাসনের সামনেই দিনের পর দিন কন্যাশিশুদের ঠেলে দেওয়া হয় বাল্যবিবাহ নামক পরিস্থিতির দিকে। এজন্য বাল্যবিবাহের পাশাপাশি অসম বিয়ের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। চলে যৌতুকের দেওয়া-নেওয়াও। প্রত্যেক ঘরেই আছে কিশোরী বধূ অথবা একাধিক সন্তানের কিশোরী মা। গাবুরা গ্রামের রহিমা জানায়, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার বিয়ে হয় পাশের গ্রামের রফিকুলের সঙ্গে। রফিকুলের বয়স তখন ১৯ বছর। একই গ্রামের ওয়াজেদ বলেন, 'আমাগো গ্রামে প্রাইমারি স্কুল আছে, কিন্তু হাইস্কুল বেশ দূরে। অত দূরে মেয়েগো পাঠানো ঝামেলা। তাই কোনো রকমে প্রাইমারি পাস দিতি পারলিই বে'র ব্যবস্থা করতি হয়।' এসব এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে কয়টা মেয়ে যায় তার ৫০ শতাংশও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায় না। আর মাধ্যমিক পর্যন্ত যারা কোনো রকমে পৌঁছায় তাদের মধ্যকার কেউ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যায় কিনা সন্দেহ। বিয়ের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের পরোয়াও করা হয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<90443 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1