মানানসই
মুক্তার দুল
রঙ বেরঙ ডেস্ক
মুক্তার মধ্যে সবসময়ই খুঁজে পাওয়া যায় একটা ক্ল্যাসিক আমেজ। যে কোনো ঋতুতে, যে কোনো পোশাকে আর যে কোনো বয়সের সঙ্গে মানানসই মুক্তার কানের দুল। জমকালো সাজে কেবল যে বড় কানের দুল কিংবা বড় হার পরিপূণর্তা এনে দেয়, তা কিন্তু নয়। ছোট বা বড় মুক্তার কানের দুল আপনার সাজকে করে তুলতে পারে অনেক বেশি সুন্দর। মুক্তার কানের দুল যে কোনো পরিবেশেই পরা যায়। অফিসে কিংবা যে কোনো পাটিের্ত যেতে হলে চোখ বন্ধ করেই বেছে নিতে পারেন মুক্তার কানের দুল। পোশাক শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ যা-ই হোক না কেন। তবে মুক্তার আকারের ওপর নিভর্র করে কোন জায়গার জন্য কোন ধরনের কানের দুল মানাবে। আর অফিস কিংবা যত্রতত্র বাইরে যেতে হলে অপেক্ষাকৃত ছোট মুক্তার দুলটা বেশি ভালো। কেবল কমর্জীবীই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্রাও পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মুক্তার ছোট দুল পরতে পারেন। কেবল সাদা নয়, বরং আজকাল গোলাপি, ধূসর, কালো, হালকা হলুদ রঙের মুক্তার কানের দুল পাওয়া যায়।
টানটান ত্বক
রঙ বেরঙ ডেস্ক
একটা সময়ের পর সবারই কমবেশি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। কিন্তু নানা কারণে অনেকের ২৫ বছর বয়সের পর পরই বলিরেখা দেখা যায়। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। নিয়মিত যতেœর মাধ্যমে এগুলো দূর করা সম্ভব।
সাধারণত অতিরিক্ত মানসিক চাপ, সূযের্র অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে সরাসরি প্রবেশ, অতিরিক্ত রাগ ও ঘুমের সমস্যা হলে মধ্য বয়সের আগেই বলিরেখা ও ভঁাজ পড়ে থাকে। এজন্য প্রতিদিনের অভ্যাস, এমনকি খাদ্যাভ্যাসেও পরিবতর্ন আনতে হবে। সমস্যাকে মোকাবেলা করা শিখতে হবে। সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে মন ভালো থাকবে। ত্বকেও তার প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে। শাক-সবজি, ফলমূল, বিশেষ করে গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো ও ভিটামিন ‘সি’যুক্ত সব খাবার খেতে হবে। তাহলে ত্বক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। এ ছাড়া নানা কারণে দ্রæত রেগে যাই আমরা। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করলে ত্বকে ভঁাজ পড়বে না। আপনিও বয়সের ছাপ পড়া থেকে মুক্তি পেলেন। নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন মানুষের মন এবং শরীরকে তরুণ রাখে। ঘরে বসে সঠিক পদ্ধতিতে বজ্রাসন, ধনু আসন করতে পারেন। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হবে।
হাতের কাছে থাকুক ফাস্ট এইড বক্স
রঙ বেরঙ ডেস্ক
সবজি কাটতে গিয়ে প্রায়ই আমাদের হাত কেটে যায়, রান্না করতে গিয়ে পুড়ে যায়, তেলের ছিটা এসে ফোসকা পড়ে। এসব সমস্যায় পড়লে অনেকেই কী করতে হবে বুঝতে পারেন না। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু জানা থাকলে ও হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখলে, রক্ত পড়া বন্ধ করতে কিংবা পুড়ে গেলে আমরা নিজেরাই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি। অন্তত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগ পযর্ন্ত সে ব্যবস্থা সবার ঘরেই থাকা উচিত।
এই প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণের নাম ‘প্রাথমিক চিকিৎসার বক্স’ বা ফাস্ট এইড কিট। ফাস্ট এইড কিটে যা থাকে : প্রাথমিক চিকিৎসার এই বাক্সে রাখা যেতে পারে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জরুরি সরঞ্জাম, যা দিয়ে দুঘর্টনাজনিত ক্ষত বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করা যায়। এতে থাকতে পারে তুলা, গজ, স্যাভলন, অ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট, বানর্ অয়েন্টমেন্ট (ডারমাজিন, সিল ক্রিম), ব্যান্ডেজ, থামোির্মটার, কঁাচি, ব্যান্ড এইড, আইসব্যাগ, হট ওয়াটার ব্যাগ, খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ, প্রেসার বা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ, রক্তচাপ মাপার মেশিন, রক্তের সুগার মাপার মেশিন।
এ ধরনের একটি বক্স ঘরে, অফিসে, স্কুলে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। মনে রাখতে হবে, এ ধরনের বক্স শুধু প্রাথমিকভাবে দুঘর্টনাটি দমিয়ে রাখার জন্যই। অবস্থার অবনতি দেখলে রোগীকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।