বাজারে নতুন এসেছে বিভিন্ন কাটের টপস। এসব টপসে দেশীয় নকশার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। ছিমছাম আরামদায়ক বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্ক্রিন প্রিন্ট, ভেজিটেবল ডাই বস্নক, উল-সুতা, মিরর কাট নকশা থাকছে ডিজাইনে। টাইডাই, সুতার কাজ, সব ধরনের স্ক্রিন পেইন্ট, অ্যাসুস, মখমল ইত্যাদির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

ফ্রক কাটের টপসগুলো দৈর্ঘ্যে সাধারণত সেমি লং ও শর্ট। ফিউশন কাট আর প্যাটার্নের বৈচিত্র্য আছে। কোমরে কুচি বা ইলাস্টিক, নিচের দিকে ঘের দেয়া, কোমর থেকে আলাদা রঙের কাপড়, বুকের সামনে নকশা ইত্যাদি একেবারে ভিন্নতা এনে দিয়েছে এসব টপসে। ঘের ছাড়া টপস বা কাপ্তান কাটের টপসও মিলবে। শুধু কাটিং নয়, নজর দেয়া হয়েছে লো হাইট কাট, লং প্যাটার্ন আনারকলি কাট ও টিউনিক প্যাটার্ন। ছিমছাম নকশায় টিউনিক প্যাটার্ন কাটেও স্মার্ট লুক খুঁজে পাওয়া যায়। প্যাটার্ন, কাটছাঁটে বেশ পরিবর্তন দেখা গেলেও থেমে নেই রঙের ব্যবহার। ব্যবহার হয়েছে গাঢ় ও হালকা শেডের রং। ভেজিটেবল ডাই ও জ্যামিতিক নকশার দেখা মিলবে কোনো কোনো ফ্রক টপসে। আবহাওয়া আর পরিবেশ বুঝে হাতার কাটিংয়েও এসেছে বৈচিত্র্য। ছোট হাতা, বড় হাতা, সেমি লং ও সিস্নভলেস সবই রয়েছে।

ফ্রক টপস পরতে পারেন চুড়িদার, জিন্স, সালোয়ার বা পালাজ্জোর সঙ্গে। টিন বা তরুণদের সঙ্গে সাধারণত অন্যদের পছন্দের কিছুটা পার্থক্য থাকে। সব বয়সীদের কথা মাথায় রেখেই শর্ট আর লং ফ্রক টপসের অপশন রয়েছে। হালকা আর গাঢ় দুই ধরনের রংই থাকছে। কারণ টিন ও তরুণীরা হালকা ও গাঢ় দুই ধরনের পোশাকই খোঁজে। ভ্যাপসা গরমে সুতিই সবচেয়ে আরামের। তবে ফ্যাশন হাউস ঘুরে সুতির পাশাপাশি লিলেন বা জর্জেট কালেকশনের পোশাকও উলেস্নখ করার মতো। এ ধরনের কাপড় ভিজলে যেমন তাড়াতাড়ি শুকায়, তেমনি ব্যবহারে সহজ। ইস্ত্রি না করেও পরা যায়। সিঙ্গেল টপসে জনপ্রিয় আড়ংয়ের তাগা ঘরানার ফ্রক টপস। সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও ডিজাইন-বৈচিত্র্য থাকায় ফেবারিট।